পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 8br গৌরবে স্বর্গের দেবগণ পৰ্য্যন্ত লজ্জিত ও ঈর্ষান্বিত। প্ৰহলাদের প্রধান গুণ তিনি দ্যায়পরায়ণ । বিরোচন পিতার প্রবল সিংহাসনের ভাবী উত্তরাধিকারীর উপযুক্ত শিক্ষাই লাভ করিয়াছিলেন। তিনি हेष्ठ ब्र छाम्न शत्रुन्।ि यद१ भूभब्राग्न श्रविडौग्न । কিন্তু লোকে চুপি চুপি বলাবলি করিত যে বিরোচন অহঙ্কারী এবং পিতার মহৎগুণে বঞ্চিত । ব্রাহ্মণকুমার মুধন্বার প্রকৃতি ঠিক বিপরীত। হুধম্বার বিদ্যা ও গুণের যশ চতুর্দিকেই ব্যাপ্ত। ত্রিলোকবিদিত আঙ্গিরসের ঔরসে র্তাহার জন্ম ! সুধম্বা শূন্য সম্পদ ও শক্তিকে ঘৃণা করিতেন এবং ইহার গৰ্ব্বে স্ফীত ব্যক্তিকে নিতান্তই হীন বলিয়া জ্ঞান করিতেন। কিন্তু তাহার বিশ্বাস ছিল যে সৌন্দৰ্য্য রাজা ও ভিখারী উভয়েরই প্রাপ্য ও ভোগ্য বস্তু। তাহার শ্রেষ্ঠ শক্তির বলে তিনি যে সুকেশীকে র্তাহার আপন ধন করিবেন এবং রাজপুত্রের শক্তি সম্পদের মোহ যে র্তাহার ঈপিতাকে অন্ধ করিবে না এ বিষয়েও তাহার অস্তরে লেশমাত্র সন্দেহ ছিল না। স্ককেশীর পাণিগ্রহণের জন্ত দুইটি যুবককে প্রতিদ্বন্দ্বী দেখিয়া যে তাহার মনে বিশেষ কোন বিরক্তির ভাব আসিত তাহা নহে । নারী চিরদিনই নারী। একদিকে প্রবল পরাক্রান্ত কুবের পুত্র বিরোচন অপরদিকে শুদ্ধাত্মা পণ্ডিতপ্রবর সতেজ সুন্দর ব্রাহ্মণকুমার মুধন্বী তাহার প্রেমভিখারী। সৌন্দর্য্যের পদতলে আজ শক্তি ও সাধনা লুষ্ঠিত! কিশোরী মনে মনে একটা অফুট আনন্দ অনুভব করিতে छांब्रडौ । জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৭ লাগিল। ইচ্ছা করিলে সে আজ সমুদ্রমেখলা ধরণীর অধিশ্বরী হইতে পারে, কিন্তু এরূপ জীবনকে সে মৰ্ম্মমধ্যে ঘৃণা করে । এ মুখের তৃষ্ণ তার নাই,--শক্তিকে বরণ করিবার তার নাই। এই ব্রাহ্মণকুমারকে বরণ করিয়া সাহসও দৈত্যকুমারকে ক্ষুব্ধ করিলে সুধম্বার উপর ৰিরোচনের প্রবল শক্তির পীড়ন আরম্ভ হইবে সে কথাও সে কোনমতেই ভুলিতে পারিতেছে না । এক দিন সন্ধ্যায় বিলাস বাহুল্য-মণ্ডিত বিরোচন কিশোরীর গৃহে আসিয়া উপস্থিত হইলেন । কন্যা তাহাকে সাদরে অভিবাদন করিয়া এক বহুমূল্য আসনে উপবেশন করাইল । অ{জ বিরোচন কেমন বিরক্ত ও বিষগ্ন । মুকেশী জিজ্ঞাসা করিল “আজ আপনার মনটা এত বিযগ্ন কেন রাজকুমার ?” “ব্রাহ্মণের দিন দিন শঠতায় ও ঔদ্ধত্যে পুর্ণ হইতেছে। তাদের যথাস্থানে প্রতিষ্ঠিত করা অবশ্যক।” বিরোচনের স্বর ব্রাহ্মণদ্বেষে পূর্ণ। “সুধন্বা আমার নিকট আসে বলিয়াই কি আপনি একথা বলিতেছেন ?” সুন্দরী মনে করিল বুঝি সেইজন্সই বিরোচনের श्रेई हड़ेब्रां८छ् । রাজকুমার বলিলেন—“ন, তার জন্ত তেমন নয়। এটা একটা জাতিগত কথা । আমার স্বজাতি দৈত্যগণই সৰ্ব্বপ্রধান ও শক্তিবান । তাহারা স্বর্গমর্ত্য শাসন করিতেছে, এমন কি স্বয়ং দৈত্যগণও তাহীদের ভয়ে ভীত । কিন্তু এসব সত্ত্বেও ব্রাহ্মণগণ যে শ্রেষ্ঠতার ভাণ ক’রে আমাদের উপর আধিপত্য করে, এ অসহ । এ পুরোহিত গুলার ধৃষ্টতা আর সহ হয় না।”