পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՖԵ Յ অগ্নি র্যাহার মূদ্ধ, চক্ষু চন্দ্র স্বর্যা, দিকসমূহ শ্রোত্র, বাক্য বেদ, বায়ু প্ৰাণ, হৃদয় বিশ্বলোক, চরণ পৃথিবী । হৃদয়ের এই তুঙ্গ শিধর হইতে যে উৎসটি নামিয়াছে—তাহ ঝড় অঝড় চেতন অচেতনের বিভেদ মানে নাই— পশু, পক্ষী, কীট, পতঙ্গ, তরুলতায় তাহ প্লাবিত করিয়া গিয়াছে । দিগ্বিজয়ী রাজা দিীপ রাজ্ঞীসহ বনছায়ায় নন্দিনী গাভীর তৃণাহরণ করিয়াছে, দীনবেশে ষাজ্ঞিকের মত রাজসম্মান ত্যাগ করিয়া সম্বৎসর তাহার পরিচর্য্যা করিয়াছে । সে কি বিরাট সমারোহ ! তাহ। বর্ণনা করিতে মহাকবির সর্গের পর সর্গ রচিত इझेब्रांtछ् उदू ८*रु झग्न नांझे ! भांशदी झाडांब्र সহিত সখীত্বে আবদ্ধ, শকুন্তলা পতিগৃহে যাত্রাকালে সেই সযত্ন জল-সেবিত ক্ষীণাঙ্গী লতার পুম্পোদগম ও আশ্রম তরুগণের ছায়ানিবিড় শাখার দিকে সাশ্র নেত্রে সে ফিরিয়া চাহিতেছে, রাজ্যাধীপ স্বামীর সে'হাগ স্মৃতি , তাহা বারণ করিয়া রাথিতে পারিতেছে না। এই জটাজুটধারী সন্ন্যাসী ভারতের বক্ষস্থলে যে অসীম প্রেম উত্তপ্ত হইয়া ফুটিতেছিল, তাহা উৎসারিত করিয়া দিতে তাহার স্থান কুলায় নাই, কাহারে কথা সে বিস্তৃত হয় নাই, কাহারো বেদন সে তুচ্ছ করে নাই, তাহার বিশাল প্রাণের বিরাট পরিসরের ভিতর বিশ্বনাথের বিশ্বরূপ ভরিয়া গিয়াছিল! প্রাচীন ভারতের ঈশ্বরারাধনা একট অত্যন্ত নিগুঢ় ব্যাপার। নিভৃতে, নির্জনে, ইন্দ্রিয় প্রাণ নিরোধক তাচার অনুষ্ঠান একেবারে বহির্জগত ছাড়াইয়া গিয়াছে। প্রথমেই তাহার যেখানে দাড়াইতে হইয়াছে তাহ ঐকান্তিক ভারতী । আষাঢ়, ১৩১৭ একাগ্রতা—তাহার এতটুকু ব্যতায় হইলে চলিবে না । হৃদয়ের এই প্রবাহ– বিষয় সমূহ যাহাতে প্রতিনিয়ত তরঙ্গ জাগাইতেছে তাহাকে সে একটা অমিত স্থৈৰ্য্যের দ্বারা বন্ধন করিয়া তাহার উপর বিশ্বনাথের নিস্তরঙ্গ আসনটি বিছাইয়াছে, কারণ— “নায়ম্ আত্মা প্রবচনেন লভ্যো, ন মেধয়া ন বছন শ্রীতেন যমেবৈষ বুধুতে তেন লভ্য স্তসেষৈ আত্মা বৃণুতে তণুং স্বাম্। এই আত্মাকে বেদাধ্যয়ন কি স্ব মেধা দ্বারা লাভ করা যায় না, র্যtহাকে ইনি আত্মদর্শনার্থ প্রেরণ করেন তাহা দ্বারাই ইনি লভ্য । মন যখন হইতে প্রত্যাবৃত্ত হইয়। তাছার প্রতি স্থির লক্ষ্য হয়, তখনই তাহাকে প্রাপ্ত হওয়া মায়, বিশ্বসংসার যখন মনের কাছে আসিয়া উপস্থিত হয় তখন নয়। এ কথাটা আমরা সম্প্রতি ভুলিয়া গিয়াছি, আজ আমরা বিরাট জনসত্তেঘর সন্নিবেশ ছাড়া তাহাকে ডাকিতে পারি না, আমাদের অন্তরে এমন দৈন্ত প্রবেশ করিয়াছে ষে একাকী আমরা তাহার সন্মুখীন হইতে পারি না ! নিজের ভাণ্ডার খালি বলিয়৷ আমাদের নিরস্তর পরের ধন দিয়৷ আপন নগ্নতা ঢাকিতে হইতেছে, আপনার নিভৃত একাগ্রতাকে ছাড়িয়া বহুজনের সম্মিলিত শক্তির দ্বারা হৃদয়ের শূন্তত পুরাইবার জন্ত চেষ্টিত হষ্টতে হইতেছে ! পরস্পরে গভীর অনুরক্ত প্রণয়ী যেমন তৃতীয় পক্ষের উপস্থিতিতে প্রসন্ন না হইয়া বাধাই পাইতে থাকে, প্রাচীন ভারতবর্ষ তেমনি তাহার ও তাহার প্রিয়তমের মাঝখানে