পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, তৃতীয় সংখ্য। চয়ন—মুর্শিদাবাদের প্রাচীন কাহিনী । २२७ মুর্শিদাবাদের প্রাচীন কাহিনী। ( পূর্বের অনুবৃত্তি ) মুর্শিদাবাদের ইতিহাসে আলিবর্দী খাঁর নামই সৰ্ব্বপ্রধান । পঞ্চদশ বর্ষ রাজত্বকালের নানা ঝড় ঝঞ্চার মধ্যে তিনি এরূপ মহৎ গুণাবলীর পরিচয় দিয়াছিলেন, যাহা হইতে নিঃসন্দেহে বলিতে পারা যায় যে উtহার সমসাময়িকগণের মধ্যে তিনি সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ যোদ্ধা ও বীর ছিলেন এবং উাহার ল্পায় বিচক্ষণ রাজনীতি জ্ঞ ও তৎকালে দুষ্প্রাপ্য श्लि । ऊँशि* छविना९ मृछेि ७ श्रमां५iब्र१ मार्श्वtभंद्र ফলে তিনি মুর্শিদাবাদকে তৎকালীন রাজধানী সকলের মধ্যে উচ্চাসনে প্রতিষ্ঠিত করিয়ছিলেন, এবং তাহাকে পূৰ্ব্ব ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্পকলা ও সাহিত্যসাধনার কেন্দ্রস্থল করিয়া তুলিয়াছিলেন । প্রাচীন ঢাকা নগরীর গৌরবঘট। তখন উজ্বল নীরবতার মধ্যে নিমজ্জিত ; যে দিল্লিনগরী এতকাল অতীত ভারতের বিশাল সাম্রাজ্যের বিচিত্র স্মৃতিত্ব সহিত জড়িত ছিল এবং যাহা বহুশতাব্দী ধরিয়৷ প্রাচ্যদেশের যাবতীয় শ্রেষ্ঠ ও সুন্দর বস্তুর কেন্দ্র স্থল ছিল, সে দিল্লি ও তখন অধঃপতনোমুখ ; দক্ষিণভারতের বিশাল মুসলমান সাম্রাজা ভারতে আধিপত্য বিস্তীরলোলুপ দুই ইয়ুরোপীয় জাতির কৌশলজালে জড়িত হইয়া কিছুদিন হইতে পীড়িত। দেশের এই দুর্দশার দিনে একমাত্র মুর্শিদাবাদই ইহার পারদর্শী নবাবের নেতৃত্বে মুসলমান বীৰ্য্য ও গৌরব প্রকাশে সক্ষম হইয়াছিল। মুর্শিদাবাদ তদানীন্তন ভারতের মধ্যে এতাদৃশ মূল্যবান নগরী বলিয়া বিবেচিত হইত যে ल्लोिब्र गजप्ने श्वाश् आज्ञभ श्श्वन जङ्गङ्गाप्छङ्ग शृङ्गा 3 আলিবন্দীর বিদ্রোহ ও সিংহাসন লাভের সংবাদ পাইলেন, তখন তিনি মুর্শিদাবাদের অধঃপতন অtশঙ্কায় অশ্রপাত করিয়াছিলেন । কিন্তু তালিবদা মুর্শিদাবাদের গৌরব হীন করা দূরে থাক, বৰ্দ্ধন করিয়া তুলিয়ছিলেন । একজন প্রখ্যাতনাম ইংরাজ ঐতিহাসিক আলিবন্দীর মহত্ব বর্ণনাকালে বলিয়াছেন যে, উহার সমসাময়িক প্রাচ্য নৃপতিগণের भt९J १कमांज ऊँांशंt:कई cदद कथन s रुङJां कब्रिसांद्र • বৎসরের অধিক । বাসন করে নাই । তাহার সদুগুণাবলী এবং উইtর চমক fদ রণযাত্রা ও বিজয়গৌরব এবং বার বার শক্ৰ জয়ে ও দুষ্ট দমনে কৃতকাৰ্য্যত তীtহীকে তাহার প্রজার প্রিয়পাত্র করিয়া তুলিয়ছিল। আলিবর্দী যখন সিংহাসনে আরোহণ করেন তখন তাহার বয়স যাট ত{হার পরেও দশ বৎসর তিনি প্রবল পরাক্রমে রাজত্ব করিয়াছিলেন । তাহার রাজত্বকালেই মুর্শিদাবাদ উন্নতির শীর্ষস্থান আরোহণ করে ; তাহার দরবার দেশের শ্রেষ্ঠ কলাবিৎ ও গায়কে পরিপূর্ণ থাকিত : তাহার প্রাসাদ দরিদ্র ও পীড়িতের আশ্রয় স্থল ছিল । তিনি মুর্শিদাবাদকে শিক্ষা ও সাধনায় এরূপ উন্নত করিয়াছিলেন যে, তাহার মৃত্যুর তিন বৎসর পরেও ক্লাইভ ইহাকে লণ্ডন নগরের সহিত সমতুল্য বলিয়। ঘোষণা করিতে কুষ্ঠিত হন নাই। যুদ্ধক্ষেত্রের যম নবাব আলিবর্দী খাঁ ১৭৪ খৃষ্টাব্দে মুর্শিদাবাদের মসৃনদে আরোহণ করেন । ঘেরিয়ার ভীষণ যুদ্ধে সরফ্রাজকে পরাজিত করিয়া তিনি একদিন নগরের বাহিরে অবস্থান করিলেন, পাছে উহার লুণ্ঠনপ্রিয় সৈনিকগণ নগর লুণ্ঠন করিয়া তাহার সুন্দর স্থপতিকীৰ্ত্তিগুলি নষ্ট করে । লগরের তোরণদ্বারে প্রবেশ করিয়াই তিনি সৰ্ব্বপ্রথম রাজপ্রাসাদে যাইয়। মুর্শিদের কম্বা ও হতভাগ্য নবাব সরফ্রাজের জননী যেয়নেৎ-অল-নিসার সহিত সাক্ষাৎ করিলেন প্রাসাদদ্বরে হস্তী হইতে অবতীর্ণ হইয়া নতশিরে নবাব-জননীকে অভিবাদন করিয়া বলিলেন— “অদৃষ্টে যাই লিখিত ছিল তাহ ঘটিয়াছে। আপনার অযোগ্য ভূত্যের অকৃতজ্ঞতা ইতিহাসের অমর পত্রে মুদ্রিত হইল। কিন্তু আজ সে শপথ করিয়া বলিতেছে যে ভবিষ্যতে কোনও দিন সে আর সম্মান বা বস্তৃতায় পথ হইতে বিচলিত হইবে না । সে আশা করে কালে আপনার ক্ষমাপূর্ণ অস্তর হইতে তাহার দুষ্কর্মের কালিম মুছিয়া সাইবে এবং আজ আপনি তাহার সম্পূর্ণ বশ্বতা ও কর্তব্যপরায়ণতার নিদর্শন স্বরূপ এই উক্তিগুলি সস্নেহে গ্রহণ করিবেন।"