৩৪শ বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা। মুর্শিদ জাহাজে চড়িয়া মামুলিপট্টমে পলায়ন করিলেন । কিছুকাল উড়িষা শাস্ত হইয়া রহিল কিন্তু অচিরেই আবার অশান্তি আসিয়া উপস্থিত হইল। বিলাসপ্রিয় ভীরুস্বভাব নুতন শাসনকৰ্ত্ত। প্রজাগণকে রাজার প্রতি বীতানুরাগ করিয়৷ তুলিলেন, এবং বিপদের একমাত্র সহায়স্বরূপ সৈন্যবলকে উপেক্ষা করিয়া আপনার সর্বনাশ আপনি সাধন করিলেন । প্রজাগণ গোপনে মুর্শিদ কুলিকে শাসনভার গ্রহণ করিবার জন্ত আহবান করিয়া পাঠাইল । মুর্শিদ নিশ্চিন্তচিত্তে সংসারযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করিতেছিলেন, তিনি পুনরায় রণক্ষেত্রে ভাগ্যনির্ণয়ের পরীক্ষায় অবতীর্ণ হইতে প্রবৃত্ত হইলেন না। বকির র্থ নামে র্তাহার এক ধূৰ্ত্ত সেনাপতি অনায়াসে উড়িষ্যাবাদীর প্রস্তাবে সম্মতি প্রদান করিলেন এবং দেশে সাধারণ বিদ্রোহ উপস্থিত করাইয়৷ সাউলাৎকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করিলেন। উড়িষ্যার এই গোলযোগের সংবাদ পাইবামাত্র আলিবন্দী বিশ সহস্র পদাতিক ও অশ্বারোহী সৈন্ত লইয়৷ যাত্রা করিলেন, এবং সৈনিকগণকে উৎসাহিত করিবার জন্ত ঘোষণা করিলেন, যে কেহ সাউলাৎকে কারাগারমুক্ত করিতে পরিবে তাহকেই প্রচুর পুরস্কার প্রদত্ত হইৰে । এবার আলি মুর্শিদাবাদের শাসনভার তাহার জামান্ত শাহ্মতের উপর ন্যস্ত করিয়া গিয়াছিলেন । উড়িষ্যায় উপনীত হইয়। বকিরকে পরাজিত করিয়া নবাব তাহকে দেশ হইতে বিদূরিত করিয়া দিলেন। সাউলাৎ নিরাপদে মুক্তি লাভ করিলেন । পরামর্শ হইয়াছিল যে যদি বকিরের পরাজয় হয়, তাহ হইলে সাউলীতের শিৰিকার প্রহরিগণ তৎক্ষণাৎ শিবিক মধ্যে তাহাদিগের বর্ষবিদ্ধ করিয়া বকিরের প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রাণ বধ কব্লিবে । সাউলাৎকে কৌশলে শিবিকা হইতে স্থানান্তরিত করিয়া তাহার বৃদ্ধ পিতা হাজি আহমদ শিবিকার মধ্যে অৰস্থান করিতেছিলেন । ভ্রমক্রমে গ্রহংিগণ র্তাহাকেই বধ করিবার উপক্ৰম করিয়াছিল । বিজয়লাভে নিশ্চিন্তু হইয়া আলিবন্দী এই স্থানে চয়ন—মুর্শিদাবাদের প্রাচীন কাহিনী। २२¢ তাহার সৈনিকগণকে বিদায় দান করিলেন । এই ভ্রমের ফলে অনতিবিলম্বে মহারাষ্ট্রদিগের বঙ্গ আক্রমণকালে তাহীকে বিশেষ বিপদগ্ৰস্ত হইতে হইয়াছিল। মহম্মদ মসুম নামে তাহার এক বীর ও বিচক্ষণ কৰ্ম্মচারীকে উড়িষ্যার নায়েবের পদে নিযুক্ত করিয়৷ ১৭৪১ খৃষ্টাব্দে তিনি মুর্শিদাবাদ অভিমুখে যাত্র করিলেন । পথিমধ্যে, মেদিনীপুর নগরে অলিখদা শুনিলেন যে, বেরার মহারাষ্ট্রের অধিপতি ভেসেল) উtহার প্রধান সেনা-নায়ক পণ্ডিত ভাস্কর রাওর নেতৃত্বে নবাবের নিকট হইতে বঙ্গের 'চৌথ অর্থাৎ রাজস্বের এক চতুর্থাংশ আদায় করিবার জন্ত চল্লিশ সহস্ৰ সেনা প্রেরণ কষিয়াছেন। তিনি তৎক্ষণাং दूदिलन cग भशंब्रट्टे-मछ cरशtब्रब्र भ१] मिग्रा वरण প্রবেশ করিবে। তিনি দ্রুতপদে মুর্শিদাবাদের দিকে যাত্রা করিলেন । মুর্শিদাবাদে যাইয়া মহারাষ্ট্রগণকে রাজ্যপ্রবেশে বাধা দিবীর সংকল্প করিলেন । কিন্তু যাত্রা করিতে না করিতেই তিনি শুনিলেন মহারাষ্ট্রগণ রাজ্য মধ্যে অtসিয়া উপস্থিত হইয়াছে । তাহারা দক্ষিণপথ দিয়া প্রবেশ করিয়াছে এবং উtহার নিকট হইতে বিশ ক্রোশ দূরেও নাই । ছল ও কৌশলই এক্ষণে পরিত্রাণের একমাত্র উপায়। নবাব তৎক্ষণাৎ বদ্ধমানের দিকে অগ্রসর হইলেন ও তথায় তাহার যুদ্ধদ্রব্যাদি রাখিয়া দ্বিগুণবেগে মুর্শিদাবাদ যাত্রা করিলেন । দ্রব্যাদি রক্ষকগণ নির্দয় লুণ্ঠনকারী মহারাষ্ট্রের যথেচ্ছ পীড়নের পাত্র হইয় পশ্চাতে পড়িয়া থাকিতে অসম্মত হইল। স্বল্পশস্ত্র দ্রুতাশ্বtরোহী লুণ্ঠনকারিগণ নবাবের সৈন্ত অপেক্ষ স্বভাবতই অধিক দ্রুতগামী । বৰ্দ্ধমানের কুয়েস্ক ক্রোশ দূরেই তাহার নবাবের দ্রব্যাদি আক্রমণ করিল, পশ্চাৎপদ যাবতীয় সৈনিককে হত্য করিল এবং পথিমধ্যস্থ গ্রাম সকল ধ্বংস কল্পিল । বঙ্গে প্রবেশ করিয়া ভাস্করের চৌধ' স্বরূপ দশ দক্ষ মুদ্র দাবী করিয়া বসিল এবং এক্ষণে আলিবদাঁও উক্ত অর্থ দানে সম্মত হইলেন । কিন্তু পরে জয়েল্লি'লে উত্তেজিত মহারাষ্ট্র সেনা আলিবন্দীর প্রস্তাবকে ঘৃণার
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/২৩৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।