পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*や● মত পোষাক-পরা, হাতে ক্ষুদ্র তরবারি ও নস্তদানী লইয়া দাড়াইয়া আছে। ক্যাজটি তীক্ষ দৃষ্টিতে মডেলের প্রতি চাহিল। “এতক্ষণে তাহলে পিরি এসেছে ! “ন, না, পিরি তো নয় । সে সাংঘাতিক পীড়ায় শয্যাগত বলে আসতে পারেনি একজন প্রতিনিধি পাঠিয়েছে । জ্যাকুস তোমার মাথা বা দিকে একটু ফেরাতে হবে। আপনার দলই জিতেছে, না, ক্যাজটি মশায় ? ব্যাপারটা দেখচি বড় সহজ নয় ! ষে রকম গোলমাল শোনা যাচ্চে, তাতে মনে হয় ত, তার নীতিজ্ঞানশূন্ত হয়ে দেশ উজাড় করচে ৷” ক্যাজটি আসন গ্রহণ করিলেন এবং উত্তর দিবার পূৰ্ব্বে আবার একবার মডেলের গানে চাহিয়া দেখিলেন, কহিলেন,“ই জাতীয় দলই জয়ী হয়েছে, সম্পূর্ণ জয়ী। ভাড়া করা কসাইগুলোর মধ্যে একটা ও বেঁচে অাছে কি না, সন্দেহ। সিটিজেন লুইস কেপেট সপরিবারে টুইলার ছেড়ে গেছে। সুইস্র রক্ষী ছিল। পেটিয়টদল প্যালেসে পৌছিলে বন্দুকের গুলি দিয়ে তাদের অভ্যর্থনা করেছিল, অনেক পেটি স্কুট মারা গিয়াছে, এমন সময় সিটিজেন ক্যাপেট গুলি চালান বন্ধ করবার হুকুম পাঠায়।” “উত্তম, বাকি অংশটা কেবল झङJांकt७ ?” “মারসিনারির খুব শিক্ষা পেয়ে গেছে। যাহোক অন্তদল থেকে আমাদের কোন কষ্ট পেতে হয়নি। তোমার মডেলকে যে বড় ক্লাস্ত দেখাচ্চে, একে কেউ দেখলে মনে করবে, বুঝি এইমাত্র ভয়ানক ছুটে পালিয়ে এসেছে”। “আমি যে অপেক্ষায় ভারতী । আষাঢ়, ১৩১৭ ছিলেম, ক্যাজটি মশায়, সে জন্ত জ্যাকুসকে আমি ধন্যবাদ দি{চ্চ ।” “নিশ্চয় ! আমি কি জিজ্ঞাসা করতে পারি, মডেলটি ফরাসী কিনা ?” “তা আমি কেমন করে বলবো ? মডেলের সঙ্গে কেউ এ সব বিষয়ে কথা কইতে বসে না,আমার এই পৰ্য্যন্ত দরকার যে তার চেহারাটি ভাল।” “ত সত্য ! আমার ভয় হচ্ছে, আপনি আপনার অবস্থা বুঝছেন না। এ বাড়ি খুব ভাল রকম অমুসন্ধান করবারই সস্তাবনা, তা কি ভুলে যাচ্চেন ? পেটি,প্লটর খুব কাছে এসেছেন।” “অসম্ভব! কিছুতে এরকম অত্যাচার হতে পারবে না, আমি এ অশিষ্টতা সহ করতে পারব না। ক্যাজটি মশায়, আপনার তো ঐ সব দস্থ্যবীরদের উপর কিছু ক্ষমতা আছে, আপনি অবশু তাদের বাধা দেবেন ?” “আমি !” ক্যাজটি বিস্মিতনেত্রে সোফির পানে চাহিলেন, “স্বয়ং জেনারেল লাফেট বা মিরাবো পর্য্যন্ত এ অনুসন্ধান বন্ধ করতে পারেন কিনা সন্দেহ । আমার উপর আপনি কোন ভরসা রাখবেন না।” “ওঃ, বুঝেছি, আমাকে বধিত কৰ্ব্বার জন্য আপনি নিজেকে বিপদগ্ৰস্ত করতে ইচ্ছুক নন, জ্যাক্স, একটু স্থির হও, নড়োনা—”ক্যাজট ঘরের অপর প্রাস্ত পৰ্য্যস্ত পায়চারি করিয়া আসিয়া সোফির চিত্রের সন্মুখে দাড়াইলেন । সোফি এক মনে ছবির দিকেই চাহিয়াছিল। ক্যাজটির মুখে তীক্ষ্ণ বিদ্রুপের হাসি ফুটিয়া উঠিল । কেশের মধ্যে অঙ্গুলি প্রবেশ করাইয়া তিনি বলিলেন, “আজ আমি আপনার ছবির মুখ্যাতি করতে পারলেম না, কুমারি । আপনার অসাধারণ অঙ্কন