পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/২৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৬ ভূষণের বিশেষ অনুরাগিনী। কোন মেল উপলক্ষ্যে তাহাদের বেশভূষার বিশেষ পারিপাট্য লক্ষিত হইয়া থাকে ! এখানে স্ত্রীলোকেরাও চাষের কার্য্য করে। বহুবিবাহ-প্রথার এখানে প্রচলন আছে। যাহার একটু ধনবান গৃহস্থ, কিম্বা প্রচুর জমিজমার অধিকারী, সাধারণতঃ তাহাঁদের অনেক কৰ্ম্মীর প্রয়োজন হয়। কাজেই বহুবিবাহ তাহাদিগের পক্ষে অপরিহার্য্য হইয় উঠে। বিবাহের পুৰ্ব্বে বরপক্ষ কম্ভাপক্ষকে বিস্তর যৌতুক দিয়া থাকে এবং আত্মীয় স্বজনের মধ্যে রীতিমত প্রতি ভোজেরও ব্যবস্থা আছে। এই সকল কাৰ্য্যে ‘লুগরি’ নামক একপ্রকার দেশী মদ্য প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয় । সাধারণতঃ একাদশ বা দ্বাদশ বৎসর বয়সেই বালিকাদিগের বিবাহ হয়, বিবাহিত বালিকাদের মধ্যে অনেকটা স্বাধীনতা ও আছে । কুলুদেশের বর্তমান কৃষিকৰ্ম্মপদ্ধতি দশসহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বেকারই অনুরূপ। পূৰ্ব্বে বলিয়াছি, কুলু দেশের কৃষিক্ষেত্রগুলি সাধারণতঃ অতি অল্প পরিসর স্থানে সীমাবদ্ধ। এইজন্ত হলচালনে সুবিধা না হওয়ায় হস্ত খারাই জমি কৰ্ষিত হইয় থাকে। এখানে মই দিবার ব্যবস্থা ও অন্তরূপ। একখানি বড় তক্তার উপর আর একটী তক্তা রাখা হয়। সেই তক্তা দড়ির সাহায্যে কৰ্ষিত জমীর উপর দিয়া টানিয়া লইয়া যাওয়া হয় । ইহাদিগের মধ্যে শস্ত-সংগ্রহের প্রথাও বিশেষ আয়াসসাধ্য। প্রত্যেক শস্তের শীষ পৃথকভাবে ংগৃহীত হইয় থাকে। শস্ত হইতে দ্বান বাহির করিবার ব্যবস্থা অনেকটা বঙ্গদেশেরই ভারতী । আষাঢ়, ১৩১৭ অনুরূপ। উপত্যকায় বসতি যে খুব ঘন, তাহা নহে। এই জন্ত যে সামান্ত শস্ত উৎপন্ন হয় তাহাতেই দেশবাসীর অন্নাভাব দূর হয়। কুলুজাতি বেশ আমোদপ্রিয়। কুলুজাতির আমোদ মেলায়। আমাদের দেশের মেলায় অনেক দোকান-পাট বসিয়া থাকে। স্থানীয় জনসাধারণ হাটবাজার, আমোদ সালঙ্কার কুলুকুমারী। প্রমোদ প্রভৃতি করিয়া থাকে। কিন্তু কুলুদিগের মধ্যে এরূপ কোন ব্যবস্থা নাই। তাহাদিগের মেলায় সাধারণতঃ দুই তিনখানি গ্রামের অধিবাসী একত্র সম্মিলিত হয়। যে যাহার গ্রামের দেবতা লইয়. আসে। সেই সকল দেবমূৰ্ত্তি মধ্যে রাখিয়া নাচগান আমোদআহলাদ করে। সেদিন প্রত্যেকেই কিছু না