পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা। কিছু মদ্যপান করিয়া থাকে। এই সময়ে স্ত্রীলোকদিগের মধ্যে, সাধারণতঃ, বিলাস্তিার প্রাবল্য দেখিতে পাওয়া যায় । পুরুষের রঙ্গিন টুপি এবং পুষ্পমালো ভূষিত হইয়া মেলায় যোগদান করে । কুলুদিগের মধ্যে কোন দুরারোগ রোগের প্রাগ্রভাব দেখা যায় না। নিম্ন উপত্যকায় শরৎকালে কখনো কখনো ম্যালেরিয়ার প্রকোপ হয় বটে, কিন্তু, এত সামান্ত যে দুই এক মাত্রা কুইনাইন সেবনেই তাহ আরোগ্য হইয়া যায় । সমুদায় উপত্যক প্রদেশে কেবল বাত ও গলগণ্ড রোগেরষ্ট যা একটু প্রাচুর্ভাব। ভূটান, লাডফ, নেপাল, তিববত প্রভৃতি যে সকল স্থানে শীত আরও অধিক, থাকার অধিবাসীগণ অনেকেই শীতকালট এখানে কাটাইতে আসে । এই সকল প্রবাসী সাধারণতঃ বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বী। তাহার নদীর ধারে তাবু খাটাইয়া বাস করে ; এবং কোনরূপে প্রবল শীতের কয় মাস কাটাইয়া দেয়। তাঁহাদের নিকট সৰ্ব্বদাই একটা ছোট বাক্স দেখিতে পাওয়া যায় । এই বাক্সে তাহীদের প্রার্থনাচক্র এবং তিববত দেশীয় বৌদ্ধধৰ্ম্ম সংক্রান্ত সাজসরঞ্জামাদি থাকে। সিংহল, ব্ৰহ্ম, জাপান প্রভৃতি প্রদেশে প্রচলিত বৌদ্ধধৰ্ম্মের সহিত ইহাদের ধৰ্ম্মের মিল নাই। বৌদ্ধ ধর্মের স্বল্প আবরণের মধ্যে ইহা ভোজবাজী, দৈত্য চয়ন—মধ্যহিমালয়ের কুলুজাতি। ২৩৭ পূজা ও কুসংস্কার সংমিশ্রণ ভিন্ন আর কিছুই নহে । ইহাদের বিশ্বাস, বাতাসে ভূতযোনি , বাস করে। কোন উপায়ে নিজেকে বিপদ হইতে রক্ষণ করাই ইহাদের জীবনের প্রধান উদ্বেগু। এইজন্য প্রত্যেক লামা ( ধৰ্ম্মগুরু ) অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত থাকে এবং প্রত্যেক স্ত্রীপুরুষেই এক একটা মাদুলি ५ींद्र१ कtद्र ! কুলুর বাহ্যিক ধৰ্ম্মভাবটা বড় বেশি বলিয়া বোধ হয় । চারিদিকেই লামাদিগের মঠ । এগুলি সাধারণতঃ প্রস্তরনিৰ্ম্মিত এবং বহু কোণ যুক্ত। প্রত্যেক প্রস্তরখণ্ডে লেখা আছে “ওঁ মণিপদ্মে স্তম্” । লামাগণ এই সকল মঠ প্রস্তুত করিয়া তথাকার অধিবাদিগণের নিকট তাহা বিক্রয় অবধি করিয়া থাকে। এখানে লামা সম্প্রদায়ের সংখ্যা এত অধিক যে, প্রত্যেক ছয়জন অধিবাসীর মধ্যে অন্তত একজন লামা আছেই। ইছারাও আবার দুইটী বিভিন্ন দলে বিভক্ত। একটা দলের নাম গেলুগু-প ( gelugpa ) এবং অপর দলের নাম নির্মা-পা I (Nin-ma-pa) কুলু উপত্যকা সকল জাতির পক্ষেই বেশ স্বাস্থ্যকর স্থান । নাসপাতি আপেল প্রভৃতি ফলের জন্ত এ স্থান প্রসিদ্ধ। খাদ্যদ্রব্যও এখানে নিতান্ত দুৰ্ম্ম,ল্য নহে। মুতরাং অল্প খরচেই বেশ স্বচ্ছন্দে চলিয়া যায়। ঐগুরুদাস আদক।