পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/২৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

는 89 ऊां★उँौ । আষাঢ়, ১৩১৭ বন্দী। ফিরিয়া দুই হাতে মাথা রাখিয়া আমি শয্যার আশ্রয় গ্রহণ করিলাম। প্ৰাণটা অস্থির হইয়া উঠিয়াছিল—এই পাষাণ দেয়ালের প্রত্যেক কথাটি জানিবার জন্ত এক বিরাট অtগ্রহ ! অন্ধকারে দেয়াল হাতড়াইতে লাগিলাম! মাকড়সার জালে হাত জড়াইয়া গেল। জাল মুক্ত করিয়া শয্যার উপর বসিলাম ! ঘুমে চোখ ভরিয়া আসিতেছিল । নিদ্রা-ভঙ্গে দেখি, কক্ষে অস্পষ্ট আলো আসিয়াছে । আবার সেই পাষাণ দেয়ালের সম্মুখে দাড়াইলাম । দেয়ালের কোণে চারিটি নাম লেখা,— দীতে, ১৮১৫ ; পুলে ১৮১৮ ; জিন মার্টিন ১৮২১ ; কাস্তের্গ ১৮২৩ ৷ নামগুলার সহিত কি এক ভীষণ স্মৃতি মনের মধ্যে জাগিয়া উঠিল । দার্তে ভ্রাতৃহন্তা, পিশাচ পুলে তার স্ত্রীকে হত্যা করিয়াছিল, জিন মার্টিন বন্দুকের গুলিতে বৃদ্ধ পিতার মাথা উড়াইয়া দিয়াছে, আর কাস্তের্গ—ডাক্তার কাস্তেগ তার বন্ধুকে বিধ দিয়াছিল ! আমার সমস্ত প্রাণখান শিহুরিয়া উঠিল। তাহাদেমি শেষ নিশ্বাসে এ গৃহের বায়ু এখনো যেন ভরিয়া রহিয়াছে ! এই শয্যার উপর তারা তাদের রক্তমাখা হৃদয়ের শেষ কথা, শেষ চিন্তাটুকু ঢালিয়া দিয়াছে! এই ঘরের মধ্যেই তারা চলা-ফেরা করিয়াছে ! আজো তাদের দীর্ঘশ্বাস এ ক্ষুদ্র ঘরটিকে উষ্ণ রাখিয়াছে —শীতল হইবার অবকাশটুকুও দান করে नाहे !

  • >

তার পর, আমি তাদেরি পিছনে আসিয়া দাড়াইয়াছি । তারা যেন চারিধার হইতে হাত নাড়িয়া আমাকে ডাকিতেছে—ঐ না তাদের কণ্ঠস্বর শুনা যায় ! আমি চক্ষু মুদিলাম। তাদের মূৰ্ত্তি যেন আরো স্পষ্ট হইয়া উঠিল! এ সত্য, না স্বপ্ন, না মতিভ্ৰম ! খানিকটা জল পায়ে লাগিল—কি, এ ! মাকড়সা—বড় একটা মাকড়সাকে আমি পা দিয়া চাপিয়া মারিয়াছি—ইহারই জাল আমার হস্তম্পর্শে ছিড়িয়া গিয়াছে ! আমার চেতন হইল— এতক্ষণ যেন মূৰ্ছিত হইয়াছিলাম ! কি সব : ছায়ামূৰ্ত্তি আমার চারিধারে ঘুরিতেছে! না, না ! মনকে সুস্থ সবল করিতে হইবে । পলে পলে মৃত্যু যন্ত্রণা! ইহার গ্রাস হইতে উদ্ধার পাইতেই হইবে। দার্তে। পুগের দল কবরের নীচে নিদ্রা যাইতেছে --তারা এখানে আসিবে না, কখনো না— বৃথা তাদের চিস্তায় কেন অবশ হইয়া পড়ি ! এ কারাগৃহ হইতে পলায়ন বরং সম্ভব, কিন্তু মাটির নিম্নে, কবর ভেদ করিয়া বাহির হওয়া একেবারে অসম্ভব ! তবে, কেন, আমি মিছা ভয়ে সারা হই ? ૪૨ উজ্জল, প্রশস্ত দিবালোক । কারার চারিধার হইতে একটা কোলাহুলের ধ্বনি আসিতেছিল। প্রকাও ভারী দ্বারগুলা মুক্ত ও বদ্ধ করিবার শব্দে, চাবীর ঝন ঝন আওয়াজে, চীৎকার-ধ্বনিতে চারিধার মুখরিত হইয়া উঠিতেছিল ! এই নীরস, কঠিন পাষাণ