৩৪শ বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা । ] রতনবাৰু কহিলেন, “খুব ভাল কথা ।” আমরা কহিলাম, “তা হলে, এখনি ভূত দেখাইবেন ত?” দলের মধ্যে একজন ছিল—যাদব মিত্র, এখন সে ব্যারিষ্টার—তার ভূতের ভয় ছিল । সে কহিল, “তোমরা কি ঘুমাতে দেবে না ? ভূতের হাঙ্গামা বাধাইয়া তুলিলে!” আমরা তখন উৎসাহে মত্ত--বেচারার কথা গ্রাহের মধ্যেই আনিলাম না । ब्रङनवांदू कश्लिन, “éद्र १९न उग्न ठां८छ्, তখন এখানে ও সব হাঙ্গামা না করাই ভালো, শেষে —* আমরা কহিলাম, “কোথtয়, তবে যাব, এই জলে, কাদীয় ?” কস্তাপক্ষীয় একটি ভদ্রলোক আমাদিগের অভ্যর্থনীর জন্ত উপস্থিত ছিলেন,—তিনি কহিলেন,--“দু রশিটাক দূরে বাঙলা স্কুল আছে, সেখানে গেলে হয় না ?” “খুব ভালো হয় ~-" বলিয়া রতনবাবু অগ্রসর হইলেন । আমরা ও পশ্চাতে চলি লাম । কাদা বা জলের জষ্ঠ, তখন আর এতটুকু দ্বিধা ছিল না। বিবাহবাট হইতে গীতধ্বনি শুনা যাইতে ছিল । বাঙলা স্কুল খুলাইয়া কস্তাপক্ষীয় ভদ্র, লোকটি, দালানে, বেঞ্চ টানিয়া আমাদিগকে, বসাইলেন । অপরিচিত যুবকটিকে লইয়া রতনবাবু পাশ্বের, কক্ষে প্রবেশ করিলেন । জানা । খুলিয়া দিয়া বলিলেন, “এই চেয়ারে বলুন " তিনি চেয়ারে বসিলে, রতনবাবু বাহিরে আসিলেন, কছিলেন, “আমরা বাহিরেই থাকিব-ঘরটি বাহির হইতে বন্ধ থাকৃ—” ভূত দেখা ।
- も。
বাহিরের থেtলা জানাল দিয়া হু হু করিয়া ঠাণ্ড বাতাস আসিতেছিল—আমাদিগের হাড় অবধি র্কাপাইয়া তুলিতেছিল ! কিন্তু সে দিকে আমাদিগের লক্ষ্যও ছিল না। ঘরের মধ্যে কি হয়, দালানের জানাল দিয়া, আমরা তাহাই দেখিতেছিলাম। রতনবাবু বলিলেন, “আপনি বসিয়াছেন ত! কোন ভয় করিতেছে না ?” তিনি কহিলেন, “আপনার ও সব বুজরুকি গৎ রাখিয়া, চাক্ষুধ প্রমাণ দেখান দেখি ।” রতনবাবু বলিলেন , “বেশ ! বাহিরের জানালার দিকে চাহিয়া দেখুন –কি দেখিতেছেন ?” তিনি কহিলেন, “বিদ্যুতের চমক—আর অস্পষ্ট গাছপালা—” আমরা হাসিয়া উঠিলাম । “বেশ-বাহিরের দিকেই চাহিয়া থাকুন” —বলিয়া রতনবাবু ক্ষিপ্ৰ সুরে খানিকটা ছড়া বলিয়া গেলেন ! “জঙ্গল ফুড়ে,আয়ুরে উড়ে—” ধরণের প্রকাণ্ড এক ছড়া ! ছড়া শেষ হইলে রতনবাবু কহিলেন, কি দেখিতেছেন ?” ভিতর হইতে তিনি কহিলেন, “বাহিরে, জানালার ধারে খানিকট ধোয়া— !” আমরা উদগ্রীবভাবে সেদিকে লক্ষ্য করিলাম –কিছু দেখিতে পাইলাম না । কহিলাম, "কই মশায়, কিছুই দেখিতেছি না ত।” রতনবাবু গম্ভীরস্বরে কহিলেন, “চুপ!” তার পর কহিলেন, “আচ্ছা! আপনার ভয় হইতেছে ?” - “ধোয় দেখিয়া, ভয় ?”