ኟ ዓS মন্দিরে আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করিতে গিয়াছে। ভারতের সাম্য বৈষম্যকে বিনাশ না করিয়া, বৈষম্যকে অতিক্রম করিতে প্রয়াস পাইয়াছে। আমাদের সাম্য পারমার্থিক । বিলাতী সাম্য ব্যবহারিক । অীমাদের সাম্যের আদর্শ একান্ত আধ্যাত্মিক । রিলা তী সাম্যের আদর্শ সামাজিক । সামাজিক সাম্যের পন্থা আয় প্রতিষ্ঠা ; পারমর্থিক সাম্যের প্রতিষ্ঠা আত্মসংযমে ও আত্মবিলোপে । আত্মপ্রতিষ্ঠার পথে সাম্যের সন্ধান করিলে, দলাদলি, রেষারেষি, হিংসাম্বেষ, এ সকল বিষ উদগীর্ণ হওয়া অবগুস্তাবী । মানব প্রকৃতিতে একটা অদ্ভূত আকর্ষণ শক্তি আছে। য়ে যেমন লোক, সচরাচর অপরলোকের সহিত অলপে আত্মীয় তায় সে আপনার প্রকৃতির অনুরূপ ভাবই তাহীদের মধ্যে জাগাইয় থাকে। যে পশু হইয়া আমার সম্মুখীন হয় সে অলক্ষিতে আমার অস্তুনিহিত পশুত্বকে জাগাইয়া তোলে । সে মানুষ হইয় আমার নিকট আসে, সে আমার মনুষ্যত্বকে প্রবুদ্ধ করে। দে দেবত হইয়া আসিতে পারে, সে তাহীর পবিত্র সংস্পর্শ আমাকে দেব তা করিয়! তোলে। মানবসম্বন্ধের এই অদ্ভূত অী কর্ষণী শক্তি প্রভাবে, আয়ু প্রতিষ্ঠা দ্বারা যে সম্যের প্রতিষ্ঠা করিতে যায়, সে সমাজে সমরান ল প্রজ্জ্বলিত করিলে, ইহ। আর আশ্চৰ্য্য কি ? অভিমান অভিমানকে জাগায়, হিংস হিসাকে জাগায়, খলন্ত খলতাকে বাড়াইয়া তোলে। বিলাতী সাম্যবাদে সমাজে এই বিষম দ্বন্দ্ব উপস্থিত করিয়াছে। এখানে সকলেই আপনাকে বাড়াইয়া বড় হইতে চাহে। যে নিধন ভারতী । শ্রাবণ, ১৩১৭ সে ধনী হইয়া ধনীর সমকক্ষ তা লাভ করি- ; বার জন্য ব্যগ্র । যে ছোটঘরে জন্মিয়াছে, বড় ঘরের সমকক্ষ হইতে তাহার বাসন ; —ইহাই এখানকার সমাজ যন্ত্রে র মূল চালক শক্তি। এই বলবতী বাসনার তাড়নায় সমাজ অবিরত ঘুরতেছে। যে সমতা ভারতের সনাতন আদর্শ, এ সমাজে তাহীর আদর কথঞ্চিং হইলেও, স্থান আদেী নাই । নিদ্ব দ্বস্থ নিত্য স ত্যস্থ নির্যোগক্ষেম আত্মবান্— · এ চরিত্র এপানে দুৰ্ল্লভ কেবল নহে – সৰ্ব্ব এই ইহা অতি দুৰ্ল্লভ, –কিন্তু এখানে একেবারে অসম্ভব । এদেশের লোকে ইছার মাহাত্মা কল্পনাতে ও গ্রহণ করিতে পাবে না । দ্বন্দ্ব নাই, চেষ্টা নাই আক্ষেপ নষ্ট, গতি নাই,– এ অবস্থা এদেশে মৃত্যুর চিত্ত্ব, জীপিতেব লক্ষণ নহে। এক অর্থে ইহ মৃত্যুরই লক্ষণ সন্দেহ নাই। নিশ্চেষ্টতা ও নিদ্বন্দুত জীবিতেব চিহ্ল নয়, সত্য। আমরা সচরাচর যাকাকে জীবন বলি, সেখানে চেষ্টা, দ্বন্দু, সংগ্রাম এসকলের নিত্যলীলাই প্রবল । কিন্তু আমির সাহাকে সচরাচর জীবন বলি, তার উপবে ও জীবন আছে । ইচ্ছা হয়, তাহাকে “অতি জীবন” বল । শাস্ত্রে ইহাকে জীবনমুক্ত বলে। যুরোপীয় চিন্তা ও ক্রমে এই “ অতিজীবনের” সন্ধান পাইতেছে। যুরোপীয়র এগন প্রাকৃত মানুষের উপ:ব শ্ৰেষ্ঠ স্তর “অতি মানুস” বা সুপারম্যানের (Super-in un) ক ধ। কহিতে অরম্ভ করিয়াছেন । আমাদের শাস্ত্র সাহিত্যে র্যাগদিগকে মায়ান বলিয়াছে, তাহাই, ब्रू:ब्राठीप्रश्न द्र "२*ावभाॉन” व श्रङि-नाश्म । • কিন্তু এ আদর্শ এখনে ভাল করিয়া ফোটে
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/২৮৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।