পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/২৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

११y পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হইতেছে । এবং তাহার রুগ্ন পত্নী স্বাস্থ্যোন্নতির জন্ত দরিজিলিংএ অবস্থান করিতেছেন। কেবল মাত্র কন্যা নিরুপমা পিতার পরিচর্য্যার জন্ত কলিকাতায় আছেন। উপস্থিত হইয়া দেখিলাম বারাণ্ডায় চা-টেবিলের পাশ্বে মিঃ মুখার্জি র্তাহার কন্যা ও জনৈক বন্ধু সঙ্ক, আমার জন্ত অপেক্ষা করি তেছেন । মিঃ মুখার্জি র্তাহার বন্ধুর সহিত গল্প করিতে লাগিলেন নিরুপমা অামায় বলিলেন “প্রকাশ বাবু, এবারকার “সন্ধ্যাকাশে” আবার তরুবালার কয়েকট কবিতা বের হয়েছে । আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন ?” আমি বলিদাম —“হ্যা, দেখেছি বই কি, কাল রাত্রেই তার সমালোচনাও করে ফেলেছি —আজ সকালে “অবসর চিন্তায়” পাঠিয়ে দিয়েছি। এবার বোধ হয় তরুকে মরুতে মারা পড়তে হবে ।” শুনিয়া নিরুপম হাসিতে লাগিল । অবসর চিন্তায় আমি নাম পরিবর্তন করিয়া সমালোচনা প্রকাশ করিতাম। সে কথা কেবল নিরুপমাই জানিতেন। বাঙ্গল কাব্য সম্বন্ধে নিরুপমার সহিত আমার সম্পূর্ণ মতৈক্য হইত—বিশেষতঃ তরুবালার কবিতা সম্বন্ধে । তরু বালার কবিতা নিরুপমার আদেী পছন্দ হইত না। বাঙ্গালা সাহিত্যে নিরুপমার বিশেষ অধিকার জন্মিয়াছিল। কারণ মিঃ মুখার্জি ইংরাজি শিক্ষার প্রতি তত দৃষ্টি না দিয়া সংস্কৃত ও বাঙ্গলা সাহিত্যে নিরুপমাকে বিশেষ ভাবে শিক্ষা দান করিয়াছিলেন – নিরুপম ঔৎস্থক্যের সহিত বলিলেন “আপনি কি খুব তীব্র সমালোচনা করেচেন ?” छांझडौ । শ্রাবণ, ১৩১৭ আমি হাসিয়া বলিলাম—“বোধ হয় একটু অতিরিক্ত কঠিন হয়েচে । কিন্তু তার কারণ আছে। “ক্ষম|” কবিতাটা ভাল করে পড়ে দেখেছেন ?” নিরুপমা হাসিয়া বললেন, "uদখেছি সেটা আপনাকে লক্ষ্য করে লেখা —ত বেশ বোঝা যায়।” আমি বলিলাম,— “হ্যা সেই জন্য “ক্ষমার” লেখিকাকে আমি ক্ষমা করতে পারলাম না”। নিরুপমা বলিলেন, “বেশ করেছেন—স্ত্রীলোক হয়ে এত কিসের গৰ্ব্ব । দেখছি—য ইচ্ছ। তাই লিখচে !” আমি বসিলাম –“আর কিছুই নয়, উপযুক্ত শিক্ষার অভাব। আপনাদের মত শিক্ষিত মেয়ের যদি বাঙ্গল লেখেন তা হলে উৎকৃষ্ট জিনিস উৎপন্ন হতে পারে। আপনি এত ভাগ বাঙ্গলা জানেন একটু একটু লিখতে অtরম্ভ করুন না ।" নিরুপমা হাসিয়া বলিলেন “কেন ? তা হলে কি আপনি তরু (লাকে ত্যাগ করে নিরুপমার সঙ্গে যুদ্ধ আরম্ভ করেন ?”—“না আপনি যদি কবিতা লেখেন তা হলে আমার কলম থেকে অন্য প্রকার সমালোচনা বের হবে ।” “এরূপ পক্ষপাতী সমালোচক পেলে কবিতা লিখতে প্রলোভন হয় বটে –কিন্তু প্রকাশ বাবু, পক্ষপাতিত সমালোচকের পক্ষে একটা মস্ত দোষ ।” আমি ঈষৎ রঙ্গচ্ছলে বলিলাম—“তা নিশ্চয়ই কিন্তু— আমি যদি আপনার পক্ষপাতী ন হই তা হলে সেটা আমার পক্ষে শুধু দোষ নয়, পাপ হবে ।” নিরুপমার মুখ রক্তিম হইয়া উঠিল।-“কিন্তু বেচারী তরুবালা আপনার কাছে এমন কি অপরাধ করেছে যে