পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/২৯৫

ミデé হ.ব ।” চারি পাচ দিন পরে মি; মুখাজির এক পত্র পাইলাম। পত্রে নিরুপমার সহি ত श्राभाई विवाcश्म थ डाव। পত্র পাঠ করিয়া বিশেষ বিস্মি ত হইলাম না। কারণ আমার কতকট। ধারণ ছিল যে একদিন সম্ভবতঃ এ প্রস্তাব আসিলে । কি স্তু আনন্দি ত হইলাম। অমিশ্রি ত আনন্দ কাহাকে বলে তাহা সেদিন বুঝিতে পারিয়াছিলাম। মিঃ মুখার্জির ভূত্যের হস্তেই উত্তর লিপিয়া পাঠাইলাম। সংক্ষেপে লিখি লাম -“ আপনার স্নেহসিক্ত প্রস্তাব অন্ত আমাকে গেীর বন্ধি ত করিয়াছে। এ বিষয়ে অধিক কথা লিথিয়: আমাকে অপ্রতিভ করিয়াছেন মাত্র। আশাবৰ্বাদ স্বরূপ আপনার শুভ-ইচ্ছ। আমি ভক্তির সহি ত গ্রহণ করিয়াছি । তবে আমার মনে হয় এ বিষয়ে একবার আপনার কন্যার অভি মত লওয়া ও অবিশু ক ।” বৈ ফালে মিঃ মুখাঞ্জির পত্র পাইলাম ; সন্ধার পর চ খাইবার নিমন্ত্রণ করিয়াছেন । যথ সময়ে উপস্থিত হইয়া দেখিলাম মিঃ মুখার্জি পত্নীসহ বেড়াইতে গিয়াছেন। গৃহে অামার জন্য নিরুপমা অপেক্ষা করিতেছেন । উদ্দেশু বুঝতে বিলম্ব হইল না । কিন্তু দুই একটা কথা বাৰ্ত্তার পর বুঝিতে পারিলাম যে নিরুপম একথা এখনো জানেন না । নিরুপম৷ বলিলেন—“প্রকাশ বাবু চী খেয়েই পালাতে পারবেন না। মা বলে গেছেন র্তাদের ফের। পর্য্যস্ত আপনাকে অপেক্ষ করতে হবে।” অামি বলিলাম~—“তাহলে চিনির সঙ্গে একটু মুন মিশিয়ে দিন—তাহলে আর নিমককারামী করতে পারবে না।” ভারতী | শ্রাবণ, ১৩১৭ নিরুপমা হাসিয়া বলিলেন,—*হঁ্যা এমন অনেক লোক আছে যাদের বাধ্য করতে হলে শুধু মিষ্ট রসে হয় না অন্য প্রকার রসের ও প্রয়োজন ।” ভূত্য এ কট ষ্ট্রে করিয়৷ চায়ের জল দুগ্ধ ও চিনি রাখিয় গেল। নিরুপমা আমার জন্য চা তৈয়ারি করিতে ব্যস্ত হইলেন। এবং আমি ও একবার ভাল করিয়া নিরুপমাকে দেখিয় লইতে ব্যস্ত হইলাম । ভাল করিয়া অর্থাৎ নুতন ভাবে নুতন চক্ষ। মিঃ মুখার্জির প্রস্তাব নিরুপমাকে আমার নিকট আজ নুতন করিয়া দিয়াছে। জানি আজি প্রভা ত হইতে আমার চক্ষে এক নবজ্যোতির সঞ্চার গুইয়াছে যাহাতে সমগ্র বিশ্ব আমার নিকট নব প্রভায় উদ্ভাসিত মনে হইতেছে --কি স্তু নিরুপম যে এত সুন্দরী তাহাত জানিতাম না ! মৃদু সঞ্চালনে নিরুপমার কর্ণলগ্ন হীরক খণ্ড পর্যস্ত নিৰ্ম্মল পুণ্যের ন্যায় ঝিকৃঝিকু করিতেছিল কি সুন্দর ! হীরকে র উপর নুতন করিয়৷ আমার শ্রদ্ধ হইল ! চা’র পেয়াল আমার সম্মুখে রাখিয়া নিরুপম। বলিলেন —” প্রকাশ বাবু, খান । আপনি আবার গরম না হলে খেতে পারেন না।” হয়ে মুগ্ধে, প্রকাশ বাবু তখন যে মৃধা পান করিতেছিলেন তাহার নিকট চা অত্যন্ত তুচ্ছ । এবং দ্রুত রক্ত সঞ্চালনে শরীর এত উত্তপ্ত হইয়। উঠিয়াছিল যে গরম খাইবার পক্ষে কিছুমাত্র প্রয়োজন ছিল না । “নিরু ” কণ্ঠস্বর কিছু অস্বাভাবিক ভাবে বিকৃত হইয়া গেল। নিরুপমা বিস্মিত হইয়া নিরীক্ষণ করিলেন । কতকটা আমার মুখ সামলাইয়া