পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*。8 ४. मझांझांश्लेझ ब्रांछष्ट्र 8y( ) -8 సె e V ৯ ইংরাজ রাজত্ব 8صحاحی 8 • ج উৎকলের শিল্পযুগ, বলিতে গেলে, গঙ্গাবংশের পরেই এক প্রকার বিলুপ্ত হইয়া যায়। এবং এই শিল্পযুগের আরম্ভ হইয়াছিল বৌদ্ধ-রাজত্বে। তাহার পর, মোগল পাঠানের হস্তে উৎকলীয় শিল্পের অশেষ দুর্দশ হইয়াছে। এই অত্যাচারী পরধৰ্ম্মদ্বেষিগণের হস্তে উৎকল শিল্পের উৎকৃষ্ট ভাগ বিধ্বংস স্তুপে পরিণত হইয়াছে ৷ কণারকে, জগন্নাথে ও ভুবনেশ্বরে ইহার সংখ্যাধিক দৃষ্টান্ত দেখা যায় । এই অত্যাচারের পরিবর্তে, মুসলমানগণও উৎকলে কয়েকট শিল্পসৌন্দৰ্য্য দান করিয়া গিয়াছে । ভিন্ন প্রবন্ধে, যথাসময়ে তাহা লিখিত হইবে । ধবল-গিরি –১৮৩৮ খৃঃ অব্দে, মার্কহাম কিটো, এই স্থান পরিদর্শন করেন । এবং তিনিই সৰ্ব্বপ্রথমে ইহার কাহিনী সকলের গোচরীভূত করেন। এসিয়াটিক সোসাইটর জনালে, তিনি এই স্থানের যে বিবরণ প্রকাশ করেন, তাহাতে জানা যায়,— তাহার পরে, ধবলগিরির শিল্প ভাণ্ডারের বহু পরিবর্তন সংসাধিত হইয়াছে । আমরা র্তাহার বর্ণনা হইতে স্থলবিশেষ উদ্ধার করিলাম :– "ধবলগিরির তি৭টা শৈল, সমতল-ভূমি হইতে উঠিয়াছে। ইহারা পাচ ফারলং স্থান অধিকার করিয়া আছে। নিকটে, আট দশ মাইলের ভিতরে আর কোন শৈল নাই । উত্তরদিকের শৈলের উচ্চতা ২৫০ ফুট হইবে । পুৰ্ব্বদিকের শৈলে, মহাদেবের একটা ধ্বংস-ভগ্ন মন্দির আছে। এবং অন্যান্যদিকে কয়েকট ক্ষুদ্র গুম্ফা আছে। পরস্তু অনেক গুম্ফার-ভগ্নাবশেষও দেখা যায়।” (Journal of Asiatic Society. vol. VII. pp. 436. ভারতী । শ্রাবণ, ১৩১৭ ধবলগিরির উপরে, “কোশল-গঙ্গা” নামে একটা প্রসিদ্ধ বাপী আছে। এই বাপী সম্বন্ধে একটা কাহিনী আছে। কিন্তু রাজেন্দ্রবাবু তাহা প্রামাণিক বলিয়া স্বীকার করেন না। এইখানেই ধৰ্ম্মাশোকের অনুশীলনলিপি আছে। দশ ফুট চওড়া ও আঠারো ফুট লম্বা, একটা স্থান উত্তমরূপে পালিশ করা হইয়াছে। তাহার উপরেই অমুশাসনের অক্ষরগুলি খোদিত হইয়াছে । খোদিত স্থানটী চারি ভাগে বিভক্ত। ডাঃ রাজেন্দ্রলাল মিত্র বলেন,— প্রথম অংশটা, অপর ভাগত্রয়ের সঙ্গেই খোদিত হয় নাই । তাহ ভিন্ন কালে খোদিত ।” Antiquities of Orrissa. Vol. I. p.p. 55. এই অমুশাসনের কাছেই একটা চাতাল আছে। তাহার পরিমাপ, লম্বে ১৬ ফুট ও চওড়ায় ১৪ ফুট । চাতালের দক্ষিণ দিকে একটা হস্তীর পূৰ্ব্বাদ্ধভাগ বৰ্ত্তমান আছে। তাহার উচ্চতা চার ফুট। হাতিটর অঙ্গের ডৌল ও গঠন, শিল্পীর নিপুণতার পরিচায়ক । ডাঃ হাণ্টার বলেন – “সৰ্ব্ব প্রাচীন অনুশাসন-লিপির খোদনকাল, খৃঃ পূঃ ২৫ বৎসর। বুদ্ধের বৃহৎ মূৰ্ত্তিও এখানে পাওয়| গিয়াছে ' ' (Hunter's “Orissa'.-Vol. I., p.p. 178-9) বিখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ ডাঃ উইলসন ও মহাত্মা প্রিনসেপ অশোকের অমুশাসন অমুবাদ করিয়াছেন । প্রিন্সেপের অক্লাস্ত চেষ্টা ও পরিশ্রমেই এই অমূল্য অনুশাসন আবিষ্কৃত হয়। তাহার অনুবাদ এখানে দেওয়া অসম্ভব। আমরা তাছার সংক্ষিপ্ত মৰ্ম্ম এখানে প্রকটিত করিয়া দিলাম :–