পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৪শ বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা। খলিতে অনুরোধ করিয়া প্রস্থান করিলেন । তাহার গমনের পরই অন্তঃপুর পথে ক্রত পদশব্দ ও অস্ত্রমর্শ্বর ধ্বনি শ্রত হইল। সেনাপতির কর্মচারীদ্বয় সৰ্ব্বদাই विश्वांनषाउकडांब उtग्न डोऊ : शठब्रां९ ॐाशांब्र এই শব্দ শুনিয়। মনে করিলেন তাহাদের প্রভুকে হত্যা করিবার জন্য বোধহয় অস্ত্রধানী পুরুষ লুকায়িত রাখা হইতেছে এবং নবাবের শিবির ত্যাগে র্তাহাদিগের এ সন্দেহ বদ্ধমূল হওয়াতে র্তাহার ছুটিয়া গিয়া অশ্বাবতীর্ণ মুস্তফাকে উহাদের সন্দেহের কথা বলিলেন। পাপচিত্ত সেনাপতি সহজেই ভীত ছইয়া পুনরায় অশ্বারোহণ করিয়া আপন দুর্গাভিমুখে প্রাণপণে ছুটিলেন । নবাৰ তন্মুহূর্তেই দরবার গৃহে ফিরিয়া আসিয়া সেনাপতির পলায়নবাৰ্ত্তা শুনিলেন এবং তৎক্ষণাৎ তাহার ভ্রাতুপুত্র শাহামৎকে সেনাপতির নিকট পাঠাইয়া বলিয়া দিলেন যে উtহার এ অন্তধ্যানের কারণ জিজ্ঞাস করিবার জন্ত তিনি উৎকণ্ঠিতচিত্তে তাহার জন্য অপেক্ষা করিতেছেন এবং যদি কোন বিশ্বাসঘাতকার ভয় তাহার মনে উথিত হইয়া থাকে তাহা হইলে তাহা নিতান্তই অমূলক। কিন্তু সন্দিগ্ধচিত্ত মুস্তফা কোনমতেই ফিরিয়া যাইতে সম্মত হইলেন না। কিছুকাল নগরে থাকিয় । তিনি কৌশলে আফগান সৈন্তের অন্তর জয় করিয়া স্বদলে আনিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন। নবাবের নিকট এই সংবাদ উপস্থিত হইব;মাত্র তিনি তৎক্ষণাৎ সেনাপতিকে নগর ত্যাগ করিতে আদেশ করেন। মুস্তাফ ক্রোধে ও অপমানে নগর ত্যাগ করিলেন এবং যাত্রাপথে রাজমহল লুণ্ঠন করিলেন। আজিমাবাদে উপস্থিত श्ब्रां ब्रशंद्र अ१िछांग्न कब्राहे ऊँांशंद्र ऐंठtनाथं श्लि । সুতরাং তিনি মুঙ্গেরের দিকে অগ্রসর হইলেন । ঘোরতর যুদ্ধের পর মুঙ্গেরের ভগ্ন দুর্গ মুস্তাফার করতল গত হইল। তথা হইতে তিনি পাটনার দিকে যাত্রা করিলেন। শাউকৎ জঙ্গ মুস্তাফার রাজদ্রোহিতার সংবাদ শুনিয়া সসৈন্তে আসিয়া উtহtৱ পখরোধ করিয়া দাড়াইলেন। কিন্তু মুস্তাফার অসংখ্য সৈন্তের সহিত যুদ্ধ করা বৃথা জানিয়া ধূৰ্ব শাউকৎ বিদ্রোহীর নিকট চয়ন—মুর্শিদাবাদের প্রাচীন-কাহিনী । రిeసే দূত প্রেরণ করিয়া বলিলেন যে, যতক্ষণ তিনি নবাবের “ফাৰ্ম্ম ন’ অর্থাৎ আদেশপত্র দেখাইতে না পরিবেন, ততক্ষণ উাহকে তথা হইতে এক পদও অগ্রসর হইতে দিতে তিনি প্রস্তুত নহেন । বিদ্রোহী মুস্তাফার পক্ষে রাজাদেশ প্রদর্শন করা অসম্ভব, কিন্তু শাউকৎকে তিনি যে উদ্ধত উত্তর দান করিয়াছিলেন তাহা আজিও ইতিহাসপ্রসিদ্ধ হইয়া আছে। এক দীর্ঘ পত্রের শেষে তিনি লিখিলেল—“যে দেশ জয় করে সে তাহার অধিকারী, তবে আর নবাবের ফাৰ্ম্মনের অবিশুক কোথায় ? আপনার লোকখ্যাত খুল্লতাত যখন সরফ্রাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হইয়া রাজধানী আক্রমণ করিয়াছিলেন তখন র্তাহার কয়খানা আদেশপত্র ছিল ?” এরূপ অপমান সহ করা শাউকতের প্রকৃতির পক্ষে অসম্ভব । তিনি তৎক্ষণাৎ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হইয়া পঞ্চ সহস্ত্রের অপেক্ষাও অল্প সৈন্ত লইয়া যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইলেন। কিন্তু যুদ্ধ বধিলে শউকৎ—ষে সকল অশিক্ষিত নুতন লোককে সৈন্য দলভুক্ত করিয়াছিলেন, তাহারা সকলেই উহাকে ত্যাগ করিয়া পলাইল । কেবল তাহীর পুরাতন শিক্ষিত যোদ্ধগণ অজেয় বৃহরচনা করিয়া বীর রাজকুমারের রক্ষার জন্য প্রাণপৰ্য্যন্ত উপেক্ষা করিয়া অবিরাম যুদ্ধ করিতে লাগিল। সকলেই বুঝিল যে, সেদিন শাউকতের পরাজয় অনিবাৰ্য্য। এমন সময়ে সহসা সৌভাগ্যবশতঃ সামান্ত এক কারণে শক্রপক্ষ বিশৃঙ্খল হইয়া পড়িল । মুস্তাফার মাছত যুদ্ধে হত হইবা মাত্র উত্তেজিত হস্তীটি চালকাভাবে সেনাপতিকে ভূপৃষ্ঠে ফেলিয়া দিল। মুস্তাফ কিন্তু তৎক্ষণাৎ এক অশ্বে আরোহণ করিয়া যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইলেন। শূন্যপৃষ্ঠ হস্তী দেখিয়া বিদ্রোহী সৈন্ত ভাত হইয় চতুর্দিকে পলায়ন করিতে লাগিল। আট দিন উৎকণ্ঠিতচিত্তে সকলে মুস্তাফার সংবাদের জন্ত অপেক্ষা করিতে লাগিলেন কিন্তু কোন সংবাদ পাওয়া গেল না। পরে অষ্টম দিনে শুন গেল যে মুস্তাফা সসৈন্তে বিহারের সীমান্ত দেশে যাত্রা করিতেছেন । এদিকে আলিবন্দী অসংখ্য সৈন্য লইয়া পাটনায় দিকে