পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা । তাহা জাতীয় বিদ্যালয় হইলে চলিবে না ! পড়িয়া লজ্জায় ও ক্ষোভে আমরা পীড়িত হইয়াছি। এই প্রকার একদেশদর্শী চিন্তাপ্রণালীর কারণ কি ? লেখকের মঙ্গল উদ্দেণ্ডের সহিত অামাদের অস্তিরিক সহায়ভূতি আছে, কিন্তু বিদ্যালয়ট ‘জাতীয় হইবে না কেন ও যে সঙ্কীর্ণতার জন্ত তিনি আক্ষেপ করিয়াছেন সেই সঙ্কীর্ণতাই ইহার ভিত্তি হইবে কেন ? সমূহের বিকৃত প্রাণহীন শিক্ষাই ইহার এক প্রধান কারণ। আমাদের জাতীয় শিল্পপরিষদ প্রকৃত শিক্ষার থভ্রপাত করিয়াছেন কিন্তু তাহা যথেষ্ট সমাদর লাভ করিতেছে না, ইহা অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় । ২য় কারণ, আমরা এখনও প্রাদেশিকতার উদ্ধে উঠিতে পারি নাই । এই প্রাদেশিকতা কালক্রমে অারও সঙ্কীর্ণ হইয়া গ্ৰাম্যতা ও পারিবারিক তীতে পরিণত হইয়া আমাদের অবনতির অন্ততম কারণ হইয়াছে। একাদশ শতাব্দী পর্য্যন্ত এবং সামান্ত পরিমাণে মুসলমান যুগে সমগ্র ভারতের জীবনে একটা যোগ ছিল । তখন কেবলমাত্র জ্ঞান ও শিক্ষার অীদান প্রদান নহে সমগ্র ভারতে একটা সামাজিক সম্বন্ধও অল্পাধিক পরিমাণে প্রচলিত ছিল। সে যুগের সংস্কৃতসাহিত্যে তাহার অনেক প্রমাণ রহিয়াছে। কিন্তু ক্রমে নানা প্রদেশের সঙ্কীর্ণতার মধ্যে আবদ্ধ হইয় নিজগ্রাম ও পারিবারিক স্বার্থের ক্ষুদ্র গণ্ডির মধ্যেই আমাদের জাতীয় জীবন লয় পাইল। বিস্তৃতি ও বিকাশই জীবনের লক্ষণ, সঙ্কীর্ণত পতন ও মৃত্যুর অগ্রদূত । আমরা যখন ভারতের নানা প্রদেশের Ye আমেরিকা প্রবাসীর পত্র । বোধ করি, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় \లిచి: ছাত্রবৃন্দ একত্র থাকি এবং আমাদের সীমাগু ক্ষুদ্রতা ও দ্বন্দকোলাহলের মধ্য দিয়া ভারতের সেই বিশাল ও মুগভীর একত্ব যখন উপলব্ধি করি তখন আনন্দ ও উৎসাহে হৃদয় পূর্ণ হইয়া উঠে। বিদেশে অtমার ইহাই এক প্রধান শিক্ষা ও এমন আনন্দ ও বল আর কিছুতে পাই নাই। এখন মনে হয় ভারতের যে কোন স্থানে যাইয়া জীবন কাটাইতে পারি, কারণ তাহারা সকলেই যে আমার অ{পনার জন । আমেরিকাস্থিত ভারতীয় ছাত্রবৃন্দ অধিকাংশই নিজে অর্থ উপার্জন করিয়া এদেশের সমস্ত খরচপত্ৰ নিৰ্ব্বাহ করেন । কেহ কেহ এজন্ত দৈনিক ৩,৪ ঘণ্টা কাল অবসর সময়ে কাজ করেন কেহ কেহ ছুটীর ময় বা কিছুদিন কলেজে না যাইয়া বাহিরে পয়স। উপার্জন করিয়। পরে কলেজে ভৰ্ত্তি হন । যদিও ইহাতে কিছু বেশী সময় লাগে বুও ইহাই প্রশস্ত বলিয়া মনে হয়। কারণ ইহার পর সমস্ত সময় কলেজের কাজে নিযুক্ত থাক যায় ও বিদ্যালয়ে এত শিখিবার জিনিষ আছে ষে যত সময় দেওয়া যায় ততই ভাল । কাজ ও পড়। এক সঙ্গে করিলে অত্যন্ত ব্যস্ত থাকিতে হয় কিন্তু অপেক্ষাকৃত অল্প সময়ে শেষ করিবার আশায় অনেকে ইহাই পছন্দ করেন । কেহ বাড়ী হইতে কিছু কিছু অর্থ পান কিন্তু তাহাতে খরচ কুলায় না, সুতরাং সকলইে অল্পাধিক পরিমাণে কাজ করিতেই হয়। এই স্বাবলম্বনে একটা সবল আনন্দ আছে ও কোন দুঃখ কষ্টই অামাদিগকে অভিভূত করিতে পারে না । ইহাতে অবশু আমাদের গৌরব করিবার •