পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రీఃన “তাই ভালো মোদের মায়ের ঘরের শুধু ভাত, মায়ের ঘরের ঘি সৈন্ধব, মার বাগানের কলার পাত । বাঙালীর প্রাণ কঁপিয়া উঠিল! ঠিক কথা ! এমন থাটি প্রাণের কথা শাস্ত্রে নাই—কোথাও নাই ! প্রাণের সুপ্ত তারে যেন বা লাগিল –সমস্বরে তার বাজিয়া উঠিল । এই প্রাণের গান প্রথম গাহিয়াছিলেন, কবি ঐযুক্ত রজনীকান্ত সেন। শুধু কি প্রাণের গান গাহিয়াই কবি নীরব ? না ! মাতৃপূজার যোগ্য অর্ঘ্য তিনি ভারে ভীরে বহন করিয়া আনিয়াছেন ! করুণকণ্ঠে মাতৃনাম গাছিয়া তিনি মাতৃপূজায় বহু ভক্তকে দীক্ষিত করিয়াছেন—তাহাতে জলি নাই, ঈৰ্ষা নাই, সে সুধু কবি হৃদয়ের “ফুলচন্দন বন্দন-উপহার " সাধকের সাধনার উপহার! সাধকের সাধনার অনুরূপ ! ধ্যানের তুল্য ! অভিসারিকার চঞ্চল চরণের নুপুর রব সে ধ্যানের বিঘ্ন সম্পাদন করে নাই ! তারপর হাসির গান ! রজনীকান্ত হাসির গানেও অপূৰ্ব্ব প্রতিভার পরিচয় প্রদান করেন। কেহ কেহ রজনীকান্তকে "রাজসাহীর ডি, এল, রায়" বলেন—ইহাতে রজনীকান্তের প্রতি অবিচার করা হয় ! কীটুন্‌ কীট দ, সেলি সেলি—তেমনি রজনীকান্ত ও দ্বিজেন্দ্রলালেও প্রভেদ আছে। রজনীকান্তের হাসির গান অনুকরণ নহে, অক্সবাদ ও নহুে—তাহাতে বিলাতীর সংস্পর্শ নাই—তাহ খাটি স্বদেশ ! রজনীকান্তের মিষ্ট স্বরটুকু যে র্তাহার নিজেরই তাহ সহজেই বুঝা যায়। বাণীর কবিতাগুলি কে বল কবিত; নহে— ভারতী । শ্রাবণ, ১৩১৭ সেগুলি গান। কবি স্বয়ং তাঁহাতে মুর সংযোগ করিয়া দিয়াছেন। অনেক গুলি গান আমাদিগের শুনিবার সুযোগ ঘটিয়াছিল তাহু! হইতেই বলিতে পারি গানগুলি সজীব-ভাব যেন মূৰ্ত্তি ধরিয়া বাহির হইয়া আসিয়াছে। কবি গাহিয়াছেন,— “তোমারি দেওয়া প্রাণে, তোমারি দেওয়া দুখ তোমারি দেওয়া বুকে, তোমারি অনুভ । তোমারি ছনয়নে তোমারি শোকবারি তোমারি ব্যাকুলত তোমারি হা হা রব।” 彎 肇 豪 豪 আমি ও তোমারি গো তোমারি সকলি ত জানিয়ে জানে না এ মোহ-হত চিত আমারি বলে কেন প্রাস্তি হল হেন ভাঙ্গ এ অহমিকা মিথ্যা গৌরব ।” বিশ্ব রাজের সম্মুখে কুষ্ঠিত কবির অt য়ুনিবেদন,— তুমি কি মহান বিভু আমি মলিন ক্ষুদ্র, আমি পঙ্কিল দলিলবিন্দু তুমি যে মধাসমুদ্র ! তবু তুমি মোরে ভালবাস, ডাকিলে হৃদয়ে এস তাই এত অযোগ্যের লাজ !" কি সুন্দর, কি মৰ্ম্মস্পশী ! বিশ্বজগতের ক্ষুদ্রত সেই বিশ্বরাজের মহিমার বিরাট তারই অংশ বিশেষ । কবির মুনিপুণ ইঙ্গিত – "iচর প্রেমানঝরের একটি বুদ্ধ, লয়ে ফেলে দিলে প্রেমধারা চলিল অশ্রান্ত বয়ে, অমান জননা করিল স্নেহ, সত্যপ্রেমে পূর্ণ গেষ্ঠ গ্রহ ছুটে এ উহার পাছ ।” এই কয় ছত্র দর্শনশাস্ত্রের নিগুঢ় তত্বেং কি সহজ বিশ্লেষণ ! রজনীকাস্তের "সিন্ধু সঙ্গীত” ভাবে-ভাষায় এক বিচিত্র স্বষ্টি !