পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

తిgఆ ভারতী । ভাদ্র, ১৩১৭ রসভঙ্গ । S. রমেন্দ্রনাথ কবি না হইলেও কবিতারসজ্ঞ বটে । তাহার ঘরেব পরিচ্ছন্ন আলমারি গুলি নানাবিধ কবিতাপুস্তকে পরিপূর্ণ। রবীন্দ্রনাথের “মানসী”, “খেয়া” হইতে আরম্ভ করিয়া ভবিষ্যযুগের শ্রেষ্ঠ কবি মকরন ঘোষের “পট্রাম্বর,” “অট্টহাসি” অবধিও বাদ পড়ে নাই ! তরুণ বয়স ও স্বাস্থ্য-ধন-জনের অধিকারী হইয়া এবং কলিকাতা সহরে বাস করিয়াও, নগর-স্থলভ উচ্ছ জ্বল আমোদ-বিলাসে ভাবপ্রবণ রমেন্দ্রনাথের কখনো অসুরাগ দেখা যায় নাই! তাহার উপর, আর একটি অমূল্য সামগ্ৰী বিধাতা তাহাকে দান করিয়া ধষ্ঠ করিয়াছিলেন,—সেটি তাহার শিক্ষিত সুন্দরী স্ত্রী, মায়া ! আজ পাচ বৎসর রমেন্দ্রনাথের বিবtহ झ्झेब्रां८छ् । - মায়াকে সে ঠিক আপনার মনের মতই গড়িয়া তুলিয়াছিল। প্রথম যেদিন মাসিক পত্রের পৃষ্ঠায় ‘শ্ৰীমতী মায়াদেবী স্বাক্ষরিত কবিতা প্রকাশিত হইল, সেদিন রমেন্দ্রনাথ স্ত্রীকে বাহুবন্ধনে নিপীড়িত করিয়া কবির মুরে গাছিয়াছিল, “আমার পরাণ যাহা চায়, তুমি তাই, তুমি তাই গো !” পুরাতন ডেক্স খুজিলে বিস্তর কাগজ-পত্ৰ রমেন্দ্রনাথের কবিযশোলাভের বিফল প্রয়াসের প্রচুর সাক্ষ্য প্রদান যে না করে, এমন নহে ! এমন কি, বিবাহের অব্যবহিত পরেই,পত্র লিখিবার সময়,রবীন্দ্রনাথের কবিতা ভাঙিয়া-চুরিয়া সে আপনার বিকচোমুখী কবি প্রতিভার পরিচয়-প্রদানের চেষ্টা করিয়া ছিল ; কিন্তু যেদিন সে মায়ার বাক্সে, তাহার রচিত “পাখীর প্রতি,” ও “আকাশের তারা” প্রভৃতি কবিতার দর্শন পাইল, সেইদিন হইতে, নিতান্ত বুদ্ধিমানের মত, কবিতার লেখক হইবার বাঞ্ছা পরিত্যাগ করিয়া সে ভক্ত পাঠক মাত্র হইয়া উঠিল! কবিতা-রচনার স্বত্বটুকু স্ত্রীর নামেই সে দানপত্র লিথিয় দিল । কিন্তু এত কথা বলিবার অামাদিগের বিশেষ প্রয়োজন দেখি না । তবে এক পরিপূর্ণ বর্ষার দিনে রমেন্দ্রনাথের এই কাব্যরসজ্ঞ তার মাত্র অতিরিক্ত বাড়িয়া উঠিছিল। cनशे क४ाशे 4५न श्रभि 4! दलि८ ठ दनिघ्नाहि ! ই শ্রাবণ মাসের শেষ ! সারাদিন মেঘ অfর বৃষ্টি ! মুহূৰ্ত্ত বিরাম নাই! রৌদ্র যেন চিরকালের জন্ত দেশত্যাগ করিয়াছে! দর্দরের নিরবচ্ছিন্ন সঘন রব,-চারিধারে একটা নিরানন্দ ভাব জগাইয়া তুলিতেছিল ! দিব। দ্বি প্রহর ! আপনার কক্ষে থাটে শুইয়। রমেন্দ্রনাথ ‘কাব্যগ্রন্থ" পাঠ করিতেছিল। মায়া নিকটে নাই ! ভগ্নীর বিবাহোপলক্ষে সে চাপাতলায় পিএালয়ে গিয়াছিল। ফিরিতে এথনো দুই-তিন দিন বিলম্ব হুইবে ! কাব্য পড়িতে পড়িতে রমেন্দ্রনাথের চিত্ত উদাদ হইয়া উঠিল । দক্ষিণের জানাল খোলা ছিল। তাহারি মধ্য দিয়া সে মাঝে-মাঝে অীকাশের পালে চাহিতেছিল । ঘরের নীচে ছোট বাগান। বাগানের কোণে একটা কদম