পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هو نف ম্যালেরিয়া ধরে হে, ও বাই ছাড়ে।” কিন্তু রমেন্দ্র হঠিবার পাত্র নহুে ! বুধবার যাইবার দিনস্থির হইল। 8 বিছানাপত্র বাধিয়া ভূত্য ষ্টেশনে চলিয়া গেল। সেগুলি পুৰ্ব্বাহ্নেই পাঠাইয় দেওয়া হুইবে । রমেন্দ্র ও মায় ৩-৪০ মিনিটের গাড়ীতে রওনা হইবে । রমেক্স ও মায়া যখন বেলিয়াঘাট ষ্টেশনে আসিয়া পৌছিল, তখন বজবজের ট্রেণ ছাড়িয়া গিয়াছে। রেলেীয়ে ও কলিকাতার সময় লইয়া রমেন্দ্র গোল বাধাইয়া বসিয়াছিল। পরবত্তী ট্রেণ ছাড়িবে, ৫-৫৪ মিনিটে । চারিধারে তখন মেঘ জমিতেছিল । এতক্ষণ ধরিয়া ষ্টেশনে বসিয়া থাকাও ত সহজ ব্যাপার न८ट् ! মায়া বলিল, “প্রথমেই যখন বাধা পড়ল, তখন বাড়ী ফিরে চল, বাবু, আর কাজ নেই সন্তোষপুর গিয়ে ।” - রমেক্স কহিল, “বাড়ী থেকে যখন বেরিয়েছি, তখন যাবই !” পাঁচটা চুয়াল্পর গাড়াও বেলিয়াঘাট। ছাড়িল, আর মাথার উপর আকাশও যেন ভাঙিয়া পড়িল ! কি সে ভয়ঙ্কর বৃষ্টি ! মেঘে চারিদিক অন্ধকার হইয়া গিয়াছিল । সেকেণ্ড ক্লাশের এক কক্ষেই রমেন্দ্র ও মায়া উভয়ে বসিয়াছিল। বাহিরে চারিদিক দেখিতে মন্দ নয় ! দুইধীরে বড় বড় হোগলা-বন ! মায়। এই প্রথম হোগলা দেখিল ! এই হোগলা ! কাজকর্মের সময়, ইহাদ্বারাই ছাদে ম্যারাপ বাধা হয় । বাঃ, বেশ ত! কালিঘাট ও উtৱতী । יל: ל ,eti মাজেরহাট ষ্টেশনের মধ্যবৰ্ত্তী স্থানটুকু মায়ার বেশ লাগিল । রেলোয়ে লাইনের পাশ দিয়া খাল বহিয়া গিয়াছে, খালের উভয় পার্থে স্ত,পাকার মাটি কাটিয়া জমা করিয়াছে! মায়। এ দৃশুবৈচিত্র্যে বৃষ্টির কথা ভুলিয়া গিয়াছিল। গাড়ী যখন মাজেরহাট ষ্টেশন ছাড়িল, তখন বৃষ্টি আরো চাপিয়া আসিল । গাড়ীর ছাদ ভেদ করিয়া বৃষ্টির ফোটা পড়িতে লাগিল। ষ্টোভ, লণ্ঠন কোনটাই বা সামলাইয়া রাখিবে ? একদিককার সাশি এমন আঁট হইয়াছিল যে, তাহ বৃথা টানাটানি করিতে গিয়া রমেন্দ্র ভিজিয়া সারা হইল । মায়া কহিল, “আমি তখনি বলেছিলুম—এই বর্ষায় বেরিয়ে না ।” রমেন্দ্ৰ কহিল, "কেন, এ মন্দ কি ? একঘেয়ে জীবনের চেয়ে ভালো নয় কি ?” কথাটা মুখে সে বলিল বটে, কিন্তু তাহারো মনে ভয় হইতেছিল ! এই বর্ষার রাত্রি—অপরিচিত স্থানে কি করিয়া কাটিবে ! কিন্তু ফিরিবার মুখ ত, সে রাখে নাই ! বেলিয়াঘাট হইতে মায়ার কথায়, যদি সে ফিরিত ! কুগ্রহ আর কাহাকে বলে ! ট্রেণ যখন সন্তোষপুরে থামিল, তখনো বৃষ্টির বিরাম নাই । রমেক্স ভাবিতেছিল, বরাবর বজবজ গিয়া এই ট্রেণেই আবার সে ফিরিবে ! কিন্তু সন্তোষপুর পৌছিবামাত্র দ্বিতীয় চিন্তা না করিয়া সে মায়ার হাত ধরিয়া নামিয়া পড়িল । অতিকষ্টে মোটপত্র নামাইয়া টিনের সেডের তলায় বেঞ্চে আসিয়া বলি। . ট্রেণও ছাড়িয়া দিল ! চারিধার হইতে তখন ভেকের দল রাগিণী