পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

باولنگ অতিক্রম করিয়া তবে কলিঙ্গ পৌছিতে হয়। রাসেনকান্দ হইতে কলিঙ্গ বিশ মাইল । কলিঙ্গ একটা পল্লী মাত্র;-দুই একটি দোকান ও একটি ডাকবাংলা আছে। কলিঙ্গার ঘাটতে বড় দম্যর উপদ্রব। কয়েকজন পুলিশ কনেষ্টবল অনবরত ঘাটি পাহারা দিতে নিযুক্ত আছে। কিন্তু তাহাতে দম্যতা কমে নাই। মধ্যরাত্রে গাড়োয়ান দিগের চীৎকারে জাগরিত হইয়া শুনিতে পাইলাম, দুইটা শাৰ্দ্দলপুঙ্গব আমাদিগের গাড়ির সমান্তরাল ভাবে পার্শ্বং জঙ্গলের ভিতর দিয়া যাইতেছেন । বহরমপুর হইতে কলিঙ্গ। পৰ্য্যস্ত রাস্তার দুই পাশ্বে নিবিড় জঙ্গল । পাহাড়ের উপর দিয়া রাস্ত আসিয়াছে কি স্তু কলিঙ্গার “ঘাটি” ব্যতীত অদ্যান্ত পাহাড় বেশী উচ্চ নহে। ব্যান্ত্রের উপদ্রব ভয়ে একাধিক শকট একসঙ্গে যাত্র করে । আমাদের সঙ্গে ধনমিহল যাত্রী এক মহাজনের একখানি শকট ছিল । ব্যাস্ত্রের আগমনবাত্ত শুনিয়া কয়েকবার রিভলভারের আওয়াজ করিলাম। ব্যাঘ্রদ্বয় আমাদের অভদ্রতায় ক্ষুণ্ণ হইয়া চলিয়া গেলেন । কলিঙ্গ হইতে অপরাহ্লে যাত্রা করিয়া মধ্যরাত্রিতে গুমাগড় ও পরদিন সকালে বিষপাড়ায় পৌছিলাম। বিষপাড়ায় পূৰ্ব্বে খন্দমহলের সদর অফিস স্থাপিত ছিল— কিন্তু অস্বাস্থ্যকর বলিয়া পরিত্যক্ত হইয়াছে। শুনিয়াছি এক বাঙ্গালী ডেপুটী ম্যাজিষ্ট্রেট : হঠাৎ বিষপাড়ায় প্রাণত্যাগ করায়, তাহার স্ত্রী বন্ধুবান্ধববিহীন স্থানে একাকী পড়ি৷ অহিফেন সেবনে আত্মহত্যা করেন । অধুন। মহকুমার সদর আফিস বিষপাড়া হইতে ভারতী । ר לסיכ ,igס ছয় মাইল দূরবত্তী ফুলবাণী নামক স্থানে প্রতিষ্ঠিত। বিষপাড়া হইতে দুই মাইল গোশকটে আসিয়া সঙ্গীদহ আমি পদব্রজে ফুলবাণী পৌছিলাম। ফুলবাণীর প্রাকৃতিক দৃগু অতি রমণীয়। চারিদিকে ঘন বৃক্ষ সমাচ্ছাদিত পৰ্ব্বতশ্রেণী মধ্যস্থানে ক্ষুদ্র সহর ফুলবাণী । ফুলবাণীকে ওীকৃতপক্ষে সহর বলা যায় না । সরকারী অফিস ব্যতীত ইষ্টকনিৰ্ম্মিত গৃহ ফুলবাণীতে নাই। চারিদিকে পৰ্ব্বতবেষ্টিত একটি ক্ষুদ্র উপত্য কায় ফুগবাণী স্থাপি ত এক পাশ্বের পৰ্ব্বতের পাশ্বদেশ দিয়া একটি ক্ষুদ্র পাৰ্ব্বত্য নদী প্রবাহিত । নদীতে অতি সামান্তই জল । ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রস্তরখণ্ডের উপর দিয়। অনতিগভীর জলরেখা খরবেগে ধাবিত। মৃত্তিকার বর্ণ লাল। পৰ্ব্বতোপরিস্থ অরণ্যে ব্যাঘ্র ভল্লুকের অধিবাস। মাঝে মাঝে ময়ূরের কে কারধ বনমধ্যে উথি ত হইয়। পৰ্ব্বতে প্রতিধ্বনিত হয়। রাত্রিকালে ঘন কৃষ্ণ পৰ্ব্বতের উপরে বহুদূর বিস্তৃত বক্রগতি অগ্নিরেখা মেঘের কোলে স্থির সৌদামিনীর স্থায় প্রতীয়মান হয় । খন্দগণ জঙ্গলে আগুন লাগাইয়া দেয়। অনেক প্রকা ও মহীরুহ সে আগুনে ভস্মীভূত হয়। সেই ভষ্ম নববর্যাগমে পৰ্ব্বতগাত্র হইতে বৃষ্টি স্রোতে সমতলক্ষেত্রে পতিত হইয়া ভূমির উৰ্ব্বরতা সম্পাদন করে ইহাই খন্দদগের বিশ্বাস । কি স্তু ভক্সের অধিকাংশ নদীগর্ভে পতিত হয়, এবং উড়িষ্যার সমতলক্ষেত্রে নীত হইয়া তত্ৰত ভূমির উর্বরতা বৃদ্ধি কয়ে । খন্দগণ তদার, অতি সামা) উপকার লাভ করে। সমস্ত খন্দমহল একটি অরণ্য বিশেষ ।