পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©ዓመ কয়েকবার সৈন্ত প্রেরণের পর বিদ্রোহের সফলতায় হতাশ হইয়া খন্দগণ শাস্তভাব অবলম্বন করে। কিন্তু উক্ত প্রদেশ বোধরাজ্যের অন্তর্গত থাকিলে নরবলি প্রথা পুনরায় প্রবর্তিত হইবে এই আশঙ্কায় বৌধরাজ ভারত গভর্ণমেণ্টকে প্রদেশ প্রদান করেন। তদবধি খন্দমহল বৃটিশ রাজত্বের অন্তভূক্ত হইয়াছে। এখন নরবলিপ্রথা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত। সভ্যতা ও করুণার দাবী পূরণ করিবার জন্তই গভর্ণমেণ্ট খন্দমহলের শাসন ভার গ্রহণ করিয়াছেন । জমীর উপর তথায় কোনও কর ধাৰ্য্য হয় নাই । চাষ কর নামক একমাত্র কর তথায় আদায় হয়। প্রতি হলের উপর y০ আনা অথবা J• আন মাত্র নিদিষ্ট আছে ৷ হলের সংখ্যা যাহার বেশি তাহাকে বেশী কর দিতে হয় । যাহার হল নাই তাহাকে কিছুই দিতে হয় না। এতদ্ভিন্ন আবকারী হইতে গবমেন্টের কয়েক সহস্ৰ টাকা লাভ হয় । কিন্তু খনমিহলের আয় অপেক্ষা ব্যয় অত্যধিক । প্রায় প্রতি গ্রামে স্কুল হইয়াছে। বিনা বেতনে তাহাতে বালকবালিকাগণ পড়িতেছে । খনা মহলের সবডিভিসনাল অফিসার মিঃ ওলেনব্যাক বাড়ী বাড়ী যাইয়া অনুরোধ করায় তবে সমস্ত বালক বালিকা স্কুলে আসিতেছে। গবমেণ্ট হইতে বিনা মূল্যে তাহাদিগকে পুস্তক স্টে কাগজ কলম প্রভৃতি দেওয়া হইতেছে। স্কুলে বেতন নাই। যে রকম ভাবে কাজ চলিতেছে তাহাতে ১৫১৬ বৎসর পরে খন্দমছলে বর্ণ জ্ঞানহীন পুরুষ অথবা স্ত্রী দুষ্প্রাপ্য হইবে বলিয়৷ বোধ হয়। রাস্ত ঘাটেরও ক্রমে উন্নতি হইতেছে । অসভ্য প্রজার প্রতি সুসভ্য ভারতী। ভাদ্র, ১৩১৭ গবমেন্টের যত কৰ্ত্তব্য আছে খন্দ মহলে তৎসমস্তই পালন করিবার চেষ্ট হইতেছে। নরবলি প্রথাকে খন্দগণ “মেরিয়া” বলে । অনাবৃষ্টি হইলে তাছারা মনে করিত পৃথিবী দেবী (তুকী-পেস্থা ) ক্রুদ্ধ হইয়াছেন এবং নরশোণিতে তাহার বক্ষদেশ সিক্ত না করিয়া দিলে তাহার ক্রোধোপশম হইবে না। খনা মহালে “পান” নামক এক জাতি আছে । ইহাদের অনেকে বলির উপযোগী নরশিশুর ব্যবসা করিত । পিতা মাতার নিকট হইতে শিশুদিগকে চুরি করিয়া আনিয়া কিছুদিন তাহারা পালন করিত, পরে বলিদানেচ্ছু খন্দের নিকট বিক্রয় করিত। ক্রীত শিশু পুষ্টিকর খাদ্যে হৃষ্টপুষ্ট হইয়া উঠিলে, বলির দিনে মৃত্তিক প্রোথিত কাষ্ঠ খণ্ডে তাহাকে দৃঢ় ভাবে বদ্ধ করিয়া ছুরিকা দ্বারা তাহার গাত্রের মাংস খণ্ড খণ্ড করিয়া কৰ্ত্তন করা হইত। কষ্টিত মাংস লইয়া সমাগত জনগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ জমিতে প্রোথিত করিত । তাহাদের বিশ্বাস তাহাতে জমীর উর্বরতা শক্তি বৰ্দ্ধিত হয় । এই নৃশংস লোমাঞ্চকর নরযজ্ঞে যাহার পুরোহিতের কার্য্য করিত তাহাদিগকে দেহেরী বলিত। দেহেরী এখন ও আছে—কিন্তু নরবলি আর নাই । খন্দমহাল কতিপয় সংখ্যক মুঠায় বিভক্ত । প্রত্যেক মুঠ একাধিক গ্রাম লইয়া গঠিত। প্রতিমুঠায় একজন “মালিক” আছেন, মুঠার সমস্ত লোক মালিকের অমুগত। মালিক ব্যতীত প্রতি মুঠায় একজন সর্দার অাছে। বর্তমানে সবডিভিসনাল অফিসারকর্তৃক সর্দার নিযুক্ত হয়। মুঠার স্তায় প্রতি গ্রামেও একজন