পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, পঞ্চম সংখ্যা । বেশ স্বস্বাঞ্জ। খন্দগণ শুধু কনী খাইয়৷ অনেক দিন কাটাইতে পারে। মহাপ্ৰভু কে তাহা জানিতে পারি নাই । তিনি মহা প্ৰভু নামেই খন্দদিগের নিকট পরিচিত। সম্ভবতঃ উপরোক্ত ‘ব্লটাপেমু’ হইবেন । যাহা হউক প্রবাদ আছে খন্দগণ পুৰ্ব্বে কন্দ ও বনফল থাইয়া জীবনযাপন করিত। বহু দিন পরে তাহাঁদের মধ্যে কতিপয় জ্ঞানীলোক –অtfবভূত হইয়া অল্প ভোজন প্রথা প্রবৰ্ত্তিত করেন। তদবধি থলদ সমাজে অসত্যের উদ্ভব হইয়াছে। প্রকৃত পক্ষে অনৃতভাষী খন্দের সংখ্যা এখনো বেশী নহে । থনাগণ বিশ্বাস করে তাহদের পূৰ্ব্বে কুৰ্ম্ম নামধারী এক জাতি পৃথিবীতে বাস করি ত । নবীন প্রভাত । ૭.૧૭ তাহীদের“যুগ”শেষ হইলে খনাগণের আবির্ভাব হয়। এই প্রবাদের মূলে কি কোনও সত্য নাই ? কুৰ্ম্মজাতির অধুষিত কালকে খন্দগণ কুৰ্ম্মাবতার বলে । থনদগণ গোমাংস ভক্ষণ করে না । শুনিয়াছি সাওতাল বা ভৗলগণও গোমাংস ভক্ষণ করে না। অথচ আর্যগণ অতি প্রাচীন কালে গোমাংস ভক্ষণ করিতেন তাহার প্রমাণ আছে । অর্ষ্যিগণ যে অনার্য্য দ্রাবিড়ীয় সভ্যতা বহুল পরিমাণে গ্রহণ করিয়াছিলেন তাচা ও নিশ্চিত । গোমাংস ভক্ষণ ত্যাগ কি দ্রাবিড়ীয় অtচারের প্রতি সন্মান প্রদর্শনেচ্ছার অভিব্যক্তি ? শ্ৰী তারকচন্দ্র রায় । নবীন প্রভাত । প্রথম যেদিন তোমায় আমায় হয়েছিল দেখা । আমি তখন ঘুমিয়েছিমু তুমি জেগে একা । আমি তখন দেখছি স্বপন ফিরছি কত দেশ । রচছি কত নুতন ভুবন ধরছি কত বেশ । আপন মনে ভাঙ্গা গড় স্বপন দেশের খেল । দিনে সেথ রাতের আঁধার রাতে দিনের মেলা । অাধেক আলো অাধেক ছায়l আধেক স্বপন বোর । দেখায় কত কুহক শত পরায় কত ডোর । এলে তুমি কাছে আমার শিরে দিলে হাত । ভtঙ্গলে আমার এতদিনের স্বপন ঘের রাত । জেগে এখন তুমি আমি বসেছি এক সাথে । মধুর হাওয়া বইছে আজি নবীন প্রভাতে । শ্ৰীহেমলতা দেবী ।