পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ゲbア বিধাতার হাতে কেউ কখনও পায়নি। তোমার মেহ তাদের তোমার পাশে দাড়াবার উপযুক্ত করে গড়ে নেবে মা, আমি আজ থেকে তাদের জন্ত আরও বেশি নিশ্চিন্ত হতে পারব । সেতো তার অন্তীয় অ{চরণের ক্ষমা চাইতে কুষ্ঠিত হয়নি ?” ভাল করিয়া কিছু বুঝিতে ন পারিয়া শিবানী একটু ভাবিয়া বলিল “সেতে কিছু দোষ করেনি বাবা ! ঠাকুরপে তাকে ত জোর করে নিয়ে গেল । সে যে কিছুতেই সেদিনকার সে মুখ যে আমি কিছুতেই ভুলতে পরিচি না”—বলিতে বলিতে অশ্রুভারাক্রাস্ত রুদ্ধকণ্ঠে ব্যথিত শিবানী সঙ্গস থামিয়া গিয়া মুখ ফিরাইয়া লইল । তাঙ্গার আত্মবিস্কৃত অশ্রুবিন্দু ক্রোড়স্থ শিশুর অঙ্গে পড়াতে সে তাহার সম্মুখস্থ অপরিচিত “দাদাবাবুর” উপর বিস্মিত দৃষ্টি তুলিয়া মায়ের মুণে স্থাপন করিয়া বিস্ময়-নিঃশব্দে চাহিয়া রহিল । কাণ্ডটা বড় একটা তাহার চোখে পড়ে না, মায়ের কোল ও তাহার চোখের জল দুষ্টই এখন তাহার কতকটা অপরিচিত । রজনীনাথের গম্ভীর বিচারকের দৃষ্টি মুহুর্তে বিস্ময় চকিত হইয়া উঠিল, ঈষং কম্পিন্ত-কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিলেন “সেকি তবে বাড়িব লোকদের অনাদর সহ করতে না পেরে চলে যায়নি ? সেতো এ কথা আমায় বল্লে না !” শিবানী তীব্রভাবে কহিল, “আপনি কি তাই মনে করেছিলেন নাকি ? সে কি সেই রকম মেয়ে ?” এ ভংসন রজনীনাথকে খুব আঘাত দিয়াই বিধিল । কয় দিন হইতে যেতে চায়নি । হক্টতে এ রকম ভারতী । ভাদ্র, ১৩১৭ একটা নিদারুণ অনুতাপে তিনি দগ্ধ হইতে ছিলেন । তাহার অন্তর তাহাকে বলিতেছিল “সে কি এমন কাজ করিতে পারে । তিনি সম্ভবত তাহাকে বৃথা দোষী করিয়াছেন ।” শিবানীর কথায় তাহার মনেরই যেন প্রতিধ্বনি বাজিয়া উঠিল । সত্যই তো সে তো এ রকম দুৰ্ব্বিনীত ব্যবহার করিবার মত মেয়ে নয়। এ কথাট। তিনি কেন ভাবিয়া দেখিলেন না ? পরের ছেলের উপর রাগ করিয়৷ কেন নিজেব সস্তানকে এমন ক{ঠার দণ্ড দিলেন ? রজনীনাথ অস্পর্শিত আহার্য ছাড়িয়া সহসা উঠিয় দাড়াইয় অনুতাপবেদনাপূর্ণ কণ্ঠে সাগ্রহে বলিয়া উঠিলেন, “তাই বুঝি লতি রাগ করে আমার কাছে আসেনি ! ম৷ তাকে একবার ডাক তো । বল তার অনুতপ্ত বাপ তার জন্তে তার চির মেহের কোল পেতে রেখেছে ; তাকে বুকে নেবার জন্তে ব্যগ্র হয়ে তার প্রতীক্ষা করচে ।” পতার কণ্ঠস্বর বাষ্পজড়িত হইয়া রুদ্ধ হইয়া আসিল, মনের দুৰ্ব্বলতা চাপিয়া ফেলিবার জন্ত তাড়াতাড়ি অন্তদিকে মুখ ফিরাইয়া লইলেন । কি বিস্ময় ! শিবানী বিস্ফারিত নেত্রে আশ্চর্য্য হইয়া চাহিল, অসাবধানে তাহার মাথার কাপড়টা মাথা হইতে খসিয়া পড়িয়াছিল তাহা সে জানিতে পারে নাই, এলোচুলগুল বাতাসে উড়িয়া মুখে বুকে ছড়াইয়া পড়িয়া সেই যোগিনী মূৰ্ত্তির অসম্পূর্ণতা পরিপূরণ করিয়াছিল । অমূল্য মার কোল হইতে নামিয় তাহার পিঠের উপর পড়িয়া সেই জটাবাধা চুলগুলা লইয়া টানাটানি আরম্ভ করিয়া দিল, শিবাণী ভাল করিয়া সে সব কিছু জানিতেও পারে নাই। কিছুক্ষণ সে নিৰ্ব্বাক