পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wరిసిy আমরা জন্মগ্রহণ করি বটে তবু শক্তির অভাবে আমরা মুক্তভাবে সঞ্চরণ করতে পারিনে ; মায়ের কোলেই ঘরের সীমার মধ্যেই আবদ্ধ হয়ে থাকি। তার পরে ক্রমশই পরিপুষ্ট ও সাধনা থেকে পৃথিবীলোকে আমাদের মুক্ত অধিকার বিস্তৃত হতে থাকে। বাইরের দিকু থেকে এযেমন, অস্তরের দিকৃ থেকেও আমাদের দ্বিতীয় জন্মের সেই রকমের একটি ক্রমবিকাশ আছে। ঈশ্বর যখন স্বার্থের জীবন থেকে আমাদের মঙ্গলের জীবনে এনে উপস্থিত করেন তখন আমরা একেবারেই পুর্ণ শক্তিতে সেই জীবনের অধিকার লাভ করতে পারিনে। ক্রণত্বের জড়ত আমরা একেবারেই কাটিয়ে উঠিনে। তখন আমরা চলতে চাই, কারণ, চারিদিকে চলার ক্ষেত্র অবাধবিস্তৃত – কিন্তু চলতে পারিনে, কেননা আমাদের শক্তি অপরিণত । এই হচ্চে দ্বন্দ্বের অবস্থা । শিশুর মত চলতে গিয়ে বারবার পড়তে হয় এবং আঘাত পেতে হয় ; যতটা চলি তার চেয়ে পড়ি অনেক বেশি। তবুও ওঠা ও পড়ার এই মুকঠোর বিরোধের মধ্য দিয়েই মঙ্গললোকে আমাদের মুক্তির অধিকার ক্রমশ প্রশস্ত হতে থাকে। কিন্তু শিশু যখন মায়ের কোলে প্রায় অহোরাত্র শুয়ে ঘুমিয়েই কাটাচ্চে তখনে৷ যেমন জানা যায় সে এই চলা ফেরা জাগরণের পৃথিবীতেই জন্মগ্রহণ করেছে এবং তার সঙ্গে আমাদের সাংসারিক সম্বন্ধ অনুভব করতে কোনো সংশয়মাত্র থাকেন তেমনি যখন আমরা স্বার্থলোক থেকে মঙ্গললোকে প্রথম ভূমিষ্ঠ হই তখন পদে পদে আমাদের জড়ত্ব ও অকৃতার্থতা সত্বেও আমাদের জীবনের उक्लिफौ । ভাদ্র, ১৩১৭ ক্ষেত্র পরিবর্তন হয়েছে সে কথা একরকম করে বুঝতে পারা যায়। এমন কি জড়তার সঙ্গে নবলব্ধ চেতনার বহুতর বিরোধের দ্বারাই সেই খবরটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বস্তুত স্বার্থের জঠরের মধ্যে মানুষ যখন শয়ান থাকে তখন সে দ্বিধাহীন আরামের মধ্যেই কালযাপন করে । এর থেকে যখন প্রথম মুক্তিলাভ করে তখন অনেক দুঃখস্বীকার করতে হয়, তখন নিজের সঙ্গে অনেক সংগ্রাম করতে হয় । তখন ত্যাগ তার পক্ষে সহজ হয় না কিন্তু তবু তাকে ত্যাগ করতেই হয়, কারণ, এলোকের জীবনই হচ্চে ত্যাগ । তখন তার সমস্ত চেষ্টার মধ্যে সম্পূর্ণ আনন্দ থাকেন, তবু তাকে চেষ্টা করতেই হয়। তখন তার মন যা বলে তার আচরণ তার প্রতিবাদ করে, তার অন্তরাত্মা যে ডালকে আশ্রয় করে তার ইন্দ্রিয় তাকেই কুঠারাঘাত করতে থাকে ; যে শ্রেয়কে আশ্রয় করে’ সে অহঙ্কারের হাত থেকে নিস্কৃতি পাবে, অহঙ্কার গোপনে সেই শ্রেয়কেই আশ্রয় করে গভীরতররূপে আপনাকে পোষণ করতে থাকে। এমনি করে প্রথম অবস্থায় বিরোধ অসামঞ্জস্তের বিষম ধন্দের মধ্যে পড়ে তার আর দুঃখের অস্ত থাকেন । আমি আজ তোমাদের মধ্যে যেখানে এসেছি এখানে আমার পুৰ্ব্বজীবনের অনুবৃত্তি নেই। বস্তুত, সে জীবনকে ভেদ করেই এখানে আমাকে ভূমিষ্ঠ হতে হয়েছে। এই জন্তেই আমার জীবনের উৎসব সেখানে বিলুপ্ত হয়ে এখানেই প্রকাশ পেয়েছে । দেশালাইয়ের কাঠির মুখে যে আলো একটু