পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o ه 8 उाब्रडौ। 豪 ভাদ্র, ১৩১৭ লঙ্কায় বুদ্ধের দন্ত। লঙ্কা দ্বীপের ক্যাণ্ডিনগরে ভগবান বুদ্ধের একটি দন্ত সুরক্ষিত আছে। ক্যাণ্ডিনগর মধ্যপ্রদেশে অবস্থিত। উহার প্রাচীন নাম ঐীবদ্ধনপুর । ১৫৯২ হষ্টতে ১৮১৫ খৃষ্টাব্দ পর্য্যস্ত উহা সমগ্র লঙ্কা দ্বীপের রাজধানী ছিল। দস্তধাতু যে মন্দিরে সংরক্ষিত আছে উহার নাম মালিগাব ম’নার । উহা তত্রত্য বৌদ্ধ বিহারের অভ্যস্তরে অবস্থিত । আমি বিগত শ্রাবণ মাসে পেরহের ( প্রাতিহার্য্য ) মহোৎসব উপলক্ষে ক্যাণ্ডিনগরে গমন করিয়া মালিগাব মন্দির পরিদর্শন করি। কোলম্বনগরের বৌদ্ধ মহানায়ক মহাস্থবির মুমঙ্গলের বিশেষ চেষ্টায় আমি এই দস্তধাতু অবলোকন করিবার অধিকার পাই । তিনি আমাকে একখানি অনুরোধপত্র সহিত ক্যাণ্ডিনগরের প্রধান বৌদ্ধনায়ক মহাস্থবির সিদ্ধার্থের নিকট প্রেরণ করেন। দস্তধাতু যে মন্দিরে অবস্থিত উহার চাবি সিদ্ধার্থের হস্তে দ্যস্ত আছে। ড হার বয়ঃক্রম প্রায় ৯০ বৎসর । সিদ্ধার্থের বিহারে অনেক ছাত্র আছে বটে কিন্তু তিনি স্বয়ং সৰ্ব্বদ। চাবি রক্ষণেই ব্যস্ত থাকেন। পাছে কেহ কোন ছলে মন্দিরে প্রবেশ করিয়া দস্তধাতু অপহরণ করে সর্বদা তাহার মনে এই উদ্বেগ বিদ্যমান থাকে। দস্তধাতু দেখাইবার তাহার সম্পূর্ণ অধিকার না থাকিলেও ইংরাজ গবৰ্ণমেণ্টের প্রতিনিধি, সিংহলী রাজবংশের প্রতিনিধি, বৌদ্ধ ভিক্ষুগণের প্রতিনিধি প্রভৃতি সকলের মত লইয়া তিনি মন্দিরের দ্বার উদঘাটিত করিতে পারেন। মন্দির ৪৫ বৎসর অস্তর কোন বিশেষ ঘটনায় উদঘাটিত হয়। মন্দিরের চাবি সিদ্ধার্থের হস্তে থাকে বলিয়া লঙ্কাদ্বীপে সিদ্ধার্থের মহা প্রতিপত্তি । আমি ক্যাণ্ডিনগরে গমন করিয়া সিদ্ধার্থের সহিত পালি ও সংস্কৃত্তি সাহিত্য সম্বন্ধে অনেক আলোচনা উত্থাপন করি । কিন্তু দেখিলাম সিদ্ধার্থের অন্তঃকরণ উহাতে বিচলিত হইবার নহে। দিনে ও রাত্রে, উঠিতে ও বসিতে সকল সময়েই চাবি তাহার হাতেই থাকে। রাত্রিতে নিদ্রার সময়ে উছ কোথায় রাখেন জানা যায় না । সিদ্ধার্থ আমার সহিত অনেক কথা বলিলেন, আমাকে সঙ্গে করিয়া নগরের অনেক বস্তু দেখাইলেন কিন্তু বলিলেন দন্তধাতু দেখাইবার সুযোগ হইবে না। পরে আমি সিংহলী রাজবংশের প্রতিনিধি, ইংরাজ গবর্ণমেণ্টের প্রতিনিধি প্রভৃতি সকলের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া তাহাদিগকে সম্মত করি। তদনন্তর সিদ্ধার্থও দস্তধাতু দেখাইতে সন্মত হন। রাত্রি ১০ ঘটিকার সময় তিনি আমাকে সঙ্গে লইয়া বিহারের দ্বিতল কক্ষে মালিগাব মন্দিরে প্রবেশ করেন । রাজপথ হইতে মালিগাব মন্দিরে প্রবেশকাল পর্য্যন্ত আমাকে অনেক দ্বার ও সোপান অতিক্রম করিতে হইয়াছিল। পূর্বেই বলিয়াছি মন্দির বিহারের অভ্যস্তরে অবস্থিত । বিহারটি আবার একটি হ্রদের পশ্চিম কুলে প্রতিষ্ঠিত। বিহার ও হ্রদের চতুদিকে পৰ্ব্বতমালাবিরাজিত । দস্তধাতুর মন্দিরের দ্বার হস্তিদন্ত নিৰ্ম্মিত । এই দ্বারে নিম্নলিখিত শ্লোক লিখিত আছে – সৰ্ব্বজ্ঞবত্ত্ব সরলীক্লহরাজহংসং কুন্দেন্দুমুন্দরকুচিং মুরবৃন্দবদ্যম্।