পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بنob 8 মাটি খুড়িতে আরম্ভ করিল। দক্ষিণ তীরে এক মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্দেশুে সেখানকার বৃক্ষগুলি ছেদিত হইতে লাগিল। শেষ বৃক্ষটির অঙ্গে কুঠারাঘাত হইবামাত্র অমনি ক্ষতস্থান হইতে রক্ত বাহির হইতে লাগিল এবং একটা অফুট ক্ৰন্দন ধ্বনি শুনা গেল। এই সংবাদে যুবরাজ সেই বৃক্ষটির ছেদন বন্ধ করিয়া দিলেন। সেই দিন রাত্রে স্বপ্নে মহাদেব আসিয়া বলিলেন— “আমি ঐ বুক্ষে আশ্রয় লইয়াছি। উছ ছেদন করিয়া এমন একটি শিকড়ের অনুসন্ধান ভারতী । ভাদ্র, ১৩১৭ করিবে যেটি পৃথিবীর মধ্যস্থল পর্য্যন্ত নামিয়া গিয়াছে। সেই শিকড় কাটিয়া আমার মূৰ্ত্তি প্রস্তুত করিবে এবং ঐ মন্দিরের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করিবে ।” যুবরাজ সেইরূপই করিলেন। আজও ঐ মন্দির মধ্যে সেই দারু মূৰ্ত্তিই বিরাজিত ! মাঝি গল্প শেষ করিয়া আমার নৌকাটিকে আনিয়া তীরে লাগাইল । আমি সেই প্রাচীন কথা ভাবিতে ভাবিতে শিবিরে ফিরিলাম । মুর্শিদাবাদের প্রাচীন কাহিনী । মহারাষ্ট্র বীর রঘুজি ভে"সলে ভাস্করের হত্যার প্রতিশোধ লইবার জন্ত উদ্বিগ্নচিত্তে অপেক্ষা করিতেছিলেন। সুতরাং মুস্তাফার বিদ্রোহ ও বঙ্গে অশাস্তি ও অরাজকতার সংবাদ পাইবামাত্র তিনি অবসর বুঝিয়া বঙ্গদেশে আগমণ করিলেন । আলিবদী তখন তাহার রণক্লান্ত সৈন্য লইয়| পাটনা হইতে প্রত্যাবর্তন করিতেছেন । এই সংবাদ পাইবামাত্র তিনি রাজধানী রক্ষা করিবার এবং রঘুজি ও মুস্তাফার সংযোগনিবারণ উদেখে তৎক্ষণাৎ মুর্শিদাবাদ যাত্রা করিলেন। লুণ্ঠনকারী মহারাষ্ট্র বীর তিন ক্রোড় মুদ্র। নজর চাহিয়াছেন শুনিয়া নবাব তাহার কর্মচারীকে রঘুজির সহিত কৌশলে কীলক্ষেপ করিতে উপদেশ দিলেন। ইতিমধ্যে মুস্তাফা নবাবকে মহারাষ্ট্রীয়দিগের সহিত সন্ধিস্থাপনে নিযুক্ত স্থির করিয়া এক প্রবল বাহিনী লইয়া বঙ্গদেশের মধ্যে আসিয়া উপস্থিত হইলেন । কিন্তু বীরবর শাউকৎজঙ্গ তৎক্ষণাৎ যুদ্ধ যাত্রা করিয়া জগদীশপুরের যুদ্ধে বিদ্রোহীগণকে পরাজিত করিলেন। মুস্তাফা নিজে রণক্ষেত্রে হত হইলেন এবং তাহার অনুচরবর্গ প্রভুর মৃতদেহ দেখিবামাত্র ভয়োদ্যম হইয়া পলায়ন করিল। পরে মুস্তাফার পুত্র মুৰ্ত্তাজা নেতা হইয়া পাৰ্ব্বত্য প্রদেশ উৎখাত করিতে লাগিল এবং অবশেষে মহারাষ্ট্রদিগের সহিত সংযুক্ত হইয়া পুনরায় নবীবের বিরুদ্ধে রণক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইল । এদিকে জগদীশপুরের যুদ্ধের জয়বাৰ্ত্ত শুনিবামাত্র নবাবের দুশ্চিন্তা অনেকটা দূর হইল এবং তিনি মহারাষ্ট্রীয়দিগকে শাসিত করিবার স্বযোগ বুঝিয়া তৎক্ষণাৎ রঘুজিকে এক পত্র প্রেরণ করলেন। সেকালে মুসলমান আদবকায়দার এতই বাহুল্য ছিল যে যুদ্ধঘোষক বাৰ্ত্ত। পৰ্য্যন্ত চাটুবাক্যে মণ্ডিত হইত। তাহার পত্রের মৰ্ম্ম এই। “শক্রর নিকট যাহারা সন্ধিভিক্ষা করে তাহারা আপনার স্বার্থের ক্ষতি বা হীনতা বা ভবিষ্যতে সুযোগের আশার দ্বারাই চালিত হয় ; কিন্তু পরমেশ্বরকে ধন্যবাদ! সত্যধৰ্ম্মামুরাগী বীরগণ অবিশ্বাসীর সহিত সংগ্রাম করিতে ভীত নছে । সুতরাং সন্ধি এই ক্ষেত্রে সস্তব,—যখন ইসলামধৰ্ম্মী সিংহগণ পৌত্তলিক দৈত্যগণের সহিত এরূপ কঠোর যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইবে যে তাহারা পরস্পরের রক্তস্রোতে সস্তরণ দিবে এবং একপক্ষ বিপৰ্য্যন্ত হইয়। শাস্তি ভিক্ষণ করিবে ।" • ইহার উত্তরে রঘুদি লিখিলেন—“সেই নিষ্পত্তি