পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, পঞ্চম সংখ্যা । একটা ভুল কথা বলিলে কথাটা একেবারেই বাতুলের কথা দাড়াইত । সুতরাং আত্মরক্ষার জন্য ইহাদিগকেও স্বীকার করিতে হইয়াছে যে, অনেক স্থলে সুন্দরী নারীকেও শিক্ষ,বুদ্ধি ও ভাবরসে শ্রেষ্ঠ পুরুষের সমকক্ষ হইতে দেখা যায়। চিস্তার প্রভাব উহাদের মুখের সৌন্দৰ্য্য নষ্ট করিতে পারে না। ইহাদের মতের সমর্থন স্বরূপ ইহার বলেন, ফরাসী FAIt Naf5A?kt ( Marquise de Montcspan ) কংল রূপের বলে সম্রাট লুইকে করতলগত রাখিয়াছিলেন। পৃথিবীর মধ্যে তাহার কেবল দুইটি মাত্র চিন্তা ছিল—কি করিলে নিজের রূপ ও সম্রাটের কৃপ তিনি রক্ষা করিতে পরিবেন। একটি সীমান্য রসিকতা করিবার মত বুদ্ধি শক্তিও তাহার ছিল না। কিন্তু পরে যে নারী আসিয়া সম্রাটকে তাহার হস্তচু্যত করিয়া এবং ত্রিশ বৎসর কাল ফ্রান্সের রান্তীরূপে একাধিপত্য করিয়াছিলেন, তিনি মুন্দরী নহেন-বুদ্ধিমতী । এই দুইটি নারীর মধ্যে আকৃতির কি প্রভেদ । মনটেস্পার রূপ অতি মধুর, অতি কোমল, উন্মাদকর —ক্র হইতে চিবুক পৰ্য্যন্ত নিখুত, নিটোল, সুন্দর ! আর দ্বিতীয় নারীর কর্কশ ভাব, ক্ষুদ্র চক্ষু, দীর্ঘ বক্র নাসিক, বৃহৎ নাসিক রন্ধ এবং ওষ্ঠের গঠন দেখিলেই বুঝা যায় ষে ইহার মধ্যে জ্ঞান বুদ্ধি ভরিয়া আছে । ইতিহাসের প্রসিদ্ধ। সুন্দরীগণের উল্লেখ করিয়া তাহারা বলেন ; রূপ গৌরবে অতুলনীয়t লেডি হামিল্টনের স্তায় অশিক্ষিতা ও বুদ্ধিহীন নারী খুব অল্পই দেখা যায় । সামান্ত নীচ গৃহে জন্মগ্রহণ করিয়৷ এই নারী এক স্থানে দাসীর কৰ্ম্ম করতেন। তাহার পরে এক পান্থশালায় কৰ্ম্ম গ্রহণ করেন । এই স্থানে লণ্ডনের অভিনেতাগণ প্রায়ই যাতায়াত করিতেন । তথায় কিছুকাল যথেচ্ছভাবে কালাতিপাত করিয়া হামিল্টনকে মুগ্ধ করেন এবং হামিলটন তাহকে বিবাহ করিয়া রাজদরবারে আনয়ন করেন । যতক্ষণ "কিঞ্চিন্ন ভাষাতে” ততক্ষণ লেডি হামিল্টনকে দেখিলে সকলেই মুগ্ধ হইত । উক্ত দলের মতে, ইতিহাস প্রসিদ্ধ প্রায় সকল স্বন্দীরই ইতিহাস প্রায় এইরূপ । সৰ্ব্বজন স্বীকৃত চয়ন—নারীসৌন্দৰ্য্য । 8 ᏱᎼ বুদ্ধিমতী নারীর আলোচনা করিয়া তাহারা দেখাইতেছেন,—রোজা বনহুর ( Rosa Bonheur) নামে একটি চিত্রকরনারীর বুদ্ধি অতি তীক্ষ্ণ ও প্রথর ছিল । বাল্যকাল হইতেই র্তাহীর মূখে চিন্তা ও একাগ্রতার স্পষ্ট লক্ষণ প্রকাশ পাইত। কিন্তু বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে তাহার মুপের আকার ও ভাব ঠিক পুরুষের স্যায় হইয়া আসিল । কবি এলিজাবেথ ব্রাউনিংও এইরূপ সৌন্দর্য গৌরবে বঞ্চিত। ম্যাডাম কুরি ( Curia) একজন বৈজ্ঞানিক প্রতিভাবতী নারী। রাসায়নিক তত্ত্বাবিষ্কারে তিনি আধুনিক জগতের একজন অগ্রগণ্য। তিনি ও তাহার স্বামীই রেডিয়াম আবিষ্কার করিয়া তাহাকে বিচ্ছিন্ন করিয়৷ পৃথিবীর সম্মুখে প্রদর্শন করেন। তাহার মুখের fত রেখায় বুদ্ধি উছলিয়া পড়িতেছে, কিন্তু সৌন্দর্যের কোন টিছুই নাই। ইতিহাস প্রসিদ্ধা চারিটি রাস্ত্রীর সম্বন্ধে র্ত{হারা বলিতেছেন, কেথেরাইন ডি মেডিসির de Medici) #ū āts Rf5কৌশলে ও শাসন কর্তৃত্বে অসাধারণ প্রতিভা ছিল ; কেথেরাইন অফ রুযিয়াও কূট রাজনীতিজ্ঞ ছিলেন : ইংলণ্ডের এলিজবেথ অসম্ভব বুদ্ধিমতী ছিলেন এবং Nf $:stą Cafè li çoçãril ( Maria Theresa ) রাজ্যগঠনে ও তত্ত্বাবধারণে ইয়ুরোপের অগ্রগণ্য ছিলেন। কিন্তু ইহাদের কেহই সুন্দরী ছিলেন না । উপন্যাসলেখিকা জর্জ এলিয়ট, জর্জ স্ত্য্যাণ্ড, শালটি ব্ৰণ্ট ইহারাও রূপের ধীর ধারিতেন না। উপরে যাহা লিখিত হইল তাই। পক্ষপাতী সম্প্রদায় বিশেষের মত । অপক্ষপাত ভাবে দেখিলে এ মতের সমর্থন করা অসম্ভব। বুদ্ধি বা চিন্তার সহিত যে সৌন্দর্য্যের কোন জন্মগত বিরোধ আছে, ইহার প্রমাণ আমরা আজিও পাই নাই। মস্তিষ্কক্রিয়ার বিকাশ হইলেই যে অঙ্গ সৌষ্ঠবের ব্যাঘাত বা বিকৃতি জন্মিবে, দেহতত্ত্বে এরূপ কোন কথা আজিও আবিষ্কৃত হয় নাই। বরংচ আমাদের বিশ্বাস বুদ্ধিমতী হইলে কুরূপ। নারীকেও স্বরূপ দেখায়, বুদ্ধির এমনি উজ্জল সৌন্য । পুরাকল ( Catherine