পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ab" পড়িল। এই শূদ্র বিদ্বেষের ফলে আমাদের পুরনারীগণকে—জনগা, ভগিনী, পত্নীকে—আমরা শূত্রে পরিণত করিলাম। আজিও তাহার সেই শূদ্রই রছিয়াছেন এবং আমরা সগৰ্ব্বে র্তাহীদের এই অবস্থার সমর্থন করিতেছি। বৈদিক যুগে যে কোন শূদ্র ব্রাহ্মণ হইতে পারিত এবং যে কোন নারী ইচ্ছাক্রমে বিবাহিত হইতে বা অবিবাহিত থাকিতে পারিতেন। শ্রুতিতে কন্যদানের ভাবাত্মক কোন কথাটি পর্যন্ত নাই। জীবনকে যথার্থ ধৰ্ম্মপথে অতিবাহিত করাই প্রত্যেক আর্য্যের প্রথম ও প্রধান কৰ্ত্তব্য। আপনাকে এই উচ্চ আদর্শে গঠিত করিলে তাহার মনে আর শূদ্ৰ বিদ্বেষ থাকে না বা নারীকে অtয় সে আপনার ভোগের বা সেবার ঘন্ত্র বলিয়া মনে করিতে পারে না । জীবনকে এইরূপে গঠিত করিতে হইলে প্রত্যেকেরই যথার্থ ব্রাহ্মণ হওয়া আবশ্বক। প্রকৃত ব্রাহ্মণ হইৰায়, ব্রহ্মের সহিত লীন হইবার পূৰ্ব্বে মমুখ্যের ভারতী । ভাদ্র, ১৩১৭ তিনটি অবস্থা উত্তীর্ণ সহকারে তাহার তিনটি ঋণ পরিশোধ করা আবশ্ব্যক ; ( ১ ) ধৰ্ম্মোদেশে সন্তান স্বষ্টি করিয়া পিতৃঋণ ; (২) উপার্জিত বিদ্য বিতরণ করিয়া ঋষিঋণ ; (৩) আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন করিয়া দেবখণ । তাহার পর তিনটি জন্মলাভ করা আবশ্বক— (১) মাতৃগর্ভে ; (২) উপনয়নে অর্থাৎ দ্বিজত্ব লাভে ; (৩) সেমিষাগ দীক্ষায় । স্বতরাং দেখা যাইতেছে যে পৃথিবীর মনুষ্যমত্রেই এই ব্রাহ্মণত্ব লাভে অধিকারী। প্রায় পাঁচশ বৎসর শাস্ত্রামুসন্ধান করিয়া মহাদেব শ স্ত্রী এই রূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন, আর আমরা রঘুবংশের মল্লিনাথের টীকা পাক্ত কতক মুখস্থ করিয়াই গোর হারাইলেও শাস্ত্রের দোহাই দিয়া থাকি । আৰ্য্যসন্তানের এ অন্ধত। আর থাকিবে কত দিন ! বঙ্গসাহিত্যে প্যারীচঁাদ ।* প্যারীচাঁদ যখন মাতৃভাষার পরিচর্য্যায় লেখনী ধারণ করেন, তখন বঙ্গদেশে দুইটি সম্পূর্ণ পৃথক ভাষা প্রচলিত ছিল, একটা লিখিবার ভাষা অর্থাৎ সাধুভাষ অপরটা কথোপথনের ভাষা বা চলিত ভাষা । তৎকালে পদ্যগ্রন্থ রচনায় সংস্কৃত মূলক সাধু ভাষাই বহুল পরিমাণে ব্যবহৃত হইত। কিন্তু উহা সহজে সাধারণের বোধগম্য হইত না । তৎসময়ে বাঙ্গালা গদ্য রচনা ও নিতান্ত দীন ভাবাপন্ন ছিল । র্যাহারা ইংরাজী ভাষায় সুশিক্ষিত ছিলেন তাহীদের অধিকাংশের সহিত বাঙ্গালা ভাষীর কোনরূপ সম্পর্ক ছিল না । তাহার বাঙ্গালী ভাষাকে একটা ভাষা বলিয়া গণনার মধ্যে আনিতেন না । দু’দশজন লোক যদি বা দুই একখানি বাঙ্গালী গ্রন্থ পাঠ করিতেন, কিন্তু বাঙ্গালীয় গ্রন্থ রচনার জন্ত র্তাহীদের মনে কোনরূপ আগ্রহ জন্মিত না । আবর্জন পরিপূর্ণ অপরিস্কৃত দুৰ্গন্ধময় কুপোদকের গায় বঙ্গভাষাও তৎকালে পীড়াদায়ক ও অরুচিকর বোধে ইংরাজী শিক্ষামুরাগী ব্যক্তিগণ কর্তৃক অনাদৃত ও পরিত্যক্ত হইত। বঙ্গভূমির ক্ষণজন্ম সুসস্তান মহাত্মা রামমোহনরায়ের যত্নে বাঙ্গালী ভাষার উৎকর্ষ ¥ किङ्ककाण इ३श ७३ अक्क बीब्र गाश्ठिा भबिष९ भनिएब्र प्लैषककर्छुक भठि श्हेब्राश्लि।