পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७gश्रृं सूर्य, 2र्थम ग९र्थी । প্রত্যেকেই নিজ নিজ অভাব সম্পূর্ণ থাকা সত্ত্বেও রিপোর্ট দিতে লাগিলেন—আমার । বাড়ীতে কোন অভাবই নাই, তা ছাড়া গ্রামস্থ প্রত্যেকেরই যথেষ্ট অভাব, প্রত্যেককেই একরূপ অনশনে থাকিতে হয়। আশ্চর্য্যের বিষয় সকলে এত অভাবে থাকিয়াও নিজ নিজ অভাব গোপন করিতে প্রয়াস পাইলেন । সাহেবগুলি জাপানীদের এই স্বভাব দেখিয়া মুগ্ধ এবং অবাক হইলেন। পাঠক একবার ভাবিয়া দেখুন এরূপ আত্মসন্মান জ্ঞান আমাদের দেশে কয়জনের ভিতর দেখিতে পাওয়া যায় ? আমাদের দেশে সাহায্য ভাণ্ডার খুলিলে যাহার অভাব আদৌ নাই বিস্তর এমন লোককেও সাহায্যপ্রার্থ হইতে দেখিতে পাওয়া যায় । ভিক্ষুককে ভিক্ষ না দেওয়ার জন্য আমরা জাপানীদিগকে নিষ্ঠুর বলিব কি ? যাহার জাপান প্রত্যক্ষ করিয়াছেন তাহারা একবাক্যে আমাদিগকেই নিষ্ঠুর বলিবেন, যেহেতু আমরা কত শত শত মুস্থকায় সবল যুবককেও ভিক্ষাবৃত্তিতে প্রশ্ৰয় দিয়া তাহাদিগকে একেবারে পশুর অধম করিয়া তুলিতেছি। তাহারা মানবসমাজের বহির্ভূত হইয়া বংশপরম্পরাক্রমে ভিক্ষাবৃত্তিই জীবনের প্রধান অবলম্বন মনে করিতেছে। তাহারা বলিয়া থাকে চাকুরী করিলে তাহীদের জাত এবং ইজ্জতের হানি হয় । জাপানে নিঃসহায়, দীন দরিদ্র, কৰ্ম্মক্ষম ব্যক্তি অপরের গলগ্ৰহ হইয়া জীবন ধারণ করিতে অপমান বোধ করে। আমরা অস্ট্রিীয় স্বজনের উপর নির্ভর করিয়া জীবিক নিৰ্ব্বাহ করিতে কিঞ্চিম্মাত্রও দ্বিধ বোধ করি না । আর জাপানীরা এক পরিবার ভুক্ত থাকিয়ী জাপাঙ্গে ভিক্ষুক । לסי পরিবারের উপর নির্ভর করিতেও লজ্জা বোধ করে। সক্ষম অবস্থাতে স্বেীপার্জিত অর্থে পরিপুষ্ট না হইলে অনেকাংশে পশুপক্ষীর স্তায় জীবন অতিবাহিত করা হয় না কি ? জাপানের উত্তরে হোক্কাইদো দ্বীপ। দ্বীপটী অনেকটা সাগালিয়েন দ্বীপের নিকট । তথাকার লোকের ভিতর জাপানের অন্তান্ত প্রদেশবাসীর অপেক্ষা শিক্ষালোক অল্পতর বিস্তৃত হইয়াছে । সেই হোক্কাইদো দ্বীপের একটী ৬৫ বৎসরের বৃদ্ধ আমাদের বাড়ীতে চাকরাণীর কায করিত একদিন তাহাকে গুরুতর পরিশ্রমে ক্লান্ত৷ দেখিয়া আমি জিজ্ঞাসা করিলাম ওবাছনি (মিসেস্ বুদ্ধ' ) তোমার বয়স এখন ঢের বেশী হইয়াছে—পরিশ্রম করিবাব শক্তি কমিয়া আসিয়াছে, তোমার আর কে আছে, বসিয়া খাইবার কি কোন উপায় নাই ?” উত্তরে বৃদ্ধ বলিল “আমার নিজের খাইবার উপায় আছে ; আমার ২০২১ বৎসরের একটী মেয়ে তোকিও মেয়েদের স্কুলে পড়িতেছে, আর এক বৎসরেই ঐ স্কুলের শিক্ষা সমাপন করিয়া বাহির হইতে পারে। আমার কর্তব্য মেয়েটকে লেখাপড়া শিখাইয়া সৎপাত্রে বিবাহ দেওয়া । আমি এখনও এত তুর্কল নহি যে কোন ভদ্রলোকের বাড়ী সাধারণ রকম কাষকৰ্ম্ম করিয়া মেয়েটর পড়ার খরচের সাহায্য না করিতে পারি। ~. একটা অনার্য্য প্রদেশের নিম্নশ্রেণীর বৃদ্ধার কথা শুনিয়া অবাক হইলাম। মনে মনে ভারতের শিক্ষিত উচ্চশ্রেণীর ভদ্রলোকের সহিত এই বৃদ্ধার তুলনা করিলাম। শিক্ষার সহিতই আত্মসম্মান জ্ঞান আসিয়া পড়ে। এই সকল কারণেই জাপান এত উন্নত এবং বৈদেশিক 颇