পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ੲੋੜੀ ৩৪শ বর্ষ ] আশ্বিন, ১৩১৭ [ ৬ষ্ঠ সংখ্যা অক্ষয় রূপ। সে ছিল সন্ন্যাসী। জপ তপ পুজা আরাধনা নিয়েই সে থাকত। পৃথিবীর কোনো মানুষের পানে, কোনো জিনিসের দিকে সে ফিরেও চাইত না । বনের মাঝে দেবতার মন্দিরে তার আস্তানা ছিল । বনের যন্ত জন্তু তার মন্দিরদ্ধারে এসে খেলা করত, য’ত পাখী মন্দিরচুড়ায় বসে কাকলী গাইত। মানুষের সমাগম বড় হত না । মন্দিরের মধ্যে দেবতার কোনো বিগ্ৰছ ছিল না, সন্ন্যাসী বসে বসে যে কার পূজা, কার ধ্যান করত তা সেই জানে । এমনি দিন যায় । বর্ষার বাদল ভাঙা মন্দির বেয়ে দুপুর রাতে কার চোখের জলের মতো এসে তার গায়ে উপচে পড়ে, গ্রীষ্মের রৌদ্র ভাঙা দরজার ফাক দিয়ে এসে তার মাথায় সোনার কি রীট পরিয়ে দেয়, সে সব সে খেয়ালই করে না। দিনের আলো, রাতের আঁধার, বসন্থের বাতাস, চাদের জোছনা তার প্রাণের মধ্যে কোনো ভাবের লহরী তুলতেই পারত না । দেখলে বোধ হত যেন পাথরের মানুষ । মাঝে মাঝে পথহারা পথিক দুপুর রাত্রে এসে তার মন্দিরে আশ্রয় নিত, ভোর না ইতেই পথ খুজে চলে যেত, সন্ন্যাসী তাদের কাউকে কোন কথা শুধাত না, তারা কিছু জিজ্ঞাসা করলে উত্তর দিত না—চোখ বুজে বসে থাকত। কেউ যদি এসে ভক্তিভরে তাঁর পদসেবা করতে যেত সে পা টেনে নিত । কেউ কিছু ভেট দিলে ছুড়ে ফেলে দিত। এক ভোর রাত্রে এক নর্তকী রাজার বাড়ি গাওনা শেষ করে ফিরচে, পথে ঝড়বৃষ্টিতে পড়ে এই মন্দিরে আশ্রয় নিলে । সে শুনেছিল এইখানে এক সন্ন্যাসী থাকে। অনেকদিন থেকে এই সন্ন্যাসীর সঙ্গে দেখা করবার তার ভারি ইচ্ছ, কিন্তু দেখা ঘটে ওঠেনি। আজ দৈবযোগে দেখা হয়ে তার ভারি আনন্দ হল। মনে হল—আমি যা খুজিচি এই সন্ন্যাসীর কাছে তার সন্ধান নিশ্চয়ই পাবে, নইলে আজ রাত্রে এরই কাছে বা এসে পড়ব কেন ? নিশ্চয় এ ভগবানের খেলা ! নর্তকী পরম রূপসী । তার রূপের প্রশংসা দেশজোড়, সেই গরবে তাঁর মাটিতে পা পড়ে না । কিন্তু তার বড় ভয় কখন সে গরব টুটে । রূপতো আর চিরদিন থাকে না ! এরই মধ্যে তার রূপের প্রভ নিবে আসচে। এক একদিন আয়নার সমুখে দাড়িয়ে যখন দেখে নিটোল অঙ্গ