পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ! R কলীয় শিল্পিগণ শ্রেষ্ঠতালাভ করিতে পারেন নাই। উৎকলভাস্কৰ্য্যপ্রস্তুত কয়েকট সুগঠিত মুর্তি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বটে,-কিন্তু সহস্ৰ সহস্র মুর্তির মধ্যে মাত্র সেই কয়েকটির শিল্পগৌরব কতটুকু ? ভারতের অন্তান্ত প্রদেশের কথা ছাড়িয়া দিতেছি, একমাত্র সাঞ্চীর ভগ্নচুৰ্ণ ভাস্কৰ্য্যকীৰ্ত্তি এ বিষয়ে সমগ্র উৎকলের অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। প্রকৃতকথা, ভাস্কৰ্য্য শিল্প ভারতের অন্তান্ত প্রদেশেই যথার্থভাবে পরিপুষ্ট হইয়া উঠিয়াছিল এবং উৎকলীয় শিল্পিগণ তাহতে হস্তক্ষেপ করিয়াও শিল্পের শাশ্বত প্রসাদ হইতে বঞ্চিত হইয়াছিলেন । ইহার প্রধান কারণ, তাহারা যে স্বল্প কারুকায্যে অক্ষম ছিলেন, তাহা নয়, পরস্তু মৌলিক পরিকল্পনার অভাবই র্তাছাদের অকৃতকাৰ্য্যতার একটা প্রধান কারণরূপে বিবেচিত হইতে পারে। নতুবা সুহ্ম কারুকার্য্যে এবং গঠন-পারিপাট্য, তাহার কোন দেশের শিল্পকৰ্ম্মার অপেক্ষা হীন ছিলেন না । - এখন, বিন্দুসরোবর সম্বন্ধে কিছু বলিয়া, আমরা উপস্থিত অধ্যায় সমাপ্ত করিব। বিন্দু সরোবর বা সাগর, ভুবনেশ্বর মন্দির হইতে ছয় শত হাত উত্তরে অবস্থিত । ভুবনেশ্বরে, প্রধান ও পবিত্র সরোবরের সংখ্যা আটট । তাহার ভিতরে বিন্দুসাগরই সৰ্ব্বাপেক্ষ বৃহৎ । উক্ত আটটা সরোবরের নামঃ– ১ । বিন্দুসাগর। ২। গঙ্গা-যমুনা। ৩ । কোটিতীর্থ। ৪ । পাপ-নাশিনী। ৫। অলাবুকুও। ৬। ব্ৰহ্মকুণ্ড । ৭ । মেঘকুণ্ড। ৮। রামকুণ্ড । ভারতী। আশ্বিন, ১৩১৭ হিন্দুগণের শাস্ত্রমতে সকল তীর্থের পবিত্র সলিলে বিন্দুসাগর পুর্ণ হইয়াছে। এই সরোবরের পরিমাপ, ১৩০ • × ৭ • • ফুট । ইহার গভীরতা, ১৬ ফুট। আগে, ইহীর চারিদিকেই পাথরে বাধীনে সোপান শ্রেণী বিরাজিত ছিল,—এখন অন্তান্ত দিকের সোপান ধ্বংসপ্রাপ্ত হইয়াছে, কেবল একদিকে বর্তমান আছে। সরোবরের মধ্যস্থলে একটা বৃত্রিম দ্বীপ আছে, তাহার পরিমাপ, ফুট । দ্বীপের উত্তর পশ্চিম কোণে একটী ছোট মন্দির। মন্দিরের সমুখে একটী চাতাল এবং তাহার মধ্যস্থলে একটী শিল্পোৎকর্ষ-রম্য উৎস আছে । পুরীতেও এইরূপ দ্বীপ সমেত একটা সরোবর আছে, তাহার নাম "নরেন্দ্র তালাও । কিন্তু বিন্দুসাগর তদপেক্ষা বৃহৎ। বিন্দুসাগরের জল, এখন অযত্নে এবং অসংখ্য যাত্রীর স্বেচ্ছা-কুত ব্যবহারে তেমন পরিষ্কার নাই । সরোবরের জলে নাকি অসংখ্য কুমীর আছে। কিন্তু পাণ্ডার যথেষ্ট ভরসা দিয়া থাকে, যে এই কুমীরের পিতৃপিতামহ পৰ্য্যায়ক্রমে এখানেই পরমসুখে বসবাস করিয়া আসিতেছে এবং দেবাদিদেবের ভয়ে, তাহারা মামুষের কোন অপকার করে না । তাহার একেবারেই পরম বৈষ্ণব শুনিয়া, আমার সঙ্গী বন্ধুবৰ্গ ধৰ্ম্মের অপার লীলা ভাবিয়া নিঃশঙ্কচিত্তে জলে সীতার দিতে লাগিলেন । আগে, এই সরোবরের দৃপ্ত বড়ই চমৎকার ছিল। ইহার চারিদিকে ঘন-বন-শুামা ছায়ালোকক্রীড়াবিচিত্র ভূমি। সেই বনের মাথায় মাথায়, মন্দিরের পর মন্দির,—তাহার পর মন্দির– এই রূপ সপ্তসহস্র দেবায়তনের সপ্ত } > о x > с о