পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و من 8 স্বভাব নয় ! মোদ সে কথা যাকু – বদরুদ্দিন তার মেয়ে সোফির জন্য অত পীড়াপীড়ি করেছিল—আমরা ভেবেছিলাম,--” - বাধা দিয়া মীর আলি কহিল, "রজ্জব, লোকে ভালবাসে একবার এবং একজনকে মাত্র । দুজনকে ভালবাসা যায় ন৷ ” রজ্জব কহিল,"সে কি ! তুমি আবার কবে কাকে ভালবাসলে ।” দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া মীর আলি কহিল, *বেসেছিলাম, রজ্জব !” রজ্জব চমকিয়া উঠিল ! একটু আর্দ্র কণ্ঠে কহিল, “বলতে কোন আপত্তি আছে কি ?” মীর আলি জলের দিকে চাহিয়াছিল। ছোট ঢেউগুলি নদীর তটে আসিয়া লাগিতেছিল ! মীর আলি কহিল, আর কি !” সন্ধার আঁধার নিবিড়তর হইতেছিল। আকাশে চাদ ছিল না ! বাতাসটুকু আরো শান্ত শীতল হইয়া আসিল । মীর আলি কহিল, “সে যেন স্বপ্ন ! তখন আফগান যুদ্ধ বাধিয়াছে। আফগান-বালিকা মরিয়মকে প্রথম দেখি, এক ঝরণার ধারে । শ্রাস্ত হইয়াছিলাম। ঘোড়াটাকে নিকটে একটি গাছে বাধিয়া পাহাড়ের পাথরে ঠেস দিয়া আমি বসিয়াছিলাম ! রোদ পড়িয়া আসিতেছিল। দুই একটা পাখী ডাকিতেছিল—তাহাই শুনিতেছিলাম । মন হইতে সকল দুর্ভাবনা, সকল বাসনা দুর করিয়া দিয়াছিলাম ! অশ্বের হ্ৰেষা নাই, নররক্তলোলুপ সৈনিকের হুঙ্কার নাই । রণবাদ্যের সে উন্মাদ “ন, আপত্তি ভারতী । আশ্বিন, ১৩১৭ ঝন্‌ঝন নাই! যুদ্ধ সেদিন বন্ধ ছিল। চারিধারে অপূৰ্ব্ব শাস্তি ! আমি ভাবিতেছিলাম, মামুষের নিষ্ঠুরতার কথা ! এই শাস্তি-মুখ, নষ্ট করিতে তার কি পৈশাচিক আগ্রহ ! এমন সময় মরিয়মকে দেখিলাম । সে জল লইতে আসিয়াছিল । সহসা তাহাকে দেখিয়া আমার মনে হইল, যেন আকাশ হইতে হুরী নামিয়া আসিয়াছে ! এমন রূপ ! আমাকে দেখিয়া সে যেন শিহরিয়া উঠিল। বন্দুকটা আমার পাশেই পড়িয়াছিল। সে চলিয়া যাইতেছিল। আমি আশ্বাস দিলাম ! সে কহিল, না জানিয়া সে আসিয়াছে। নিকটেই তার কুটির। সেখানে, বৃদ্ধ বিধবা পিতামহী, তাহারি জন্ত সে জল লইতে আসে । একটি ভাই আছে, মহম্মদ,—সে আফগান সৈন্তবিভাগে কাজ করে ! প্রত্যহই এমন সময়, সে এখানে আসে । এধারে কোন সৈনিক যাতায়াত করে না। বনের প্রান্ত পথও নাই,—তাই কোন পথিকেরো এদিকে আসিবার বড় একটা প্রয়োজন হয় না ! তার পর হইতে প্রতিদিন কি এক বিচিত্র আকর্ষণে, সন্ধার পূৰ্ব্বে, সকলের অলক্ষ্যে সেই ঝরণার ধারে আসিয়া আমি বসিতাম ! চারিধার পাখীর গানে ভরিয়া উঠিত। ঝরণার জল শতধারে ঝরিয়া পড়িত | এই নিভৃত নির্জনে, আফগান-কন্যা মরিয়মকে নিতান্ত আপনার জন করিয়া তুলিলাম ! এক-একবার মনে হইত,এই দানবী হিংসা-দ্বেষ ছাড়িয়া, মরিয়মকে লইয়া, দুর বনের কোলে কোথায় চলিয়া যাই ! মরিয়মকে একদিন কথাটা বলিলাম। সে কহিল, যতদিন তার পিতামহী বাচিয়৷