পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, ষষ্ঠ সংখ্যা । আছে, ততদিন লে নিজের সুখের কথা ভাবিবে না ! আমার সঙ্গে যে তার দেখা হুইত, সে কথা পিতামহী জানিত না। अब्रिह्म अभिाब छछ आखूब, बाcभग, বেদান প্রভৃতি লইয়া আসিত, আমিও পাহাড়ী ফুলে-লতায় তাহাকে সাজাইয়া দিতাম ! তার পর যুদ্ধের কোলাহল তীব্রতর হইয়৷ উঠিল। প্রায় একমাস আর আমাদিগের দেখা সাক্ষাৎ হয় নাই। সন্ধ্যার সময়, আমার প্রাণ, —কি সে চঞ্চল হইয়া উঠিত, কিন্তু উপায় ও ছিল না । সেদিন বেল পড়িয়া আসিয়াছিল । চারিজন সৈনিক এক তরুণ আফগান বালককে লইয়া আসিল ! দিব্য কোমল মুন্দর মুখশ্ৰী ! বালকটি চর,— গুপ্তভাবে সন্ধান লইতে আসিয়া ধরা পড়িয়াছে। চাহিয়া দেখিতেই মরিয়ুমের মুখ মনে পড়িল ! যেন, মরিয়মের ছায়। ভাবিলাম, এ তার ভাই ! নিশ্চয় ! এ মুখ আর কাহারে নয় । কিন্তু কৰ্ত্তব্যের সম্মুখে সম্পর্ক কত তুছ! ইহা ভাবিয়াই অবিচলিত কণ্ঠে তখনি তার প্রাণদণ্ডের আদেশ দিলাম ! সৈন্তের তাহাকে বাহিরে লইয়া গেল ! আমার মন চঞ্চল হইয়া উঠিল। সেই নিভূত ঝরণার ধারে যাইবার জন্ত আকুল হইয়া উঠিলাম। কতদিন আমার মরিয়মকে দেখি নাই! কিন্তু তখন চারিধারে ফৌজের ছাউনী পড়িয়াছে—যাওয়া সহজ ছিল না। একজন সৈন্ত আসিয়া বলিল, বন্দী আমার সহিত একবার সাক্ষাৎ করিতে চাহে । আমি আসিতে বলিলাম। নির্জন কক্ষে দুলঙ্ঘ্য। 8や? বন্দী ও আমি-আর কেহ ছিল না। আমি কহিলাম, “কি চাও, তুমি ?” সেলাম করিয়া সে বলিল, “মরিয়মকে জানেন ! আমি তার ভাই!” অবিচলিতকণ্ঠে আমি কহিলাম, “তার খবর, তুমি জানো ? সে কহিল, “একখানা চিঠি আছে, আপনার জন্ত ! মরিয়ম দিয়াছে। কিন্তু এখন মিলিবে না ! কোমরবন্ধে আছে ; আমার মৃত্যুর পর লইয়া পড়িবেন ।” তারপর প্রহরী আসিয়া আমার ইঙ্গিতে তাহাকে লইয়া গেল। আমিও তাবুর বাহিরে আসিয়া বসিলাম । আকাশে তখন মেঘ জমিতেছিল । একটু পরে বন্দুকের শব্দ পাইলাম! আমার বুক কঁপিয়া উঠিল। চোখ বুজিলাম । চকিতে, আবার মরিয়মের মুখ মনে পড়িল । কি করিব ? কৰ্ত্তব্যের কাছে যে আমি বন্দী ! ধিকৃ এমন কৰ্ত্তব্যে ! মৃতদেহের নিকট গেলাম। কোমরবন্ধ হইতে পত্র বাহির করিয়া, বালকের কবরের আদেশ দিয়া তাৰুতে ফিরিলাম । তখন কক্কড় শব্দে মেঘ ডাকিয়া উঠিল। তাবুর ভি এর আলো জালাইয়া পত্র খুলিলাম। মরিয়ম নিজের হাতে অক্ষরগুলি সাজাইয়া পত্র লিথিয়াছে—ধরণটা এইরূপ— “প্রাণের আলি, ബ് প্রিয়তম, খোদার কাছে তুমিই আমার স্বামী । তুমি জানে, আমার ভাই মহম্মদ ফৌজে চরের কাজ করিত। যুদ্ধের সময়, কাজের সময়, সে শিবির ছাড়িয়া আমাদের কাছে আসে। মরণকে তার বড় ভয়