পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৫১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, ষষ্ঠ সংখ্যা । এমন করে কেবলি দ্বিধার মধ্যে আর বাচিনে । কিন্তু এ পিতারই হাতের আঘাত— এ মঙ্গললোকের আকর্ষণেরই বেদন । নইলে পাপে দুঃখ থাকত না—পাপ বলেই কোনো পদার্থ থাকত না,—মানুষ পশুদের মত অপাপ হয়ে থাকত। কিন্তু, মাঙ্গুষকে মানুষ হতে হবে বলেই এই দ্বন্দ্ব, এই বিদ্রোহ, বিরোধ, এই পাপ, এই পাপের বেদন । তাই জন্তে মামুষ ছাড়া এ প্রার্থনা কেউ কোনোদিন করতে পারে না—‘বিশ্বানি দেব সবিত দুরিতানি পরামব’—হে দেব, হে পিতা, আমার সমস্ত পাপ দূর করে দাও! এ ক্ষুধামোচনের প্রার্থন নয়, এ প্রয়োজন সাধনের প্রার্থন নয়-মানুষের প্রার্থন হচ্ছে আমাকে পাপ হতে মুক্ত কর। তা না করলে আমার দ্বিধা ঘুচুবে না—পূর্ণতার মধ্যে আমি ভূমিষ্ঠ হতে পরিচিনে—হে অপাপবিদ্ধ নিৰ্ম্মল পুরুষ, তুমিই যে আমার পিতা এই বোধ আমার সম্পূর্ণ হতে পারচে ন— তোমাকে সত্যভাবে নমস্কার করতে পারচিনে । ‘ऍडण९ उझ ञांश्रद’- श डांण उiहे আমাদের দাও । মানুষের পক্ষে এ প্রার্থনা অত্যন্ত কঠিন প্রার্থনা । কেননা মানুষ যে দ্বন্দ্বের জীব—ভাল যে মানুষের পক্ষে সহজু নয়। তাই, যদ্ভদ্রং তন্ন আমুব, এ আমাদের ত্যাগের প্রার্থনা দুঃখের প্রার্থনা-নাড়ি ছেদনের প্রার্থনা । পিতার কাছে এই কঠোর প্রার্থনা মানুষ ছাড়া আর কেউ করতে পারেন । পিতানোইসি, পিতা নে বোধি, নমস্তেহস্তু विश्वां । 8 ఫి' —যজুর্বেদের এই মন্ত্রটি নমস্কারের প্রার্থন । তুমি আমাদের পিতা, তোমাকে আমাদের পিতা বলে যেন বুঝি এবং তোমাতে আমাদের নমস্কার যেন সত্য হয় । অর্থাৎ আমার দিকেই সমস্ত টানবার যে একটা প্রবৃত্তি আছে, সেটাকে নিরস্ত করে দিয়ে তোমার দিকেই সমস্ত যেন নত করে সমর্পণ করে দিতে পারি। তাহলেই যে দ্বন্দ্বের অবসান হয়ে যায়—আমার যেখানে সার্থকতা সেইখানেই পৌছতে পারি। সেখানে যে পোঁচেছি সে কেবল তোমাকে নমস্কারের দ্বারাই চেনা যায় ;—সেখানে কোনো অহঙ্কার টিকতেই পারে না—ধনী সেখানে দরিদ্রের সঙ্গে তোমার পায়ের কাছে এসে মেলে, তত্ত্বজ্ঞানী সেখালে মূঢ়ের সঙ্গেই তোমার পায়ের কাছে এসে নত হয় ;—মানুষের দ্বন্দ্বের যেখানে অবসান সেখানে তোমাকে পরিপূর্ণ নমস্কার, অহঙ্কারের একান্ত বিসর্জন । এই নমস্কারটি কেমন নমস্কার ? নমঃ সস্তবায়ু চ ময়েtভবায় চ, নমঃ শঙ্করায় চ ময়স্করায় চ, নমঃ শিবায় চ শিবতরীয় চ। যিনি সুখকর তাকেও নমস্কার যিনি মঙ্গলকর র্তাকেও নমস্কার—যিনি মুখের আকর তাকে ও নমস্কার, যিনি মঙ্গলের অাকর তাকেও নমস্কার ; যিনি মঙ্গল তাকে নমস্কার যিনি চরম মঙ্গল তাকে নমস্কার । _ ংসারে পিতা ও মাতার ভেদ আছে । কিন্তু বেদের মন্ত্রে র্যাকে পিতা বলে নমস্কার করচে তার মধ্যে পিতা ও মাতা দুইই এক হয়ে আছে। তাই তাকে কেবল পিতা বলেছে। সংস্কৃত সাহিত্যে দেখা গেছে পিতরেী