পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৫১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, ষষ্ঠ সংখ্যা । ভারী কাঠেব গরুর গাড়ী স্থাকাইয়। চলিয়াছে । এই সকল টাটু, ঘোড়া, ও শকটের উপর শাকসবজি বোঝাষ্ট করা,— এইগুলা আমাদের পরিচিত শাকৃসবৃজি। এই অঞ্চলের পাহাড় পৰ্ব্বতের উপর, কোন বিশেষ-জাতীয় লোক, এই সব শাকৃসবজি চাষ করিয়া সমস্ত দেশে সরবরাহ করে ; ইহাদের নাম তেঙ্গেরেস্; ইহার যবদ্বীপের শেষ হিন্দু-উপনিবেশী ; কোন এক সময়ে ইহারা মুসলমান হইয়া যায়। উহাদের ধৰ্ম্মদ্বেষী মুসলমানদিগের নিকট হইতে পলায়ন করিতে বাধ্য হইয়া, উহারা স্বকীয় পুরে:হিতদিগের নিকট হইতে এই আদেশ পায় যে তাহারা যেন কখন ধানের চাষ না করে । পুরোহিতদিগের এই আশঙ্কা হইয়াছিল পাছে ধান চাৰ করিতে গিয়া উহারা ভূমিতে আবদ্ধ হইয় পড়ে এবং এইরূপে বিজেতাদিগের ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিতে বাধ্য হয় । এক্ষণে তেঙ্গেরেসরা পাহাড় পৰ্ব্বতের উপর বেশ শাস্তিতে আছে ; সেই পুরাতন আদেশটির প্রকৃত তাৎপৰ্য্য বিলুপ্ত হইয়াছে, তবু এখনও তাহার সেই আদেশ পালন করিয়া থাকে ; ধান চাষ না করিয়া, শাকুসবুজীর চাষ করে ;- যাহা যাবাতে সচরাচর দেখা याँध्न नl । - একটি ছোট মেয়ে, রাস্তায় কলা বিক্রী করিতেছে ; আমি তাহার কাছে গেলাম ; প্রথমে সে ভয় পাইয়া পলাইল। পরে, একটু সাহস পাইয়া সে আমার নিকটে আসিল । কয়েক পয়সায় আমাকে সে ত্ৰিশটা কলা দিল । আমি তাহ আমার শকট-বাহকের সহিত ভাগ করিয়া খাইলাম। চম্বন—যবদ্বীপে । 8 సె(t এখানকার জীবন যাত্রীর প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, য়ুরোপ অপেক্ষ। অনেক সস্তা । পোসপোয় আসিয়া আমার গাড়ী থামিল । এখন প্রাতরাশের সময়। একজন স্থূলকায় যুরোপীয় হোটেল-কর্তা আমার দিকে অগ্রসর হইল। আমি ইংরাজীতে তাহাকে আমার জষ্ঠ অহার প্রস্তুত করিতে বলিলাম। সে আমাকে ফরাসীতে উত্তর দিল,—বলিল, সে ইংরাজি জানে না । সে একজন সুইস জৰ্ম্মাণ, ভারত-সৈন্তদলের অন্তর্গত একজন সৈনিক ; সৈনিক কাৰ্য্য হইতে অবসর প্রাপ্ত হইয়া যবদ্বীপে অবস্থিতি করিতেছে । তাহা ত্ব টেবিলের উপর দুইখানা ফরাসী ও জৰ্ম্মাণ সাময়িক পত্র রহিয়াছে। প্যাসেরোয়ানের ওলন্দাজী অধ্যয়ন সমাজ, এই পত্রদ্বয় তাহাকে ধার দিয়াছে ঃ—“লা ভেল রেভিউ” ও “ডুশে রুদশাই”। একটু সঙ্কোচের ভাবে সে অামাকে জিজ্ঞাসা করিল, দেশীয়দিগের সহিত একত্র আহার করিতে আমার আপত্তি আছে কি না । “কোন আপত্তি নাই!” দেশীয় ও যুরোপীয় একত্র আহার করিতেছে—এ দৃশু এখানে এত বিরল যে, আমি বিস্মিত হইয় তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম—টেবিলে আমার পাশে ভোজনে কে কে বসিবে —“বোর্নিয়োর দুইজন রাজকুমার ও দুইজন কুমার-রাণী ! এই মহাদ্বীপের প্রধান সুলতানের ঔরসজাত পুত্রদ্বয় এবং উহাদের পত্নী ! উহার যুরোপ ভ্রমণ করিয়া সম্প্রতি প্রত্যাগত হইয়াছেন, হল্যাণ্ডের রাণীর নিকট হইতে আদরঅভ্যর্থন প্ৰাপ্ত হইয়াছেন...”—রাজকুমারদ্বয়, রাণীদ্বয় ও আমি—আমরা টেবিলে আসিয়াই