পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৫২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, যষ্ঠ সংখ্যা । 5ग्नन-दनौ । &e & পিশাচটার হেয় সংসর্গ হইতে মুক্তি পাইলে আমি কহিলাম, “এ শীত আমার সহ হবে । যে বাচি । সে কহিল, “তুমি বড় নিরীহ ! ছ্যাঃ ! ফাসিকাঠে চলেছ, এথনো মুখে অমন দুঃখের চিহ্ন ! লোকে মজা পায় এতে, জানো ! তার চেয়ে তোফা আমোদ-আহলাদ কর, লোকে দেখুক, ফাসিকাঠকে এর ডরায় না! মরণ তার খেলার সাথী ৷ দেখে অবাক হয়ে যাবে স্তম্ভিত হয়ে যাবে—বাহাঙ্কুর ঠাওরাবে ! দেখছ ত, আমার স্ফটাি ! দুঃখ করে ফল কি ! আমি কহিলাম “আপনি মহাশয় ব্যক্তি !” হো হো করিয়া সে আবার হাসিয়া উঠিল, ছোট ঘর সে হাসির শব্দে যেন কাপিয়া উঠিল । সে কহিল, "ওহে ‘মহাশয়’ ব্যক্তি ! আপনার ভদ্র, মহাশয়, সে কথাটা মনে ছিল না ! বটে, বটে। মহাশয় ব্যক্তির ও ফাসিতে চড়িবার সর্থ হয়—ভালো, ভালো!” কথাটার সহিত বেশ একটু টিটুকারী মিশানো ছিল ! আমি চুপ করিয়া রছিলাম। সে কহিল, “কি ? আচার্য্যের জন্যই বুঝি আপনার দেয়াটুকু। তা আপনি ত একজন জমিদার মানুষ, শুনলাম—ফলিতে চড়তে काग८छ्न-श्रमम उitणl छांभाüौ नष्ठे झब्र কেন ? আমাকে দিন! এই শীতে তবু পরে বঁচিব, তার পর না হয়, বেচিয়া চুরুট তামাকের জোগাড় দেখিব !” আমি কোট খুলিয়া দিলাম। কিন্তু শীতে কাপিয়া উঠিতেছিলাম। সে কহিল, “আপনারা বড় লোক। এ শীত সহিবে না। নিন, আপনার কোট গায়ে দিন " | লোকটার কথার স্বর যেন একটু ফিরিল। কোটের দরকার নাই ।” লোকটা জানালীর নীচে আসিয়া কোটটাকে স্বাক্ষভাবে দেখিতে লাগিল— উণ্টাইয়া পাণ্টাইয়া ভালো করিয়া দেখিল । পরে বলিল, “এ যে একেবারে নুতন ! ত৷ বেশ, ছয় সপ্তাহের তামাকের জোগাড় হল, আপনারি জন্ত, ধন্যবাদ মশায় ! কিছু মনে করবেন না, আমরা গরিব চাষ লোক !” এমন সময় দ্বার খুলিল। অধ্যক্ষ আসিয়া আমাকে একটা প্রহরীর জিন্ম করিয়া দিলেন এবং সেই লোকটার ভার আর দুইজন প্রহরীর হাতে দিয়া বাহিরে গেলেন । আমরাও বাহিরে আসিলাম ! বাহিরে আসিয়া সে কহিল, “মনে রাখবেন, মশায়, এখানে এই শেষ দেখা ! আবার দেখা হবে, ছয় সপ্তাহ পরে। এই পুরানো বন্ধুত্বের খাতিরে সেদিন অপেক্ষা করবেন আমার জন্ত ।” কথাটা শুনিয়া আমার হৃৎকম্প হইল । বলে কি, এ ? পাগল, ন বোকা ? কে, এ ? &* ভারী মজার লোক ত ! আমার কোটটি দিব্য লইয়া গেল ! আমি কি দান করিলাম—? তাহা নহে ! আমি ভাবিলাম, বুঝি তামাসা করিতেছে ! তার পর চক্ষুলজ্জার চাহিতেও পারিলাম না ! পাকা পুরানো চোর। পা দিয়া ধাহাকে দলিতে পারি, এমন স্পৰ্দ্ধার সহিত, সে বন্ধু বলিয়া সম্বোধন করিল ? রোষে, ক্ষোভে, আক্রোশে আমার চিত্ত গর্জিয় উঠিতে ছিল ! মরণ আসিয়া দেখা দিয়াছে, এখনি