পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sరిచి লম্বন, তাহীর সংসারের প্রধান বন্ধন, প্রিয় পুত্ৰটী ১৮৯৬ সালেই অকালে সংসার ত্যাগ করিয়া যায়। এ অবস্থায় তাহার লৌকিক জীবন অতিশয় নৈরাপ্তপূর্ণ হইত যদি না তিনি “মৃত্যুঞ্জয়” প্রেমের দ্বারা সমস্ত দুঃখ ও শোককে পরাস্ত করিতেন। কবি র্তাহার সমস্ত জীবনের বিষের সাগর মন্থন করিয়া ভারতী । বৈশাখ, ১৩১৭ আমাদের সম্মুখে অমৃতোপহার পাঠাইয়াছেন। আজ আমরা তাহাকে কি আর সাত্বনার বচন শুনাইব । এ সময়ে টেনিসনের ছছত্র যেমন কবির সাত্বনাদায়ক, তেমনি আমাদেরো মৰ্ম্মকথাটী ব্যক্ত করে ; “It is better to have loved and lost Than never to have loved at all ! রসের ধৰ্ম্ম । আমাদের ধৰ্ম্মসাধনার দুটো দিক আছে একটা শক্তির দিক্, একটা রসের দিক্ । পৃথিবী যেমন জলে স্থলে বিভক্ত এও ঠিক তেমনি । শক্তির দিক্ হচ্চে বলিষ্ঠ বিশ্বাস । এ বিশ্বাস জ্ঞানের সামগ্রী নয়। ঈশ্বর আছেন এইটুকুমাত্র বিশ্বাস করাকে বিশ্বাস বলিনে। আমি যার কথা বলচি এই বিশ্বাস সমস্ত চিত্তের একটি অবস্থা ; এ একটি অবিচলিত ভরসার মন এতে ধ্রুব হয়ে অবস্থিতি করে – অবস্থায় নিরাশ্রয় ভাব । আপনাকে সে কোনো নিঃসহায় মনে করে না । এই বিশ্বাস জিনিষটি পৃথিবীর মত দৃঢ়। এ একটি নিশ্চিত আধার। এর মধ্যে মস্ত একটি জোর আছে। যার মধ্যে এই বিশ্বাসের বল নেই, অর্থাৎ যার চিত্তে এই ধ্রুব স্থিতিতত্ত্বটির অভাব আছে সে ব্যক্তি সংসারে ক্ষণে ক্ষণে যা-কিছুকে হাতে পায় তাকে অত্যন্ত প্রাণপণ চেষ্টীয় অঁাকড়ে ধরে । সে যেন অতল জলে পড়েছে—কোথাও সে পায়ের কাছে মাটি পায় না ; এইজন্তে, যে সব জিনিষ সংসারের জোয়ারে-ভাটায় ভেসে আসে ভেসে চলে যায়, তাদেরই তাড়াতাড়ি দুই মুঠো দিয়ে চেপে ধরাকেই সে পরিত্রাণ বলে মনে করে। তার মধ্যে যা কিছু হারায়, যা কিছু তার মুঠো ছেড়ে চলে যায় তার ক্ষতিকে এমনি সে একান্ত ক্ষতি বলে মনে করে যে কোথাও সে সাস্থনা খুজে পায় না। কথায় কথায় কেবলি তার মনে হয় সৰ্ব্বনাশ হয়ে গেল । বাধাবিপ্ন কেবলি তাঁর মনে নৈরাশু ঘনীভূত করে তোলে। সেই সমস্ত বিপ্লকে পেরিয়ে সে কোথাও একটা চরম সফলতার নিঃসংশয় মূৰ্ত্তি দেখতে পায় না। যে লোক ডুব জলে সাতার দেয়, যার কোথাও দাড়াবার উপায় নেই, সামান্ত হাড়ি কলসি কলার ভেলা তার পরমধল—তাঁর ভয় ভাবন৷ উদ্বেগের সীমা নেই। আর, যে ব্যক্তির পায়ের নীচে সুদৃঢ় মাটি আছে তারও হাড়ি কলসির প্রয়োজন আছে, কিন্তু হাড়িকলসি তার জীবনের অবলম্বন নয়—এগুলো যদি কেউ কেড়ে নেয় তাহলে তার যতই অভাব অসুবিধা হোক না, সে ডুবে মরবে না। এইৎন্তে দৃঢ়বিশ্বাসী লোকের কাজকৰ্ম্মে জোর আছে, কিন্তু উদ্বেগ নেই। সে মনের