পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৫৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, ষষ্ঠ সংখ্যা । নির্বাসিত হওয়া অবধি সোলৎ উাহার চরিত্র-সংশোধন করিয়াছিলেন, এবং এক্ষণে তাছার মৃত্যুতে পুর্শিয়ায় তাহার প্রজাবৃন্দ শোকে অভিভূত হইয়। পড়িল। শাঙ্কামতের অতুল বীরত্ব, অটল সাহস, এবং বিপদে ধৈর্য্য ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের জন্যই যে লোকে উহাকে ভালবাসিত তাহা নহে। তাহার চরিত্র এরূপ নিষ্কলঙ্ক উদার ও মহৎ ছিল যে সকলেই তঁtহাকে অস্তরের সহিত শ্রদ্ধা করিত ও ভালবাসিত । তাহার দানশীলতা এত অধিক ছিল যে উছার মৃত্যুর পরে দেখা গেল সহস্র मझ्टष दिशय ७ एानांषांब्र उठब्र°t°ांश१ ॐांझांब्र प्र|ऊरुT অর্থের উপর নির্ভর করিত। মাসিক ৩৭ হাজার টাকা তিনি এইরূপে গোপনে দান করিতেন। কিন্তু ভবিষাতে মতিঝিলের বিরাট প্রাসাদশ্রেণীর নির্মাতা ও অধিকারী রূপেই তাহার নাম চিরস্মরণীয় রহিবে । সে প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক অট্টালিকা শ্রেণী আজ কণ্টকগুন্মে আচ্ছন্ন ৷ এক হ্রদের মধ্যস্থলে এই প্রাসাদশ্রেণী গঠিত হয়। শুনা যায় ভাগিরথীর সহসা গতি পরিবর্তনেই এই মনোহর সরোবরের স্বষ্টি । রাজধানীর কৰ্ম্মসন্ধুল জীবন হইতে কিছুক্ষণ অবসর গ্রহণ করিয়া প্রকৃতির ক্রোড়ের মধ্যে শান্তি সম্ভোগ করিবার জন্য শাহামৎ উtহার গুণান্বিত পত্নী, আলিবন্দীর জ্যেষ্ঠা ক স্থা, ঘসিটি বেগমের সহিত এই মতিঝিলে আসিয়া আশ্রয় গ্রহণ করিতেন। মুক্ত-সরোবরের ( Pearl Lake) নাম মুর্শিদাবাদের ইতিহাসে চিরপ্রসিদ্ধ রৰিবে! এই স্থান হইতেই সিরাজ পলাসীর যুগান্তরকারী রণক্ষেত্রের উদ্দেশে যাত্র করেন ; এই স্থানেই ইংরাজ মীরজাফরকে বাংলার নবাব নাজিম বলিয়া অভিবাদন করেন ; এই স্থানেই ক্লাইব নিজমুদ্দৌলা মুরশিদাবাদের সহিত একত্রে উপবেশন বরেন ; এই স্থানেই বৎসরের পর বৎসর মুর্শিদাবাদের প্রকৃত শাসনকৰ্ত্তাগণ অর্থাৎ ইংরাজ গভর্ণরের রাজ নৈতিক প্রতিনিধিগণ বাস করিতেন। এখন সেই সৌধ-শ্রেণীর মধ্যে অবশিষ্ট আছে কেবল একটি ভগ্ন গৃহ । গৃহটি দৈর্ঘ্যে ৪২হাত এবং উৰ্দ্ধে ১২ হাত, ८कां५ांe etद* १५ माझे ।। ७न शांझ झेशांग्न अझकांब्र গর্ভের মধ্যে নাকি শাহামৎএর অনন্ত ধনরাজী প্রোথিত চয়ন—মুর্শিদাবাদের প্রাচীন কাহিনী । (t) ని অtছে । আজি পৰ্য্যন্ত কেহ সাহস করিয়া এ স্থানটি থনন করিয়া দেখেন নাই। যে দেখিতে চেষ্টা করিবে সে নকি ভীষণ শাপগ্রস্ত হইবে । ১৭৫৬ সালে আলিবর্দী উগ্রী রোগে আক্রাস্ত হন, এবং বহুদিন যন্ত্রণাভোগ করিয়া এপ্রিল মাসে ইহলোক ত্যাগ করেন। উণের আদেশ অনুসারে উহার স্বৰ্গীয় জননীর পদপ্রাস্তে উহাকে সমাধিস্থ করা হয় । আলীবন্দী খাঁর জীবন অতি পবিত্র ও ধৰ্ম্মনিষ্ঠাপূর্ণ ছিল। অতি প্রত্যুষে শয্যা ভ্যাগ করিয়াই তিনি কোরণ পাঠ করিতেন ও ঈশ্বরের উপাসনা করিতেন । তাহার দানশীলতা এরূপ অধিক ছিল যে শুনা যায় তাহার হীনতম কৰ্ম্মচারীরও সঞ্চিত ধন সহস্ৰ সহস্র মুদ্র থাকিত । তাহার দারিদ্র্যের দিনে যাহার। উtহাকে সাহায্য করিয়াছিলেন, তাংtfপগের প্রতি তিনি বিশেষ ভাবে মুক্তহস্ত ছিলেন । তিনি এরূপ কৃতজ্ঞ-প্রকৃতি ছিলেন যে তাহার উপকারী ব্যক্তি অতি হীন অবস্থায় থাকিলেও তিনি তাহাকে একদিনের জন্যও বিস্মৃত হইতেন না । কগুtগুলিকে তিনি বড়ই ভালবাসিতেন। র্তাহার স্বকীয় যত্বের ফলেই তাহার কন্যাগুলি এরূপ অশেষগুণসম্পন্না হইয়াছিল। একাধিক পত্নীগ্রহণ করা আমাদের দেশের নবাবদের রীতি ছিল। কিন্তু আলিবর্দী তাহা করেন নাই। র্তাহার সদৃগুণের ফলে তদীয় রাজসভাতে চতুর্দিক হইতে কবি, পণ্ডিত ও গুণীগণ আসিয়া সমবেত হইতেন। আলিবর্দীর মুশৈরার গৌরব মুর্শিদাবাদের ইতিহাসে চির প্রসিদ্ধ থাকিবে । এই সকল মুশৈয়াতে শ্রেষ্ঠ কবিগণ আসিয়া র্তাহাদের রচনা পাঠ করিয়া শুনাইতেন। নবাব জীবনে কোন দিন একাকী ভোজন করেন নাই, সৰ্ব্বদাই দুই চারি জন সহচর সঙ্গে লইয়া একত্রে ভোজন করিতেন। র্তাহার চরিত্রনীতি অতি শুদ্ধ ও কঠোর ছিল এবং অন্তর যৎপয়েনাস্তি উদার ও মহৎ ছিল। অশীতি বৎসর বয়সে আলিবর্দী যখন দেহত্যাগ কৰুিলেন, তাহার প্রজাগণ উচ্চৈঃস্বরে রোদন করিতে করিতে র্তাহার শবামুসরণ করিল। আলিৰদীর মৃত্যুতে অশ্ৰুত্যাগ করেন নাই এরূপ লোক নিতান্তই বিরল ছিল বলিয়া বোধ হয়। র্তাহ স্ন সেই মৃত্যুদিন