পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, প্রথম সংখ্যা । সময়ে অনেক উপহাস করিয়া থাকি। অপরের অসম্পূর্ণতার উপহাস করার প্রবৃত্তিটা আমাদের পক্ষে স্বাভাবিক হইতে পারে কিন্তু ইহাতে আমাদের জ্ঞানের ও সহানুভূতির অভাৰই প্রকাশ পায়। বৈদেশিক ঘে কোন ভাষা, আমরা সম্পূর্ণ আয়ত্ত করিতে না পারি, সে ভাষায় দ্বই ছত্র লিখিতে গিয়৷ আমাদেরও বাবু ভাষা বাহির হইয় পড়ে। এক সময়ে আমি এক প্রসিদ্ধ ফরাসী পণ্ডিতকে আমার ‘বাবু ফরাসীতে এক পত্র লিথিয়াছিলাম । তিনি উত্তরে জানাইলেন, যে আমার ফরাসী রচনী প্রশংসা যোগ্য হইলেও তিনি আমার ইংরাজী রচনারই পক্ষপাতী। ফরাসী ভাষায় আমি একটি আস্ত ‘বাবু'। ভারতবাসী যখন আমাদের সাহিত্যের মধ্য দিয়া আমাদের ভাষা শিখিতেছে, তখন তাহীর ইংরাজি—কতকটা সংবাদপত্রের ও কতকটা কেতাবের খিচুড়ি হওয়াই স্বাভাবিক । ভারতের ছাত্রদিগকে নিজের ইংরাজি লিখিতে বলিলে তাহারা পুথির গৎ অtওড়াইতে থাকে বলিয়া অনেকে অভিযোগ করেন । ইংরাজ ছাত্রকে ইংরাজি গ্রীক বন্দী। ట్రt বা লাটিনে অনুবাদ করিতে বলিলে তাহারাও কি এইরূপ চুরি করিবার চেষ্টা করে না ? অনেক শিক্ষিত ল্যাটিন কবিও বেমালুম চুরি করিতে কুষ্ঠিত হন নাই। হোমারেও এই দোষ যথেষ্ট ছিল । তাহার উদ্দেশু সাধিত হইতে পারে এরূপ ষে কোন পংক্তি উtহার মনে আসিত তাহ। তাহার নিজের হউক বা পরের হউক তিনি তৎক্ষণাৎ তাহা উtহার রচনায় ব্যবহার করিতে কিঞ্চিম্মাত্র কুষ্ঠাবোধ করিতেন না। এ দেশের বালকগণই যে কেবল মুখস্থ বিদ্যার खेलोब्रि कब्रिप्ठ गहूँ ठाश नएश् । थामि खाभांद्र নিজের দেশীয় বাবুগণের মধ্যে, অর্থাৎ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার্থীদের মধ্যে এই মুখস্থ বিদ্য৷ উদগারের চেষ্ট৷ দেখিয়া জ্বালাতন হইয়াছি । ভাবিয়া দেখিলে—আtমরা যখন ভারতের ছাত্রদের জন্য কোন প্রবন্ধ পুস্তক লিখিতে যাই অমনি মুখস্থ ভাষা আপনি আসিয় পড়ে। হায় বাবু তুমি মনুষ্য প্রকৃতির চিরসঙ্গী। এ পৃথিবীতে তুমি আমি সকলেই বাবু। টেলিসন, ভাবৃঞ্জিল শিক্ষিত বাবু ছিলেন মাত্র। বন্দী। ( ধারাবাহিক উপন্যাস। ভিক্টর হিউগো হইতে ) } ফাসি ! আজ পাচ সপ্তাহ ধরিয়া,আমার এই একটি চিন্তা! সারা দিনরাত্রি নিঃসঙ্গ, একাকী, আমি মৃত্যুর হিম স্পর্শ অনুভব করিতেছি । রজুতে, যেন, কে আমার কণ্ঠ চাপিয়া ধরিয়াছে ! কয়েক সপ্তাহমাত্র পুৰ্ব্বে, সাধারণ মায়বেরি মত আমি ছিলাম ! প্রতি দিন, প্রতি ঘণ্ট, প্রতি মুহুর্তেই, নিজের স্বাধীন মত, স্বাধীন কাজ ! আমার তরুণ নিৰ্ম্মল স্কিন্ধ যেন একটা নেশায় বিভোর ছিল ! কোন নিয়ম নাই, শৃঙ্খলা নাই, বাধা নাই, ৰন্ধন নাই, এমনি একটা জীবনের কল্পনায় भदौब्र श्हेब उउिाम। সুন্দরী কিশোরী, জয়-পরাজয়, আনন্দ ও আলোকমণ্ডিত রঙ্গালয়, সন্ধ্যার ছায়ায় তরুতলায় কিশোরীর বাহবন্ধনে ধরা দিয়া স্বপ্নময় পরিক্রমণ – এমনি মুখের মধ্যে দিন কাটিত! চিন্তার গতি স্বাধীন, নিজেও স্বাধীন ! কিন্তু, আজ, আমি বন্দী ! শৃঙ্খলাবদ্ধ, কারাগৃহবাসী বন্দী ! মনের মধ্যেও এই কারাগহবরের ঘনীভূত অন্ধকার । একটা ভীষণ, নিষ্ঠুর হত্যার কলঙ্ক-কালিমীয় গাঢ় তিমিরাচ্ছন্ন । আজ আর কোন চিন্তা নাই, শুধু একটি কথা অহৰ্নিশি মনে জাগিতেছে— ফাসির রজুতে, আমার প্রাণদণ্ড ! অশরীর ছায়ার মত চিন্তাটুকু আমাকে