পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శిట్ర खाब्रेडौँो । খোল পাতাখানা দেখিতে লাগিল। প্রদীপ ছায়ায় মুখখান স্পষ্ট দেখা যাইতেছিল না। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করিয়া যোগেন্দ্র পুনশ্চ কহিল, “র্তার কাছে আমি তোমার কতো সুখ্যাতিই করেছিলাম আর তুমি কি অদ্ভুত ভাবেই প্রকাশ হলে ! ধিক্কারের সঙ্গে হতাশার মুরটুকু অত্যন্ত করুণ হইয়া আসিল । নীরদ মাথা তুলিয়া সবেগে বলিয়া উঠিল “আমিতে তোমার কাছে সার্টিফিকেট চাইনি, বাজে খরচটা কেনই বা করতে গিয়েছিলে ? যাকে নিজেই ভাল করে চেননি অপরকে তার সম্বন্ধে কি বোঝাতে চাও?” যোগেন্দ্র এ প্রতিবাদে হাটল না ! তবে তাহার উত্তেজনায় অবসাদ আসিয়া গিয়াছিল, মনের দুঃখ আর চাপিতে পারিতেছিলনা ! সবিযাদে বলিয়া উঠিল “হায় হয়ে আমার কি প্ল্যানটাই মাটি করলে ! আহা ভবিষ্যতের কি ছবিখনোই বসে বসে একে ছিলুম।" নীরদ কুমার জোর করিয়া হাসিয়া উঠিয়া *fool-"Trust no future however plcasant.” সে হাসিটা মোটেই স্বাভাবিক নয় তাঙ্গা বুঝিতে স্থূলবুদ্ধি ষোগেন্দ্রেরও বেশি বিলম্ব হইল না। সে কোন এক অজ্ঞাত ব্যথায় বন্ধুকে ব্যথিত বুঝিয়া হঠাৎ থামিয়া গেল । নীরদ প্রফুল্লতা দেখাইবার জন্ত চেষ্টা করিতে লাগিল। ষোগেন্দ্র স্ত্রী পুত্রকে রাখিয়! আসিয়াছে শুনিয়! বলিল “তবেই তোমার চাকরীটি গেছে, কদিন তুমি তিষ্ঠোবে ?” “ইস তা যেন পারিনা ! ও পুথিখানা কিসের হে ! মাণিকপীরের গান, না মনসা পুরাণ ?” বৈশাখ, ১৩১৭ নীরদকুমার অনুজ্জল প্রদীপট উজ্জল করিয়া দিয়া হাসিয়া পুথিখানা তুলিয়া ললাটে স্পর্শ করাইল তার পর সসন্ত্রমে উত্তর করিল “বেদান্ত দর্শন ।” “সৰ্ব্বনাশ ! তবেই আমায় সেরেছ !" নীরদ ঈষৎ বিরক্তভাবে জিজ্ঞাসা করিল "বেদান্ত দর্শনের সঙ্গে সৰ্ব্বনাশের সঙ্গে যোগ কি দেখলে ?” “খুব কাছাকাছি। কেন ভাই তোমার কাছে কি অপরাধ করেছি যে এমনি করেই তাড়াবে ?”

  • তাড়। যদি ইচ্ছা করে থাও, সেজন্তে আমি দায়ী নই, রজুতে সৰ্প ভ্রম করে একেবারেই আঁৎকে উঠোন । রসগোল্লাটাকে খোরাক করে না তুলে দুটি দুটি ভাত যদি পাতে নাও, তাহলে মুথটাও থাকে ভাল, স্বাস্থ্যের পক্ষে ও সুবিধে হয় । রসালাপট না হয় একটু কমই হোলে,—ও কি হে আমার মুখের দিকে অমন করে চেয়ে রইলে যে ? আমায় কোনরকম ভয়ানক দেখাচ্চে নাকি ?”

উথলিত বিস্ময় দমন না করিয়া স্তম্ভি ৩ যোগেন্দ্র সবিষাদে বলিয়া উঠিল “এ কি শ্র হয়ে গ্যাছে ! চুলগুলোরই বা এমন দশ কেন, জটা বানাবে নাকি ? “নীরদ সকৌতুকে হাসিয়া কহিল “ন সে রকম মতলব এখন ও হয় নি। মিলিটারী ফ্যাসানে চুল না ছেটে চিরকেলে প্রথায়—’ যোগেন্ত্রের ক্রমেই ধৈর্য্যচুতি ঘটতেছিপ, সে বাধা দিয়ু চীৎকার কারম্ন উঠিল “গোল্লায় যাক তোমার প্রথা ! এ আবার তোমার } নুতন ঢং ? তোমার কি আবার সেই সত্যাগ