৩৮৭ বর্ষ; প্রথম সংখt যেন গোপন কক্ষ খুলিয়া আপনার ੇ • সমস্ত সৌন্দৰ্য্য মুক্ত করিয়া জগতের চক্ষের সম্মুখে ধরিয়া দিয়াছে! সে সৌন্দৰ্য্য-রস-ধারায় প্রাণ আমার স্নিগ্ধ হইল, মন জুড়াইঃ গেল। সপ্তাহের কল্পটা দিন, শুধুই পয়সার সন্ধানে বাকৃ-চাতুবা দেখাইবার মিথ্যা শ্রমে কাটিয়া যায় ! নজরের কেতাব ও মক্কেলের ব্রিফের মধ্যেই জগতের সৰ্ব্ব-মুখ ও সৰ্ব্ব-সম্পদের পরিচয় লইতে সমস্ত সময় ব্যয় করিয়া ফেলি,— জগতের পানে প্রকৃতির পানে চাহিবার মুহূৰ্ত্ত’ অবসবg খুজিয়া পাই না! আজ একট, আকস্মিক অবসবের শুভ- মুহুর্বে বাহিবের কি আমব সম্পদ এ চোখের সন্মুখে ফুটয় উঠিল ! খানিকট হঁটিয়া আসিয়া , এক জায়গায় দাড়াইয় গঙ্গাব পানে চাহিয়া রহিলাম । চোখের পলক যেন আর পড়িতে চাহে না । পাও সরিতে জানে না ! স্বৰ্য্যাস্তের মহিমাময় দৃশ্যে আমি কেমন তন্ময় হইয়া পড়িলাম। এত রূপ, এত সৌন্দর্য্য এমনভাবে ছড়ানো বহিয়"ছে! ইহার কাছে পয়সার দাসত্ব আজি নিতান্তই তুচ্ছ মনে হইল । কৰ্ম্ম-কাতর প্রাণের মধ্যে শাস্তির একটা হাওয়া বহিয়া গেল । - সহসা একটা কথা কানে গেল,—“তুমিও যেমন f বড় বাবুট সাহেবের ভাবী খোসামুদি ধবেছে। দেখ না, নিজের সম্বন্ধীকে এনে" কাজে লাগিয়ে দিলে, আর আমরা এতদিন भूश् झङ लूट्ल રાઝિ তবু সে যে ,ত্রিশ টাকা, সেই ত্রিশ টাকা! উন্নতির এতটুকু সম্ভাবনা অবধি নেই!” আমি মুখ ফিরাইয়া চাহিলাম। দুইজন ৷ ভদ্র টোক ধীর পদে jo চলিয়াছে। অপর জন কহিল, “বড়বাবুর থোসামুদি করতে >や বস্তু-গায়াহ্নে 聯 } • S) পার, দু’বেল তার বাড়ীতে হাজিরে দাও, র্তার সেই খোসে-ধর ছেলেটাকে কোলে তুলে আদর কর, তবে যদি দু-চার টাকা মাইনে বাড়ে।” লোক দুইটি বকিতেবকিতে চলিয় গেল। আমি তাহাদের পানে চাহিয়া রছিলাম। ভৈল-ঘৰ্ম্ম নিযুক্ত মলিন শার্ট পরিয়া রুক্ষ কেশে শুষ্ক মুখে ছিন্ন জুতায় পা ঢাকিয়া চলিয় রাস্ত বাকিয়া চোখের আড়ালে তাহারা অদৃগু হইয় গেল। একটু দীর্ঘ নিশ্বাস আমার সম্পূর্ণ অজ্ঞাতে অন্তর মাধুত করিয়া শূন্তে মিলাইয় গেল। আহা, বেচার, so পব-মুহূৰ্ত্তেই আবার চাবি-পাচুজন লোক ' দেখা দিল। মুখ দেখিয় মনে হয়, কাজ হইতে তাহারা গৃহে ফিরিতেছে। હવન 'কহিল, “হেঃ ! সত্য এসেছিল চালাকি কবতে, বুঝলে নবীন ! "চেনেন না ত— আমাত্ত্বেন ধনী, তাব চোখে ধুলো দেবে! - অণুমাব সঙ্গে এ ? ' হেঃ !” সঙ্গীৰ দ্বল হাসিয়া উঠল। আমি আবর তাহদের পানে চাহিয়া দেখিলাম। তখনই আবার আর এক দল’ দেখা দিল । একজন অপরের কানের কাছে মুখ লইয়। গিয়া ভালো করিয়া কি যেন, বুঝাইতেছে! হাতে তাহার একটি শততালিੇ ছাতা,–পীয়ে ছিন্ন চটি, ছান্টু অবধি ধূলায় ভরিয়া গিয়াছে। সহসা তাঁহার কথা কানে (11 1 ৰলিল, “জামাইট • বোজার করে মন্দ নয়। তা হলে কি হবে ! যে মানুষ নয়! নেশা-ভঙেই উচ্ছন্ন গেল । মেয়েটা আমার চোখের জলে দিন কাটাচ্ছে। আমার কি কম আদরের মেয়ে ! ওর
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/১১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।