৩৮শ বর্ষ, প্রথম সংখ্যা \ কালোপযোগী যেমন কতকগুলি প্রথা বিদ্যমান আছে, • তেমনই সাৰ্ব্বজনীন কল্যাণের অনুষ্ঠানও কিছু কিছু আছে। এই সাৰ্ব্বজনীন অনুষ্ঠানগুলির স্বত্রেই সমগ্র মানব সমাজ ঐক্যবন্ধনে গ্রথিত হইয় থাকে। যুরোপুয় যোগ্যতা অর্জন করিয়া বিবাহ করার.প্রথাটী নিশ্চয়ই একটি সাৰ্ব্বজনীন অনুষ্ঠান। ঘৃণা করিয়া উহাকে উgইয়া দিবার আমাদের সাধা নাই । বিশেষতঃ যখন অমর যুরোপীয় রাজ্যশাসনে বাস করি এবং যুরোপীয় জীবন সংগ্রাম আমাদের ভিতরে প্রবেশ লাভ করিয়াছে তখন যুরোপীয় সমাজের কতকাংশ জামব| ইচ্ছায় হউক অনিচ্ছায় হউক গ্রহণ করিতে বাধ্য যুরোপে ঐ প্রথা বৰ্ত্তমান থাকাব দবন তাহদের সমাচু জাতীয়ত সৃষ্টি করিবাব সম্পূর্ণ উপযোগী হইয়াছে : এবং এই কারণে যুরোপীয় জাতিকৃদ যে নবকগামী হইয়াছে, ੋਲਿ। সাধুত যে যুরোপ হইতে নিৰ্ব্বাসিত হইয়াছে, এমন কথা সাহস করিয়া কে বলিতে পারে ? বিবাহ সংস্কার বিষয়ে আমার প্রথম প্রস্তাবন। এই যে, ৰোগ্য বৃত্তির সহিত মেয়ের বিপ্লীহ দেওয়া সম্ভবপর ন হইলে, মেয়েকে অবিবাহিত রাখিলে জাতিচু্যুতি বা অন্ত কোনও লাঞ্ছন সমাজে বর্তমান থাকা কৰ্ত্তব্য নহে। অামাব দ্বিতীয় প্রস্তাবনা এ দেশে, কোনও দিন প্রচলিত হইবে কি ন জানি না, কিন্তু তাহ যে ন৷ হইলেই চলিবেন একথা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। বিবাহের মৌলিক উদেখা স্বথসস্তেীগ নহে, সমাজ সংরক্ষণ । মানবসমাজ শৃঙ্খলার সহিত যাহাতে উন্নতির পূথে অগ্রসর হইতে পারে, তাহারই জগু সমাজের শাসন নিম্নে স্ত্রী পুরুষের মিলন সংঘটিত হইয় থাকে। জঙ্গলের বৰ্ব্বর জাতি হইতে আরম্ভ করিয়া, সুসভ্য অর্থ্যজাতির" মধ্যে ਸੰੇ। কোন না কোনও ধরণে বিবাহপদ্ধতি প্রচলিত আছে। সমাজ সৰ্ব্বত্রই মানুষকে আপনার অনুশাসনে চালাইয়া লইয়। যাইতেছে। সমাজের এ অনুশাসন আকাশ হইতে নামিয়া আসে নাই, মানুষই আপনার স্বজিত চক্রে আপনি আবদ্ধ হইয়। ঘুরিতেছে । আমরা যে, অনুশাসনের নিম্নে মানুষ হইতেছি, তাহা যে আমরা ভাঙ্গিতে গড়িতে পারিব না এমন কোনও কথা নাই। আর বাস্তবিক পক্ষেও আমৰা S 8 বিবাহ সমস্ত >)○ প্রতিদিন নুতন নুতন কত প্রকারের পরিবর্তনের ভিতর দিয়া জ্ঞাতসারে এবং অজ্ঞাতসারে যে চলিয়া যাইতেছি তাহার ইয়ত্ত নাই। দিবারাত্রি সংসার-শুদ্ধ পরিবর্তন চলিতেছে, তাহাকে রোধ করিবার কাহারও সামর্থ্য নাই। কিন্তু আমরা যে ভাবে পুরাতনকে আঁকড়িয়া ধরিতে উৎসাহিত, তেমন উৎসাহ কোনও ক্রমে সামাজিক এবং জাতীয়তার পক্ষে স্বলক্ষণ বলিয়া" মনে হয় না। যখন কোনও ভাবের বন্য দেশে প্লাবিত হয়, তখন যে নীরবে বসিয়া থাকিতে চাহে, সে নিতান্ত মুর্গের স্বায় ব্যবহার করে। তাহাকে সমর্থন করিয়া তাহাকে বহাইয় দিতে চেষ্টা করাই মানব ক্ষমতার হযোগ্য ব্যবহার। বিবাহ সংস্কার সম্বন্ধে অ{জ যে আঁন্দোলন উঠিয়াছে, তাহকে উদ্বেলিত করিবার জন্য সকলেরই আপন আপন শক্তি নিয়োগ করা বাঞ্ছনীয়। আমার দ্বিতীয় প্রস্তাবনাটি সম্পূর্ণভাবে ইউরোপের আদর্শ । ইহা স্বেচ্ছ বিবাহ । আমাদেব দেশে ষ্ণেকোন কালে এই আদর্শ বৰ্ত্তমান ছিল না তাহা নহে। 'छटेनक झानी ব্যক্তি এই বিষয়টিকে অবলম্বন করিয়৷ যুরোপীয় বালিকাদিগের নানাপ্রকার দুর্গতির ইতিহাস প্রদান কুরিয়াছেন। তাহর ঐ সকল সংবাদ প্রদান কবা সত্ত্বেও আমি এই প্রথাটিকে সমর্থন করিতেছি । “আমরা যে ভুবে বিবাহ ক্রিয়া সম্পন্ন করিয়া থাকি, আমার মনে হয় ‘তখতে আমর! প্রকৃতির অনুশাসনকে অবজ্ঞা করিয়া পুরুষকুরকে বলীয়ান করিতে যত্নবান•হই এবং প্রকৃতিদেবী যে এই অনধিকার প্রবেশকে ক্ষমা করেন তাহীও নহে । সবলভাবে, অভিজাত্য পরিত্যাগ করিয়া সকলে এই বিষয বিচার করিয়া দেখিলে আমার এই প্রস্তাবট বোধ হয় সহজে অগ্রহ হইবে না। আমাদের বিবাহিত,জীবনের চিত্র অঙ্কন নিম্প্রয়োজন, তবু দুই এক কথা বলিব। অনেকে নিৰ্ব্বিবাদে স্বীকার করেন যে শত শত পরিবার এই ভাবে বিরচিত হওয়ার দরুণ বেশ স্বখে শান্তিতে দিনপাত কুরিতেছে, আমিও ফ্লাহ স্বীকার করি। কিন্তু আমার বক্তব্য এই যে উহাদের স্বখশান্তিতে জীবনযাপন করার ভিতরে নির্জীব অবসাদ ¢कtन७ भश्९ डtद दl *itए१झे ছাড়া জীবন্ত
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/১২০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।