১২৪ বলিয়াছি । মৃচ্ছকটিকায়, ভারতীয় সমাজের যে ছবি আঁকা হইয়াছে তাঁহার সহিত বাস্তব ,সমাজের নিশ্চয়ই কোন সাদৃশ্য নাই । সেই প্রাচীন কালে শূদ্রকের আমলে, কতকগুলা গোয়াল বিনা ষড়যন্ত্রে তুিন দিনের মধ্যে যে রাজত্বলা করিতে পারে নাই তাহ বিশ্বাস কব বেশ স্বাভাবিক ; অপুৰ্ব্ব রূপসী হইলেও উজ্জয়িনীর বারাঙ্গনগণের বাসবদত্তার হ্যায় এরূপ সুবিস্তৃত ও ঐশ্বৰ্য্যপূর্ণ প্রাসাদ ছিল বলিয়া বিশ্বাস হয় না । তাছাড়াচৌর্যবৃত্তিতে যতই সিদ্ধহস্ত হউক ন কেন, সেই সময়কাব* গেরেব মত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চুবি করিবে ইষ্টাও বিশ্বাসযোগ্য নহে। শূদ্রক, নাট্যকার্যোব মধ্যে ও পাত্ৰগণেব মধ্যে যেরূপ একটা তীব্র জীবন্ত ভাব আনয়ন কবিয়াছেন, তাহতে বাস্তব বলিয়া একটা বিভ্রম উপস্থিত হয় । মনে হয় যেন অমরা గీ উজ্জয়িনীব মধ্যেই অবস্থিতি কবিতেছি, কিন্তু উপাখ্যান সাহিত্যেব সতুি তুলনা করিয়া দেপিনেই . এই ভ্রম .অন্তৰ্হিত হয় । অন্তা ভাবতীয় নাট্যরচনাব দ্যায় এখানেও আমরা গতানুগতিকতাব ও কল্পনালীলাব পূর্ণ প্রতাপ দেখিতে পাই । ● - মৃচ্ছকটিকাব আদর্শ-পাত্ৰগণ ও মৃচ্ছ: কটিকার বর্ণিই রীতি-নীতি, ক্ষু ও আখ্যায়িকাদি কাল্পনিক জগৎ ইহঁতে તૂર્કીડ હાફ઼ હૈં জাতীয় সাহিত্যুের শাস্ত্র-নিয়মানুগত্ব। ভারত যে স্বীয় শ্রেণী বিভাগের প্রতিভা ও পুঙ্খানুপুখ রূপে লিখিবার, ধৈর্য শুধু নাট্যসাহিত্যুে প্রয়োগ করিয়াছে তাঙ্গ নহে, প্রত্যুত ললিতকল, সামান্ত ব্যবসায়, এমন-কি অতি জঘন্ত ভারতী
- আব
জ্যৈষ্ঠ, ১৩২১ বৃত্তি সম্বন্ধেও বিস্তারিত আলঙ্কারিক গ্রন্থ ও নিয়মাবলী প্রস্থত করিয়াছে। জয়াপীড়ের রাজত্বকালে (অষ্টম শতাব্দী) দামোদর গুপ্ত কর্তৃক বিরচিত “কুট্টনী মাতার উপদেশ”, ক্ষের্মেন্দ্রের “কলাবিলাস” এবং ঐ গ্রন্থকাবের “সময়মাত্রিকা”-যাহ পূর্ববর্তী গ্রন্থ দিব পষ্ঠ-অমুকবণ মাত্র- এই সমস্ত গ্রন্থ হইতে, এই সকল পাবিভাষিক উপদেশের প্রকৃতিগত লক্ষণ স্পষ্টরূপে উপলব্ধি হয় । দণ্ডীর দশকুমার চরিতে (সপ্তম শতাব্দী ) কর্ণিমৃত, বা বলায়ুব বা মূলভদ্র, বা মূলদেব নামক এক পৌবাণিক তস্কর কর্তৃক প্রণীত চৌর্য্যবৃত্তিবিষয়ক গ্রন্থেব উল্লেখ আছে । কোন দুরিদ্রজনের প্রতি একান্ত আসক্ত এক বারাঙ্গনীর আখ্যায়িকা—ইহা প্রাচীন কাহিনী সমূহেব অন্তর্গত একটি কাহিনী—যাছ বাবংবার শুনিয়া ও লোকে ক্লান্ত হয় না। বৃহৎকথায় বর্ণিত ‘ হইয়াছে, কেমন করিয়া, স্বীয় পবিণামদুর্শিনী জননীব পরামর্শ অগ্রাহ
- করিয় রূপিণক নামক এক ধনাঢ্য।
বাবাঙ্গনা লোহভ জলা নামক এক ব্রহ্মণের প্রতি আসক্ত হইয়াছিল, কেমন করিয়া তাহার বৃদ্ধ মাতা সে নিষ্ফল প্রেমিককে বিদূরিত করিয়াছিল এবং পরে তাহার উপর কিরূপ প্রতিশোধ লইয়াছিল। অন্তত্ব একটা বর্ণনা মৃচ্ছকটিকাকে স্ট্ররণ করাষ্টয় দেয়। উজ্জয়িনীর রাজা এক দরিদ্র ব্রাহ্মণকে কারারুদ্ধ করিয়াছিলেন। সেই দরিদ্র ব্রাহ্মণের প্রতি কুমুদিক নামী এক রূপবতী রমণ আসক্ত হয়, সেই রমণী সিংহাসনচ্যুত রাজা বিক্রমসিংহের সঙ্গি ত মিত্রত করে, এবং তাঙ্গাবষ্ট অর্থ