৩৮শ বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা ইহার গুঢ় অর্থ-রাজদ্বারে অভিযুক্ত হইবার ভয় ; কিন্তু অক্ষুবে অক্ষরে অনুবাদ করিলে যে অর্থ হয়, সে অৰ্থও এই বাক্যটি গ্রহণ করা যাইতে পাবে। বরং সে অর্থটি আবও একটু স্পষ্ট হয়। নাট্যাভিনয় স্থৰ্য্যোদয়েই অবস্থ হইত ; এই অভিনয় যদি বেশীক্ষণ ধবিয়া চলিত তাহ। হইলে, বেলা অধিক হওয়ায় প্রথম স্বর্য্যো ৰূপে দর্শকের ক্লেশ হইবাব সম্ভাবনা ও আশঙ্ক ছিল। মৃতবাং মৃচ্ছকটিকাব গ্রন্থকাব, অভিনয়সংক্ষেপ কবিবাব জন্ত, শেয দৃষ্ঠ গুলিকে একটু সংযত কৰুিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। * নীলকণ্ঠ এই সমস্ত দৃশ্যে কি আবখ্যক কি অনাবশ্যক কিছুই পূৰ্বে 'চিস্ত কবেন নাই, প্রত্যুত গ্রন্থকাবেব উপব কলম চালাইয়া একটা নুতন দৃশ্য সন্নিবিষ্ট কবির দিয়াছেন। চাকদম্ভেব স্ত্রী ও পুত্র চাকদন্তকে বধ্যস্থানে যা এ কবিত্বে দেখিয়ছিল এবং মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হুইলাছে বলিয আশঙ্কা কবিতেছিল ;–তাহাব। বি সহি ত পাবলোকে মিলিত হইলাব আশায় তাহ বম্বে হইতে পত্রাভ্যন্তরে পত্রপুটে এলে কোথা বনবাসী ফুল ? অঙ্গবাগ হের তল সমুদ্রেব নীল, তোমাব পবশে আছে মলয় অনিল,— এ তে নহে কুঙ্কনেব সাগবেৰ কুল । হিমের আলয়ে হেথা বড় অপ্রতুল মধপর্শ সমীবণ, তরল সলিল । মকুমাব কুমুমের কি আছে দুলিল এত উদ্ধে উঠিবাব, না হলে বাতুল ? 2 পত্রাভ্যন্তরে আগত বনফুলের প্রতি לכל כי র্ত{হার সহিত একত্র চিতারোহণ করিতে ব্যগ্র হইল। বধ্যস্থানে যে জুনত উপস্থিত, ছিল, তাহীদের চীৎকার শুনিয়া চারুদত্ত সেখানে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। চারুদত্ত ੇ সময়েই আসিয়াছিলেন, তাহাব অগেমনে এই তিন ভীষণ আত্মহত্যা নিবাবিত হইল। উগব আত্মীয় স্বজন সুখী হইল। " এই প্রক্ষিপ্ত অংশেব বচন বেশ নিপুণতার সহিত সম্পাদিত হইয়াছে। সুরুচিসমন্বিত ব্যক্তির হায় নীলকণ্ঠ, শূদ্রকের ‘বচনাভঙ্গী ও প্রকবণেব নকল কবিয়াছেন ; কিন্তু শূদ্ৰক অবশ্য এই নব যোজনাকার্য্যে কখনই সন্মতি দিতেন না। যে মুহুর্তে বাবাঙ্গন শুদ্ধ চরিত্রের পুণ্য মহিমায় বিভূষিত হইল, ঠিক সেই মুহূৰ্ত্তেই গ্রন্থকাব, সুকুমাব সংকোচ-বোধেব প্রেরণায় ধৰ্ম্মপত্নীকে বীরাঙ্গন ছুইতে দূবে সবাইয়া বাপিলেন। যাহা হউক, এই ,প্রক্ষিপ্ত রচনার ব্যাপারটি বেশ কৌতুহলজনক। একজন ওস্তাদের রচনা সুরুচির হতে সংশোধিত হইয়া রচনার মূল্য কিছুমাত্র কমে নাই ; বরঞ্চ নীলকণ্ঠের পষ্টত মৃচ্ছকটিকার গোঁবব-বৃদ্ধি কবিয়াছে। " ঐজ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর । আগত বনফুলের প্রতি ' এ দেশে আকাশে ভাসে ধুসব কুয়াশা, তাবি মাঝে এটা গেলে পৰ্ব্বতেৰ শৃঙ্গ, উজ্জ্বল কিবীটে যার হাবক তুষার । ক্ষণ প্রাণে ধরি কোন প্রস্ফুটিত আশা, এসেছ এ পরদেশে, যেথা নাই ভৃঙ্ক?— বরফেব বুকে নাহি তোমার মুসার! হিমgলয় । শ্ৰীপ্রমথ চৌধুৰী ।
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/১৩৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।