পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ প্রধ, দ্বিতীয় সংখ্যা গিন্নি মুখ বক্র করিয়া বলিলেন--তোমায় ঠাই দিয়েছি বলে কি চোর দায়ে ধর পড়েছি নাকি ? আমার বাড়ী সরাই, ন ছোটেল, যে, ষে আসবে তাকেই ঠাই দিতে হবে ? - খুড়িমা মিনতির স্বরে বলিলেন—কত লোক ততোমার আশ্রয়ে রয়েচে, আর একটি নিবাশ্রয় মেয়েকে আশ্রয় দেওয়া তোমার পক্ষে এমনই কি ভাব দিদি ? গিন্নি মুখ ফিরাইয়। বলিলেন—লোকের চিংযেতেই তুমি গেলে । কেন লোকের করব না, তাদের কল্পে দেশ বিদেশে আমবে নাম চলে। আর তোমাদের কিছু কবা সে ভয়ে ঘি ঢালা । ... • খুড়িমাকে কিছু সাহায্য করা যে দয়া করা নয়, খুড়িমার, হায্য পাওনা পরিশোধ করা, এই বোধ গিল্লির মনে স্পষ্ট হইয়া থাকিয়৷ র্তাহাকে পীড়া দিত, তাহাব প্রভুত্বকে সস্কুচিত কবিত। এইজন্ত তিনি খুড়িমাকে দেখিতে পাবিতেন না, তাহকে কোন প্রকারে সাহায্য কবিতে তিনি আনন্দ অনুভব করিতেন না । পুড়িমার স্বভাব সহজে হীনতা স্বীকাব কবিতে পারিত না, মিথ্যা থোসামেীদের কথা সব সময় র্তাঙ্গার মুখে জোগাষ্ট্ৰত না। গিল্লির কথা শুনিয়া খুড়িমার বাক্যস্রোত আবার বন্ধ হইয় গেল । তিনি চুপ করিয়া দাড়াইয় রছিলেন । 'রোহিণী বলিয়া উঠিল— তা খুড়িমা, তামার বোনঝি ত কম মেয়ে নয় বাছ ? নিজের 'ঘরবাড়ী থাকতে পরের বাড়ীতে আসবার এত সাধ কেন ? খুড়িমার উত্তর শুনিবার জন্ত গিন্নি তাহার মুখের দিকে চাহিলেন। * ৩ স্রোতের ফুল مئیے >○? খুড়িমা লজ্জায় ব্যথিতু হইয়া গিরির দিকে চাহিয়া বলিলেন—সোমখ মেয়ে একলা কেমন করে থাকবে, তাই তোমায় বলতে এসেছি । রোহিণী বলিল—ত তুমি গিয়ে বোনঝির কাছে খাক গে না । দাসীর স্পৰ্দ্ধা দেখিয়া খুড়িমার আপাদমস্তক জলিয়া উঠিল, চোখ মুখ দিয়া আগুন, ছুটিতে লাগিল। খুড়িমা রোহিণীর দিকে তীব্র দৃষ্টি হানিয়া কঠোর স্বরে বলিলেন-দেখ রোহিণী, দাসী তুই, দাসীর মতে, থাক। আমি তোর কাছে ভিক্ষে করতে আসিনি। খুড়িমাব ভংসনীয় রোহিণী অপ্রস্তুত ও সঙ্কচিত হইয়া পড়িল। কিন্তু গিরি তাহার সাহস বাড়াইয়া বিরক্তির স্বরে বলিলেন-— তা রোহিণী এমন মন্দ কথা কি বলেছে ? তুমি গিয়ে বোনঝিকে আগলও গে না । খুড়িমা দৃপ্তভাবে বলিলেন–বিধবার সৰ্ব্বনাশ যারা করে আদের মুখেই এমন বিদ্রুপ শোভা পায় । বড়ঠাকুর যদি আমার একবেলার হবিষ্যির একমুঠো ভাতের ও. সংস্থানু রাখতেন তবে এ বাড়ীতে আমার বাস যে একদওও উচিত নয় তা আর কাউকে বলে দিতে হত না । দিদি, শেষ কথা আমায় বলে দাও, আমার বোন্‌বিকে একটু আশ্রয় দেখে কি না । খুড়িমা উত্তরের প্রত্যাশায় গিরি মুখের দিকে দৃগু ভাবে তাক ইয়া রহিলেন । উহার সেই তীব্ৰ জালাময় দৃষ্টির সম্মুখে গিরির দৃষ্টি সঙ্কচিত হইয় অবনত হইয়া পড়িল। তিনি নীরবে হাতের বালা, খুটিতে খুঁটিতে চিন্তা করিতে লাগিলেন,—বিপিন যদি ঘূণাক্ষরেও এই সংবাদ জানিতে পারে তাহ