S88 এদেশের উপর ইংরজিদের টান থাকিবার অল্পই সম্ভাবনা। আগেকার কালে দেশীয়দের উপর এক একজন ইংরাজের সময়ে সময়ে বিলক্ষণ মমতা দেখা যাইত। তাঙ্কার কারণ এষ্ট, তাহারা ভারতবর্ষে অধিককাল, বাস কুরিয়া এদেশ্বকে স্বদেশর্তুল্য জ্ঞান করিতেন ; ক্লিন্তু এক্ষণে আর সেভাব নাই। ইংরাজের এখানে প্রবাসীর মত থাকিয়া চলিয়া যান । “নানা পক্ষী এক বৃক্ষে নিশিতে বিহরে মুখে প্রভাত হুইলে দশ দিকেতে গমন।” তৃতীয়ত, ইংরাজের স্বভাব কতকটা সামাজিকতার বিরোধী। তাছারা আপনাদের জাতীয় ঔদ্ধত্য—John Bull ভাব বি ছুতেই ছাড়িতে পারেন না । তাহীদের নিজের কবি যেমন স্বজাতির বর্ণনায় বলিয়াছেন র্তাহণদের দেখিয়া কাহার না মনে হয়— ‘ চলন গরবে ভরা, ধরা পরা গণে, পৃথিবীর পতি য়েন চলে উদ্ধাননে! আর এক কথা এই এখানকার অধিকাংশ ইংরাজ গবর্ণমেণ্ট কৰ্ম্মচারী, তাহদের সঙ্গে স্বাধীনভাবে মেলামেশার সুবিধা হয় না । বোম্বায়ের মত সহরে যাহাই হউক, মফস্বল ষ্টেসনে ওরূপ হওয়া অসম্ভব । এষ্ট সকল নন কারণে মামাদের উভয়তঃ যে বিচ্ছিন্নতা আসিয়া পড়িয়াছে তাহ অপসারিত হওয়া সাধা ব্যাপার। .. ' . 竇 আমাদের সম্রাট উজ যুবরাজ থাকিতে যখন ভারতবর্ষে পদার্পণ কবেন, তিনি ইংরাজ ও দেশীয়দের মধ্যে এইরূপ বিচ্ছিন্নভাব দর্শন করিয়া ব্যথিত হন, ও দেশে ফিরিয়৷ গিয়া বলিয়া পাঠান যে সহানুভূতি ( sympathy ) ব্রিটিশ রাজনীতির মূলমন্ত্র হওয়া ভারতী জ্যৈষ্ঠ, ১৪২১ èfé& I ® Sympathy fe c*<* কথার কথা, কাৰ্য্যত কখনই দেখা দিবে না ? তাহা কে বলিবে ? এক সময় আমাদের যাহ! अॅनाश মনে হয় বিধান্ত তাক কালেতে মুসাধ্য করিয়া দেন। কালক্রমে এই দুই জাতির অধিকতর চেনা পরিচয় হইলে কি হয় কে বলিতে পারে ? ভারতের সহিত ইংলণ্ডের যোগ ঈশ্বর মঙ্গলের জন্তই সংঘটন করিয়াছেন। ইহা শুধু শক্তির লৌহবন্ধন না হয়, প্রতির বন্ধন হওয়াই সৰ্ব্বতোভাবে প্রার্থনীয় । কিন্তু এই উদ্দেশে উভয় জাতিরই যত্ন ও চেষ্টা আবশ্বক। উভয়ের পরস্পর সহানুভূতি ও সাহায্য চাই । বিশেষতঃ ইংরাজের, যেন মনে রাখেন যে তাহারা তল্প প্রয়াসেই আমাদের সদ্ভাব আকর্ষণ করিতে পারেন । তাহার। যদি একপদ অগ্রসর झटे प्रां আসেন আমরা সহস্ৰ পদ অগ্রসর হুইয়া তাহাদের নিকট যাইতে ওস্তুত । প্রেমদান করিলেই তুহার প্রতিদান পাওয়া যায় । coa exisbfos Revd. Andrews সাহেব বলিয়াছেন ঃ – “একটি বড় আশ্চর্য্যের বিষয় এই,— আমি নিজের মনেও এখনো পৰ্য্যন্ত পরিষ্কার ভাবে ইহার কারণ নির্ণয় করিতে পারি নাই, কিন্তু ইহা সত্য, যে কোন কোন অসাধারণ মনীষী পাশ্চাত্য দেশ হইতে ভারতবর্ষে, আগমন করেন, র্যাগর। এদেশের জীবনের মৰ্ম্মস্থলে তৎক্ষণাৎ যেন সহজ জ্ঞানের দ্বারা প্রবেশ লাভ করেন, প্রেমের দ্বার তাহার • সহিত এক হইয়া যান। .এই যে প্রথম দৃষ্টিতেই প্রণয়ের উদ্রেক তাহ অতীব বিস্ময়কর ব্যাপার।. ভগ্নী নিবেদিত। এই দলের
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/১৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।