৩৮ণু বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা এই সকল বড় বড় কথা আমাদের কানে সুধা বর্ষণ করিতে লাগিল, যথাঃ-দয়া, ভ্রাতৃভাব, শান্তি, অস্ত্রবিসর্জন, নবযুগ, সাৰ্ব্বন্ধুনিক কল্যাণ । মধ্যে মধ্যে ভিন্ন স্বরের কথাও e আমাদের কানে আসিতেছিল যথা:–“শান্তিতে যাহাদের বিশ্বাস নাই, তাহারা অতি নিৰ্ব্বোধ, তাহাবা কোন কৰ্ম্মেবই নয়... ; জাপানিদের :Ji: :{{{is C514...” M. Frederic Passy এই সব কথায় সায় দিয়া কথন কখন মাথা নোয়াইতেছিলেন এবং তাহার বৃদ্ধাঙ্গুল । যুবাইতেছিলেন। আমি বাধ্য হইয় যে কোণটি আশ্রয় কবিয়াছিলাম, সেইখান হইতে একটু নড়িবামাত্র • তাহাব বোষকষায়িত কটাক্ষ আমাৰ উপব নিপতিতু, ইষ্টল । একজন বিখ্যাত ব্যক্তি, বিশ্বজনীন শান্তিব একজন প্রচাব ক—তিনি এখন ছবি তুলাইবাব জষ্ঠ বিশেষ ভঙ্গীতে বসিয়াছেন, এখন ঠাঙ্গকে কোন প্রকাধে বিচলিত কবিতে নাই ! এখন তিনি একজন চিত্রকব, ஒே সংবাদপত্রণেপক ও একজন যুবঠামহিলার সম্মুখে, চিত্রপটে অমরত্ব লাভেব জন্ত উপবিষ্ট । "লোকে বলে আমব • কতক গুলা পাগল কি সে কথা সহ্য নহে ।” পকেটে হাত রাখিয়া,একটু মথি হেল।ইয়৷ M. d'Estournelles dc constant ŵ& কথাটি বলিলেন। তাহাব ললাট উদ্বেগবেখান্ধি ; যে উদ্বেগ শুধু একটি দেশেৰ জন্ত গং, শুধু নিজের দেশের জন্ত নহে,পরস্তু সকল দেশের জন্তু। সমস্ত অন্তর্জাতিক ফলাফলেব • সিটি ভার নিজ স্বন্ধে বহন করিতেছেন বণিয়া তিনি নিয়ত অমুম্ভব * করিয়া স্তির ভাবে শান্তিবাদদিগের সহিত সাক্ষাৎকার ు ( ) থাকেন । তাছার ওষ্ঠের উপর একটি ক্ষীণ স্মিতহাস্ত ভাসমান, ওষ্ঠের নীচে গোফ ঝুলয় পড়িয়াছে, এবং চোখে একটুও উৎসাহের আগুন নাই। নব ধৰ্ম্মের নবীন প্রচারকদের মধ্যে যে জলন্ত উৎসাহ দেখা যায়, ইনি যেন সেই উৎসাহ হারাইয়াছেন। . সেই একই অলস কণ্ঠস্বরে, পূৰ্ব্ব কথার স্বত্র ধরিয়ু যদৃচ্ছাক্রমে, স্বগত উক্তির ন্যায় আবার তিনি আরম্ভ করিলেন : — “একটা প্রধান কথা এই—মুনোমধ্যে এ সম্বন্ধে কোন প্রকার বিভ্রম পোষণ ন৷ করt..• • • • Hagne নগরের অধিবেশনে স্থির হইয়াছিল,—যাহকিছুর সহিত কোন দেশেব মনসস্ত্রম বা জীবনযাত্রীর সংস্রব আছে তাহ। আলোচনাব বাহিবে রাখিতে হুইবে ••... জামধা এমন মনে করি না যে, যুদ্ধ একেবাবেই উঠিয়া যাইবে...যদি কাল ফ্রান্সকে শক্ৰবা আক্রমণ কবে, আমি সৰ্ব্বপ্রথমে যুদ্ধক্ষেত্রে যাত্রা করিব.Monetকর্তৃক চিত্রিত ছবিগুলিকে প্রথম প্রথম লোকে বীভৎসভীষণ বলিয়া মনে করিত, কিন্তু এখন ঐগুলি মহার্ঘ মূল্যে বিক্রীত হইতেছে। তাই বলুচি ! শান্তিও ঠিক এই রকম। যতদূর সম্ভব শান্তিমূলক উপায়ে মামরা বিভিন্ন জাতির মধ্যে অনুৈক্যের মীমাংসচেষ্টা করি বলিয়া লোকে আমূদিগকুে এখন উপহাস করে.মার কয়েক বৎসর পরে, উপহাস করিবে না । • কিন্তু আমরা যেন বেগুন প্রকার বিভ্রম পোষণ না করি । তিনি হস্ত উন্তোলন করিলেন, মাথ নাড়িলেন, গোফ ধরিয়া টানিলেন – তাহার পর বলিলেন ;—“আমরা জাপানের
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/১৬৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।