У о মন্ত্রটকে কোনো দার্শনিক পণ্ডিত অদ্বৈতবাদের অঙ্গীভূত করিয়া সাজাইয়া দাড় করা"–সে কথা স্বতন্ত্র , যিনি সাজাইয়া দাড় করা’ন তিনিই তুহার জন্য দায়ী, তা বই উপনিষদ তাহাব জন্ত ঘূণাক্ষরেও দায়ী নহে। তত্ত্বর্মসিবচলটির শীর্থ যে কি তাঙ্গ কাহাবে অবিদিত নাই। সংস্কৃত বিদ্যালয়ের নিম্নশ্রেণীর বালকেরাও জানে যে, তৎ শব্দের অর্থ তাহা বা সে-বস্তু। ত্বং শব্দের অর্থ তুমি [ "তৎ ত্বং” কি না সে-বস্তু তুমি । কথাটা ওটা-যে , নিতান্তই একটা হেঁয়ালিঢঙেব সংকেত-ধচন, তাহ দেখিতে পাওয়া যুইতেছে। কাজেই, উহার প্রকৃত মৰ্ম্ম এবং তাৎপৰ্য্যটি তলাইয়া না বুঝিলে উহ। কেবল একটা মুখের কথা হইয়া—ফণকা আওয়াজ হইয়া-বাতাসে উড়িয়া যায। ত্বং শব্দেৰ বাক্যার্থ তুমি–কথাটা খুবই সত্য, কিন্তু তাহার ভাবাৰ্থ আত্মা ভিন্ন আর কিছুই হইতে পারে না। আমি যেমন তোমাকে ত্বং বলিয়া সম্বোধন করি, তুমিও তেমি আমাকে ত্বং বধিয়া সম্বোধন কঁর ; আর, বেদন্থের সেই যে দেবদত্ত ( "সোহয়ং দেবদত্ত” ) যিনি ভাগ্যক্রমে আমাদের সম্মুখে উপস্থিত, ইহাকে আমরা উভয়েই ত্বং বলিয়া সম্বোধন করি । তুমি ত্বং আমার নিকটে, তামি ত্বং cકાણ নিকটে, দেবদত্ত ত্বং আমাদেৰ উভয়েরই নিকটে। অতএব অ্যাক কেবল তুমি যে ত্বং তাহা नंइ ; তুমিও ত্বং, "আমি ৭ ত্বং, cझदार्ड७ ठू९ । हेश उद्दे दूर्तुिङ थ्राब যাইতেছে ফুে, 'ত্বং " আমি তুমি-তিনি'র প্রতিনিধি স্বরূপ ; এক কথায়—সমষ্টি আস্থার প্রতিনিধিস্বরূপ। তবেই হইতেছে ! ভারতী । f g ६६भtश्व, » °२१ যে ত্বং ব্দের বাক্যার্থ যদিচ “তুমি” ন, কিন্তু তাহার ভাবাৰ্থ সমষ্টি অ কিন পরমাত্মা । এমতে দাড়াটতেছে, “তত্বমপি বচনটির বাক্যৰ্থ যদিচ বস্তু তুমি” কিন্তু তাহার ভার্বার্থ “সে পরমাত্মা ।” উপনিষদে তত্ত্বংও আছে তদব্ৰহ্মও আছে—দুইই আছে। তার স “তদ্বিজিজ্ঞাসস্ব তদব্ৰহ্ম” ; ইহার অর্থ যে, সে বস্তুকে বিশেষ মতে জানিতে কর—সে বস্তু ব্ৰহ্ম | সাংখ্য দর্শনের । 'প্রকৃতিই বিশেষ মতে জানিবার বস্তু, হু সেইজন্ত সাংখ্যের পারিভাষায় ব্ৰহ্ম প্রকৃতি আর এক নাম। গীর্তাশাস্ত্রে ব্রহ্ম শব্দ স্থ বিশেষে প্রকৃতি অর্থে এবং স্থল-বি:ে পরমপুরুষ অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে ; যেমন"সর্ববােলি কোষের মুর্ষর সম্ভবস্থি ধাঃ। ত{স{ং ব্রহ্ম মহৎ যেনি রহং বীজপ্ৰদ: পিতা ॥" এখানে ব্ৰহ্ম শব্দের অর্থ প্রকৃতি । আবার পরংব্রহ্ম পরংধlম পবিত্রং পরমং ভবানৃ। পুত্রসংশাশ্বতং দিব্যং আদিদেবং অজং বিভূং। আহুস্তাং ঋষয়: সৰ্ব্বে দেবর্ধিনরিদস্তথা ।” दें এখানে ব্রহ্ম শব্দের অর্থ পরম পুরুষ। বেদ শাস্ত্রে কিন্তু তৎসৎ শব্দ এবং তদব্ৰহ্ম শৰে মধ্যে মূলেই কোনো অর্থ-ভদ নাই। শদের অর্থ ধ্রুব সত্য। সকল শা:ে মতেই পুরুষ অপরিবর্তনীয় ধ্রুব সত্য • প্রকৃতি পরিবর্তনশীল। তবেই হইতে যে “তৎসৎ” বলাও যাঁ ( অর্থাৎ “সে ধ্রুব সত্য” বলাও যা ) আর, “সে ‘পরম পুরুষ পরমাত্মা” বলাও ত, এব কথা । এইরূপে আমরা পাইতেছি যে, তি স্থানের এই যে তিনটি উপনিষদ বচন ( 。 o:
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।