৩৮শ বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা অঙ্গে শিশু শালতরুর পেলবসৌন্দর্য্য-কপোলে সদ্যজুষ্ট পলাশেব আরক্ত জ্যোতুি,–কিন্তু— স্থায় ! নয়ন দুটি বসন্তকানন প্রবাহিনী শীর্ণভাটনার দ্যায় স্নানকান্তিহীন । হয় ! বাবি প্রত্যহ প্রভাতে জলে নামিয়া পদ্মচয়ন করিত, জাতির স্থলহার গাথিয় দি ত, বিল্বদলে চন্দনচিত্র করিয়া শিবপূজার জন্ত সাজাইয়া রাথিত,–কিন্তু নিজে অব মহাদেবে পূজা কবিত না ! পুবোহিত পূজা কবিতেন সে নিবিষ্টমনে বসিয়া দেখিত, পূজান্তে দণ্ডবং প্রণাম কবিয়া আশীৰ্ব্বদ লইত!—কিন্তু স্বয়ং আব পূজা কবিত না! "তাহাব জ্ঞাতিভগিনী ও বাল্যসহচৰী শাবি তাহ লক্ষ্য করিয়াছিল -- একদিন প্রশ্ন করিল, বাবি তুই আব পূজা কবিস না কেন ?— • বাবি মৃদু হাসিল—কোন উত্তব দিল না । তখন শারি কাছে আসিয়া, আবাব বলিল "বলিবি না বহি ?” সে অাদরে বাবি নতমুণী হইল,—বলিল—,বলিব আর কি দিদি, ভোলানাথ কি আমাব পুঞ্জ গ্রহণ করিবেন যে আমি পূজা কবিব !”
- ভোর পূজা গ্রহণ কৰিবেন না ?-বাবি তুষ্ট কি বলিতেছিস্ ?” 變
ঠিক বলিতেছি বহিস্! ভাবিয়া দেখ।” বাবি অষ্টমনা হইল,--শারি তাহার স্থিব মূৰ্ত্তি দেখিয়ী বিস্মিত হইল,—বলিল, “কি ভাবিব বারি ? ইহার মধ্যে ভাবিবার কি কথা আছে ? —তৈার পূজা মহাদেব লইবেন না ;– গৈও কি ভাবিবার কথা ?— বারির স্তন্ধ মুখে বিদ্যুতের ন্তায় চকিত গদি দেখা দিল,—মকম্পিত কণ্ঠে সে বলিল লাইকা '\ులి "যে নারী স্বামী পূজা করে নাই—দেবপূজায় তাহার কি অধিকার ভগিনি,” শারি চমকিত হইল, ব্যস্তস্বরে বলিল—ও
- কি কথা—ও কি কথা বারি!—তুই স্বামীপুঞ্জ
করির্সনাই কি ? স্বামীই তো তোর পূজা লইলেন ন—সুে নিষ্ঠুর —” ” সর্পদংশিতের হ্যায় আহতভাবে বারি পশ্চাৎপদ হইল,—স্থিব স্ববে বলিয়া উঠিল— ."চুপ! তুমি জান না দিদি !—তিনি দেবতা —তিনি আমার পূজা লইতে আসিয়াছিলেন– আমি—আমি—” áPð বলিতে বলিতে বারি থামিয়া গেল ; দুই হাতে মুখ চাপিয় মাথা হেঁট করিল । শারি বিস্মিত হইল, তাহাকে কোলের কাছে টানিয়া লুইয়া ধীরে ধীরে বলিল—“বারি বারি দিদি আমার !—” 驗 অতি ক্ষীণ কণ্ঠে বারি বলিল "আমায় আদর করিস না দিদি, অমি কারও আদরের পাত্র নই ।” “তুই আদরের পাত্র নস্—? পিয়ারি !" দুলালি !—“শারি তাহাকে জুড়াইয় ধরিয়া চুম্বন করিতে লাগিল। তখন স্নেহের আদরে বাবির স্তব্ধ হৃদয় গলিয়া নয়নে উথলিয়া উঠিল,—সখীর সাক্ষাতে সে * এই প্রথম অশ্ৰুত্যাগ করিল! শারি জানিত. যে বারি অন্তবে অস্তরে ব্যর্থ পৰ্ম্ম-কিন্তু এতটা জানিত না !—সে তাহার বেদনার আধিক্য দেখিয়া ভীত হইল।- " • Woe শারির নিকট রাজরাণী সমস্তই শুনিলেন। তিনি এই বিবরণ অশ্রুজলে ভাসিয়া স্বামীকে জানাইলেন । তখন রাজাধিরাজের জ্ঞান