‛ » ፃ8 “হে ঈশ্বর, আমার প্রিয়তম, তোমার কঠোরত আমার আসক্তিকে পরিবৰ্দ্ধিত করে। যেমন—তিক্ত ঔষধ রোগীর কল্যাণসাধন করিয়া থাকে।" মীরের কবিতা । ( ১৯ শতাব্দীতে বৃদ্ধ, বয়সে মৃত্যু হয় ) - “কঁদিতে কাদিতে লোকে বলিয়া থাকে, কেমন করিয়া যৌবন পলাইল -રઃ । যৌবন পলাইল, যেরূপ মলয়ামিল পলায়ন করে, যেরূপ গোলাপের সৌরভ পলায়ন করে —মীর, বাৰ্দ্ধক্য ঝড়ের মত সহস আসিয়া আমাকে ধরাশায়ী করিল। এই প্রচণ্ড আঘাত কে প্রতিরোধ করিতে পারে? আমরা যেন শরৎকালের বৃক্ষ পত্র।” হাতিমের কবিতা ৷ “আমার প্রিয়তম যখন আমার গৃহের চৌকাঠ পার হইয়া যাইবেন, আমি আপনাকে বলিদান দিব । আমার বিরাম শয্য আমার দুঃখশয্যায় পরিণত হইয়ছে। তোমার সুন্দর পদযুগল দ্বারা যে সকল গদি বিমৰ্দ্ধিত হইত, সেই সব মখমলের গদিতে আমি কি কfরয়। নিদ্র। যাইব ?—প্রিয়তমে, এই দেখ আমার আত্মা তোমার পদবিক্ষেপের জন্ত, তোমার সুন্দর গঠনের জন্ত, তোমার সৌন্দর্ঘ্যের জন্ত, তোমার কুঞ্চিত অলকদমের জন্ত লালারিত হইয়াছে।" লোজের কবিতা ৷ बाईप्का शृङ्गाइग्न) “যাহারা ভালবাসিতে পারে না, প্রেমেয় নাম করিবার তাহীদের কি অধিকার আছে ? প্রেম ত যাতনার ন্যায় এর্কট। মারাত্মক মত্তত । ই ! আমার ( ১৬৯৯--১৭৯১ ) it7ت ه ه برا ه ) কথায় বিশ্বাস কর, প্রেমের পয়াল স্পর্শ করিওন। একটি চুম্বন ! তোমুর ঐ মিথ্যবাদী চুম্বন হইতেই সমস্ত দুঃখের উৎপত্তি । f প্রকৃত প্রেমের অপমানও ইহ। অপেক্ষ ভাল। এইরূপ লেখা ছিল :-জীবনের যত কিছুলজ্জা আমার অদৃষ্টই মিলিবে। হে ঈশ্বর কোন জীবকে প্রেমের দ্বারা অবর্মানিত হইতে দিও না।" . ভারতী নজ্যৈষ্ঠ,১৩২১ এই সকল আবেগময়ী কবিতার বিপরীতে, হসনের রচনায় ( ১৭ ৮৬ মৃত্যু হয় ) একটা গতানুগতিক কলাকৌশলের পরিচয় পাওয়৷ शश्न? তাহার কবিতায় তার সেরূপ আবেগ নাই, আন্তরিক ভাবমূৰ্ত্তি নাই ; উহা একটা আমোদের বিষয় মুত্র। “ইরানের উদ্যান” হইতে এই অংশটা উদ্ধত হইল : “এই দুই উদ্যান স্বর্গের উদ্যানকে স্মরণ করাইয়া দেয়। রমণীগণ যেন কতকগুলি ফুল্ল কুসুম । কাহাবও বা জল-চেক্নাই পরিচ্ছদ, কাহারও ব৷ মসলিন ও রেশমের পরিচ্ছদ। আবার কাহারও ব| জরির পীড়-ওয়tল| লাল বt সুবুজ পবিচ্ছদ । বিষ্ণুপের কটিবন্ধ, শাল, একটি ওরন স্কন্ধে লুটিয়া পড়িয়াছে। নুপূরে ভূষিত পদপল্লব প্রেমিকজনের মনোহরণ করিতেছে । " তাহীদের আঙ্গিয়ার মধ্য হইতে গ্রীব ও বক্ষ প্রকাশ পাইতেছে । তাহদের कॅहूली গ’ন্ত্র চাপিয়৷ ধরিয়াছে এবং তাহদের লাল পায়জামা তাহদেয় গোলাপী-বর্ণভি গাত্রেরই অনুরূপ । কিন্তু আর এক রূপসী পাল্কী"আরোহণ করিয়া উপনীত হইলেন ; তিনি অবতরণ করিবামাত্রই আলোকচছট মনে করিয়া প্রচ - পতির ছুটিয়া আসিল এবং বুলবুল পিঞ্জরে আবদ্ধ হইতে রাজি হইল ঃ—বুলবুল ওtহর চিরবাঞ্ছিত গোলাপকে পাইয়াছে' (১) g উনবিংশ শতাব্দীতে উৰ্দ্দ, কবিতা আরও গতাসুগতিক হইয়ু পড়িয়াছিল। এই সময়ের কবির পূর্ববৰ্ত্তা যুগের কবিদিগের অনুকরণ করিতে লাগিল—সেই পূৰ্ব্ব যুগের কবিরাও আবার পারসীকদিগের অনুকরণ করিয়াছিল। ব্যঙ্গ কাব্যের ক্রমবিকাশে চরিত্রের ক্রম (১) সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দীর উর্দ লেখকদের মধ্যে, দিল্লিতে যিনি বাস করিতেন সেই হাইদ্রাবাদের আজদ, আরজু, রবীন, ফিগাম, দরদ অমুজাদু সমস্তই দিল্লির-ইহাদেরও নামোল্লেখ করা আবশুক ।
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/১৮১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।