২৮শ বৰ্ষ,শদ্বতীয় সংখ্যা © বিকাশ পরিলক্ষিত হয় । প্রথমে, এই ব্যঙ্গ কবিতা উৎপীড়নকারী বা শক্রর প্রতি বিদ্বেষভাবের দ্বারা অনুপ্রাণিত হইত ; মামুদের বিরুদ্ধে রচিত ফৰ্দ্দসীর প্রসিদ্ধ কবিতা এই ধরণের। কিন্তু অষ্টাদশ শতাব্দীতে কবির সাহিত্যিক কলহ ভিন্ন. আর কোন কাবণে উত্তেজিত হইতেন না । কবি সৌদা স্বীয় প্রতিদ্বন্দ্বী কবি ফিফুষ্টর বিরুদ্ধে যে কলিত রচনা করিয়াছিলেন তাহ। হইতে কিয়দংশ উদ্ধত করিব। তিনি এক মূর্থেব বিবরণ লিখিয়াছেন। ঐ মুখ বাজ পার্থী মনে করিয়া এক পেচক কিনিয়াছিল ;– • “এই পেচক যে বাজ পক্ষী সাজিয়াছে – সে কে ? সে ফিছুই স্বয়ং . .৭.ফিগুইর পদ্য লিখিবার বাতিক হইয়াছে । ফিদুই গন্ধবণিক ; কৈহ যদি জিজ্ঞাসা কবে গরম মসলা আছে ?” সে উত্তর করে “পছ” আছে। কেহ যদি কোন গাছগাছড়া চাহে তাঙ্গাকে সে বলিয় উঠে —“এই যে আমি ফিদুই ।” পদ্য রচনা করিতে অসমর্থ, যশেব জন্ত তৃষিত, ফিদুই সেই গল্প প্রসিদ্ধ বণিকের প্লেচক ৷” 彎 পবে, আর একটি ব্যঙ্গ কবিতা,--পূব্বোক্ত কবিতাটিরই মত আবেগময়ী,—এঁই কবিতায় মুসলমান হিন্দুদিগকে উপহাস করিয়াছে ; এবং বলিয়াছে ভারত, ভারতের আইন, ভারতের রীতিনীতি, নুতন কেত, তাহার মুসলমান্স ভ্রাতৃগণকে নীতিভ্রষ্ট করিয়াছে । মোগল-আমলের বিদ্বজ্জন ও কবিবৃন্দ S 46. ইহার বাগবিস্তাসে কোন বিশেষত্ব নাই – “আমরা কি দেখিতেছি ? বৃষ্টি ? বিশ্বপ্লাবিনী বস্ত ? সৰ্ব্বত্রই জল, জল इज़ আর কিছুই নাই । নদী ও স্রোতস্বিনী সকল উদ্বেলিত হইয়। ঘর বাড়ী ভাসাইয়া লইয়। যাইতেছে এবং অজস্র বর্ষণে আমাਜ਼ਿੰ অভিভূত করিয়ুছে ।" ভাবের কৃত্রিমতী :– “আকাশ যেন তরঙ্গোপরি ভাসমান একটা জাহাজ : তারকগণ, প্রেমিক নয়নের অশ্রু ধারার মত, জলের মধ্যে ঝিকমিক্ করিতেছে । তরঙ্গ সকল এত উচ্চে উঠিয়াছে যে, পাখীরা সমুদ্রে ঝাপাইয়া, পড়িতেছে। এবং মৎসের চন্দ্রের নিকট গমন করিতেছে । পরিশেষে গদ্যস্থলভ আলোচনা – “শয্যের মুল্য কম; তথাপি দুর্ভিক্ষ-সময়ের স্তায় গৃহ সকল যুত দেহে পূর্ণ। কোন খাদ্য দ্রব্যের খরিদার নাই, কোন তোলদও নাই। কি ফলের দোকানে, কি.কসায়ের দোকানে, কি পন্থশালার পাচকদের দোকানে, সৰ্ব্বত্রই হাহাকার ও সকল সামগ্ৰাই সচরাচর-সময় সুপক্ষ পাচগুণ মহাৰ্থ ।" (২) e এই সকল কবিতার দ্বারা ইহাই সপ্রমাণ হয় যে, গদ্য-যুগের পর, কবিতার যুগ ও আবেগ-উচ্ছাসের যুগ আসিয়াছিল । ১৯ শতাব্দীতে ঐতিহাসিক ও ভাষ্যকারগণই প্রধান উর্দু, লেখক ছিলেন। তা ছাড়া, মুসলমানের প্রাধান্ত চলিয় যাওয়ায়, হিন্দু ও দ্রাবিড়ীয় রীতুির প্রভাবে পরাভূত হইয়া মুসলমান ভাষা-অবনতিগ্রস্তু হইয়াছিল। ষোড়শ শতাব্দীতেই এই সমস্ত ভাষাগত বিশেষ গুয়ােগ নির্দিষ্ট আকার প্রাপ্ত ব্যু। গষ্ঠ বিভাগে, দুইজন,প্রধান ধৰ্ম্ম সংস্কারক— জুবাবু কবিতা । ( ১৮১০ অব্দে মৃত্যু )” নানক ও চৈতন্ত । • " . ঋতু বর্ণনা ; (R) ভারতের সমস্ত চলিত ভাষাতেই মন্দর Garcin de Tassy Regqo "Retstą zitīts !
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/১৮২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।